শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০

জুন মাসে পুনরায় মিড - ডে মিল প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীদের চাল আলু দেওয়া হবে ।

ভারত নিউজ - মহামারী,  লকডাউন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রভৃতি কারণে জুন মাসে পুনরায় মিড ডে মিল প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীদের চাল আলু দেওয়া হবে। পয়লা জুন থেকে মিড ডে মিলের চাল দেওয়ার কাজ শুরু হবে। আঠাশে মে'র মধ্যে স্কুলগুলোকে তার প্রয়োজনীয় চাল আলু  মিড ডে মিল দপ্তর থেকে  পাঠিয়ে দেবে।  ইতিমধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তর বিগত মাসের জেলা পিছু বরাদ্দ চালের পরিমাণের একটা তালিকা বের করেছে।
 এবারে শিক্ষার্থী কিছু দুই কেজি চাল ও দুই কেজি আলু দেওয়া হবে।  অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে অভিভাবক অভিভাবিকাদের স্কুল থেকে চাল আলু সংগ্রহ করতে হবে। আপাতত স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক - শিক্ষিকাদের নোটিশ করা হয়েছে। চাল বিতরণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরে নোটিফিকেশন জারি করবে । 

বিদ্যুৎ দপ্তরের অক্লান্ত চেষ্টায় এবং চূড়ান্ত দক্ষতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করার চেষ্টা চলছে ।

ভারত নিউজ - বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকটি জেলা ওলটপালট। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে আছে অথবা ড্যামেজ হয়ে পড়ে আছে।  হাজারে হাজারে গাছ বিদ্যুতের তারের উপর ভেঙে পড়ে আছে তার ছিঁড়ে ঝুলছে। এত বড় বিপর্যয়ের পরেও গতকাল থেকে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে, অনেক জায়গায় এখনও চালু করতে পারেনি। গতকাল অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার পর জল সরবরাহ শুরু হয়েছে, ইন্টারনেট চালু হয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীও আধিকারীকদের অক্লান্ত চেষ্টায় এবং চূড়ান্ত দক্ষতায় সেটা সম্ভব হয়েছে। যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও চালু হয়নি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা সচল করা যায়। এইরকম ঝড়ের সাথে বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মীরা আগে কোনদিন মোকাবিলা করেছে কিনা জানা নেই।  
বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্মী জানান যে পোস্টে আর যে ক্যাপাসিটিতেই চাকরি করিনা কেন, দিনের শেষে আমি একজন ইমার্জেন্সি এমপ্লয়ী। আমি বিদ্যুৎকর্মী। বিশ্বাস করুন, গত আটচল্লিশ ঘন্টায় আমাদের দপ্তরের কেউ ঘুমোয়নি। আমাদের মোবাইল ভ্যান, রেস্টোরেশন টিম দিনরাত এক করে ফিল্ডে আছে। 

দুই চব্বিশ পরগণা সহ হাওড়া ধ্বংসস্তুপ হয়ে গেছে। ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ জেলা। প্রতি কিলোমিটারে গড়ে সাতটা করে গাছ পড়ে আছে। গুনে শেষ করা যাবেনা এত পরিমাণে ইলেকট্রিক পোল ভেঙে পড়ে আছে সর্বত্র৷ যেগুলো দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোর বিশাল শতাংশ ড্যামেজড। অগুন্তি জায়গায় ট্রান্সফরমারে দাউদাউ করে আগুন লেগেছে। এমতাবস্থায় যদি পাওয়ার চার্জ করা হয়, ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে। জমা জলে, ছেঁড়া তারে যে পরিমাণ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্সিডেন্ট হবে, তা ধারণার বাইরে। বাড়ি ঘরদোর আর ইন্টারনাল ওয়্যারিংয়ের যে ক্ষতি হয়েছে তা বাদই দিলাম। এটা ইলেকট্রিক্যাল নেটওয়ার্ক, সাপের ছোবলের মতো ভয়ানক একটা ব্যাপার। 

রাজ্যজুড়ে এই ভাস্ট ইলেক্ট্রিকাল নেটওয়ার্কটা যেভাবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তা আগের জায়গায় রেস্টোর করতে যতদিন লাগা উচিত, আমরা সবাই জানি ততদিন সময় দেওয়া যাবে না। জল, আলো, চার্জ, ইন্টারনেট না থাকায় অনেকেই অস্থির হয়ে উঠেছেন। স্বাভাবিকও। কিন্তু বুঝুন যারা কাজ করছে নাওয়াখাওয়া ভুলে তারাও মানুষ, তাদেরও পরিবার, সংসার আছে, এবং এই রেস্টোরেশন প্রসেসে তাদেরও অনেক  ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। সামান্য ভুলে পোলের মাথায় কাজ করতে করতে  দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এটা হয়, এটা হয়েই থাকে। 

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অফিসে চড়াও হওয়া শুরু হয়েছে। টেবিল চেয়ার উল্টে মারধোর করা হচ্ছে কারেন্ট নেই বলে। মার খাচ্ছে কর্মীরা। বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মী বলেন এখন সেসব  অ্যাড্রেস করার সময়ও নেই। আমরা সহানুভূতি চাইনা, শুধু একটু বুঝুন, সহযোগিতা করুন। পার্শিয়াল চার্জিং শুরু হয়েছে। যুদ্ধকালীন সার্কুলার হয়েছে। ড্রিংকিং ওয়াটার সোর্স, ইর‍িগেশান সোর্স, হাসপাতাল এবং টেলিকম টাওয়ার-এর ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। দু-তিনটে দিন একটু কষ্ট সহ্য করে নিন। অন্তত নিজেদের প্রাণের স্বার্থে। প্লিজ।আইলার পর পাঁচ দিন পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছিলাম একটু মনে করুন। 

লকডাউনে পঠন-পাঠনের পর আমফানে পরিকাঠামো , দুইদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বহু স্কুল ।

ভারত নিউজ - করোনা মহামারীতে এমনিতেই বিদ্যালয় বন্ধ। জুন-জুলাইয়ের দিকে হয়তো খোলা হোত কিন্তু আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর স্কুলগুলিতে একটি নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা। এই সমস্ত জেলার  বহু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকার স্কুলগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  বহু স্কুলে পাকা বিল্ডিং এর সাথে সাথে অল্পবিস্তর টিনের চাল, অ্যাসবেস্টস এর চাল রয়েছে। সেগুলি উড়ে গিয়েছে বা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। একের পর এক স্কুলে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হলে একটি নতুন সমস্যা দেখা দেবে।  বিদ্যালয়গুলি আপাততঃ মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের দিকে। 

সরকার থেকে কিছু ক্ষতিপূরণ পাবে পাওয়া গেল পুনঃনির্মাণ করা যাবে।  এমনকি অনেক স্কুলের ছাদে বসানো সোলার বোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  মিড ডে মিলের কিচেন বা ডাইনিং রুম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কেন্দ্র সরকার,  রাজ্য সরকার, জেলা পরিষদ সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি আর্থিক সহযোগিতা করলে তবেই বিদ্যালয়কে আবার ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।  এক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে সরকারি দপ্তরে জানাতে হবে যাতে সরকার স্কুলগুলিকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ও আলোচনা করে। 
নন্দীগ্রামের আসদতলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান তিরিশ বছর ধরে স্কুলের জন্য যা তৈরি করেছি তার অনেক কিছুই গতকালের ঝড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে । স্কুলের অডিটোরিয়াম, সোলার প্যানেল সহ বহুনির্মান নষ্ট হয়েছে। 

আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে প্রধানমন্ত্রী আজ পশ্চিমবঙ্গে এলেন ।

ভারত নিউজ - আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে প্রধানমন্ত্রী আজ পশ্চিমবঙ্গে এলেন। পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তৎকাল সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 
এছাড়াও, আমফান সাইক্লোনে মৃতদের পরিবারকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দু লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ আমফান অধ্যুষিত এলাকা হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেন । মুখ্যমন্ত্রীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর আমফান নিয়ে আলোচনা হয় । 
 প্রধানমন্ত্রী বলেন আমফানে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রের ডিজাস্টার গ্রুপ কাজ করছে। তিনি বলেন আমফান বিপর্যস্ত এলাকার পুর্নগঠনের জন্য কেন্দ্র সবরকম সাহায্য করবে। তিনি আহত মানুষদের সুস্থতা কামনা করেন।   তিনি আরো বলেন  রাজ্য প্রতিনিয়ত কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে । 

বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

রায়দিঘিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বুড়ো কান্তি পাশে আছে এটাই মানুষের ভরসা ।

ভারত নিউজ - রায়দীঘিতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সুপার সাইক্লোন আছে কে, এক সময় ছিল কান্তি এখন হয়েছে বুড়ো কান্তি । কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আছেন বলেই যতই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসুক রায়দিঘির মানুষ একটা ভরসার জায়গায় আছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে বা পরে নিজেই সশরীরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করেন। সরকারি সাহায্য যখন আসে আসবে তার আগে নিজেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান। রায়দিঘিতে সুপার সাইক্লোন আমফান মোকাবিলা করতে 


পৌঁছে গিয়েছিলেন।  চাল, ত্রিপল দুর্গত মানুষদের জন্য যা যা লাগে সবই নিয়ে গিয়েছেন। একটা নৌকার ব্যবস্থাও করেছিলেন।  ২০০৯ সালে যখন ভয়াবহ আয়লা সুন্দরবন অঞ্চলে আছড়ে পড়েছিল তখন তিনি একমাত্র মন্ত্রী যিনি মাঠে ময়দানে মানুষের সাথে থেকে কাজ করেছিলেন। রায়দিঘিতে তাঁর স্ত্রীর একটি স্কুল রয়েছে। বেশ কিছু মানুষকে সেই স্কুলে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।  কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ২০০১ এবং ২০০৬ এর বিধানসভায় মথুরাপুর বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি প্রথমে সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। সুভাষ চক্রবর্তী মারা যাওয়ার পর ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ এই দুটি দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলান  তবে ২০১১ তে প্রবল পরিবর্তনের হাওয়ায় রায়দিঘি আসনে হেরে যান।  তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল সেলিব্রিটি প্রার্থী দেবশ্রী রায়। ২০১৬ র বিধানসভায় হেরে যান খুব সামান্য ভোটে তবে ভোটে হেরে গেলেও রায়দিঘির মানুষের সঙ্গে থাকেন সবসময়।  বুলবুল ঝড়ের সময়ও নিজের কর্তব্য অটুট রেখেছিলেন। বন্যা হলেও সেই কান্তি । 
এখন আর সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে সবসময় দেখা যায়না কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে সবার আগে তিনি। একসময় ন্যায় অন্যায় নিয়ে সরব হয়ে দলের মধ্যেই বিষ নজরে পড়েছিলেন। আনন্দমার্গী হত্যায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল যদিও এই হত্যাকাণ্ডে যে কমিশন গঠিত হয়েছিল এই কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তিনি কমিশনের সামনে হাজির হয়েছিলেন।  রায়দিঘি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিকূল। এরকম একটি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ ভরসা রাখেন এই ব্যক্তির ওপর যার বয়স পঁচাত্তর হয়ে গিয়েছে কিন্তু কাজের বেলায় আঠেরো বছরের যুবক। ভোট পাখির মত রাজনীতি তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নয় ।  এইরকম ভাবমূর্তির মানুষ দলবদল করলেও পেয়ে যেতেন আকর্ষণীয় অফার।  তবে অফারের পেছনে দৌড়ানোর ইচ্ছে বা আগ্রহ কোনটাই নেই। 

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ট্রেনের বগিকে বেঁধে রাখা হচ্ছে চেন দিয়ে ।


আমফান থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যতটা সম্ভব ফাঁকফোকর না রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশনগুলিতে দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনবিহীন রেল বগিগুলি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল হাওয়ায় যাতে গড়িয়ে না যায়, সেই কারণে বগিগুলিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। হাওড়ার শালিমার স্টেশন, সাঁতরাগাছি জংশন প্রভৃতিতে এইভাবেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে হাওড়ার বিভিন্ন ফেরিঘাট গুলিতে লঞ্চগুলোকেও বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
আয়লার পর এত বড় ঘূর্ণিঝড় সম্ভবত হয়নি। এমনও অনুমান করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় হয়তো আয়লাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ১৯৯৯ সালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে আমফানের তুলনা করা হচ্ছে তাই সমস্ত রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অতীতে ঘূর্ণিঝড়ে কোনদিন ট্রেন গড়িয়ে নিয়ে গেছে কিনা জানা নেই তবে বাস উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছিল তবে সেটা ভারতে নয় অন্য দেশে । চিত্র - আকাশবাণী সংবাদ কলকাতা ৷ 

ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন, জেনে নিন আগাম প্রতিরোধক হিসেবে এই মুহূর্তে আপনার করনীয় কি

সুপার সাইক্লোন আমফান ধেয়ে আসছে । এক্ষুনি যা যা করতে হবে-১। বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক চেষ্টা করুন সব সময় ভর্তি করে রাখতে।
২। যত গুলো বালতি, গামলা ইত্যাদি আছে তাতে জল ভরে রাখুন।
৩। মোমবাতি বা পুরোনো হ্যারিকেনটা ঠিক করে নিন।
৪। সর্বদা রেডিও বা টিভির খবরের দিকে নজর রাখুন।
৫। ঠিক পূর্ব মুহূর্তে অবশ্যই বিদ্যুতের মেন সুইচ বন্ধ করবেন।
৬। জানালা ও দরজা বন্ধ করে রাখবেন।
৭। টি ভি, কেবিল ও ফ্রিজ বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।
৮।সবগুলো মোবাইল ফোন চার্জ করে রাখুন।
৯। খাওয়ার জলের বোতলগুলো পরিষ্কার করে জল ভরে রাখুন।
১০। প্রয়োজনীয় কিছু বাজারহাট করে নিন।
১১। প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে নিন।
১২। বাড়ির বাইরে বেরোবেননা।
১৩ ৷ কিছু নগদ টাকা বাড়িতে রাখুন কারণ বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এটিএম ও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। 
১৪। পরিস্থিতি খুব খারাপ দেখলে গৃহপালিত জীবগুলোকে মুক্ত করে দেবেন যাতে তারা নিজেদের মতো করে আত্মরক্ষা করতে পারে । 
 সকল গ্রাম পঞ্চায়েতকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, ১) সাধারণ মানুষকে উপরের লেখা অনুযায়ী সচেতন করার জন্য। এবং সর্বদা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে ব্লক অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সময়মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
২) যদি কোথাও কোনো বৈদ্যুতিন (Electric) স্তম্ভ ভেঙ্গে পড়ে বা বৈদ্যুতিন তার ছিঁড়ে পড়ে, তবে অতিসত্ত্বর ব্লক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
৩) CA-II রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময় অন্তর পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
 ৪) সাইক্লোন আছড়ে পড়ার আগে জনসাধারণ যাতে পানীয় জল সঞ্চয় করে রাখতে পারে তার জন্য তার জন্য গ্রামে সজলধারা, পুর এলাকায় টাইম কলের জল সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখা । 

যারা বাইরে থেকে এসেছেন নিজেরাই দায়িত্ব সহকারে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকুন আবেদন ভিআরপি কর্মীর ।

ভারত নিউজ - যারা বাইরে ছিলেন বাড়ি ফিরেছেন তারা নিজেরাই দায়িত্ব সহকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলুন । তাদের মধ্যে অনেকে ভাবছেন তাদের টেস্ট হয়েছে। কিন্তু তাদের শুধুমাত্র থার্মাল টেস্ট করে বাড়িতে চোদ্দোদিন একা থাকার জন্য বলা হচ্ছে। তারপরেও তাদের সঙ্গে তাদের বাড়ির সদস্যদের মেলামেশা চলছে। এক ভিআরপি সুপারভাইজার অর্থাৎ ভিলেজ রিসোর্স পারসন বলেন আমি বাইরে থেকে যারা এসেছেন তাদের পরিবারকে এটাই বলতে চাই থার্মাল টেস্ট কোভিড-19 টেস্ট নয়। এটার মাধ্যমে শরীরে তাপমাত্রা কত আছে সেটা দেখা হয় । 
তাই আপনারা অন্তত আপনাদের পরিবার এর কথা চিন্তা করে যারা বাইরে থেকে আসবে তাদের আলাদা ঘর এ থাকতে বলুন । তাদের সংস্পর্শে যেন কেউ না আসে। তাদের খাবার বাসন থেকে বস্ত্র সব যেন আলাদা ভাবে রাখা হয়। এসব চোদ্দোদিন মেনে চলুন এটাই আবেদন । সব জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মী, ভি আর পি, আশা কর্মী,সেবিকা,পুলিশ যাবেনা। কিছু দায়িত্ব আপনাদেরও রয়েছে। যারা বাইরে থেকে আসবেন প্রত্যেকের কিট দিয়ে পরীক্ষা করার মত পরিকাঠামো এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের নেই। কোয়ারেন্টাইন এ থাকার সময় শরীরে কোন সমস্যা মনে করলে অর্থাৎ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি প্রভৃতি হলে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহিত করুন। গোপন করে যাবেননা। আপনি ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে, দেশ ভালো থাকলে আপনি এবং আপনার পরিবার ভালো থাকবে।

সোমবার, ১৮ মে, ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আমফান সুপার সাইক্লোন এ পরিণত হতে চলেছে , সতর্ক প্রশাসন

ভারত নিউজ  - ঘূর্ণিঝড় আমফান সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে চলেছে। রাজ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা। মনে করা হচ্ছে আয়লার পর এটাই হতে চলেছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার উপরে পড়তে পারে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের উপরেও আছড়ে পড়তে পারে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়টি দীঘা উপকূলের ওপরে আছড়ে পড়বে। এখন অনুমান করা হচ্ছে সুন্দরবনের উপরে আছড়ে পড়বে।  যদি দীঘা উপকূলের ওপরে আছড়ে পড়ত তাহলে কলকাতায় এবং হাওড়ায় এর ব্যাপক প্রভাব পড়তো তবে সুন্দরবনের উপরে আছড়ে পড়লে কলকাতার গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে।  সেক্ষেত্রে কলকাতায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আম ফান নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে জরুরী বৈঠক করেন। 
 ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কয়েকটি টিম পাঠিয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গে দীঘা, সুন্দরবন উপকূলে এই টিমগুলি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়় আমফান বুধবার আছড়ে পড়তে পারে তবে তার প্রভাবে আগামীকাল দুপুর থেকেই প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেউ গুজবে কান দেবেননা, সকলে মোবাইলে চার্জ্ দিয়ে রাখবেন, অত্যাবশ্যক খাদ্য ও পানীয় জল ঘরে মজুদ রাখবেন, মৎস্যজীবীরা নদীতে, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেননা, বাড়ির  পোষ্যদের মুক্ত অবস্থায় রাখুন  যাতে তারা  প্রতিকূল পরিস্থিতিতে  আত্মরক্ষা করতে পারে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে় যাওয়া হয়েছে। 
ঘূর্ণিঝড়টি যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তখন তার গতি কিছুটা কমে যাবে তবে সেটাও প্রায় দুশো কিলোমিটারের আশেপাশে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, দুই চব্বিশ পরগনা ও দুুই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছাসের সম্ভাবনাও রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় এর প্রত্যক্ষ প্রভাব রামনগর, দেশপ্রাণ,  নন্দীগ্রাম, খেজুরি, সুতাহাটা  প্রভৃতি  ব্লকগুলিতে পড়তে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ত্রাণ পাঠিয়েছে। করোনার আবহে ঘূর্ণিঝড় আবার একটি নতুন ঝটকা। আপাতত দেশবাসীর কাছে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।    প্রতীকি ছবি । 

রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

লকডাউন এর মধ্যেই জমা দিতে হবে মাধ্যমিকের খাতা, সমস্যায় বহু পরীক্ষক ।

 ভারত নিউজ - রাজ্যে  মহামারী ও লকডাউন চলছে। তারই মাঝে মাধ্যমিকের খাতা দেখার সাথে যুক্ত পরীক্ষকদের খাতা ও নম্বর শীট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথমেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দেয় মাধ্যমিকের খাতা জমা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ পনেরোই জুন পর্যন্ত স্থগিত থাকবে কিন্তু লকডাউন এখনও শেষ হয়নি তারই মাঝে প্রধান পরীক্ষকরা পরীক্ষকদের কাছে খাতা ও নম্বর শীট চেয়ে পাঠায়।  তাতেই বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বিপাকে পড়ে কারণ এখন যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন রাস্তায় নেই। 
 প্রধান পরীক্ষকদের বাড়ি থেকে পরীক্ষকদের বাড়ি অনেকেরই দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত। অনেকেরই নিজস্ব বাইক নেই সেক্ষেত্রে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে।  আবার চাইলেও গাড়ি এখন সহজে ভাড়ায় পাওয়া যায়না। তাছাড়া, প্রধান পরীক্ষকের বাড়িতে খাতা জমা দিতে গেলে একটা জমায়েতের আশঙ্কা থাকে এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি জানাতে পারেন।  পরীক্ষকদের বাড়ি কারো কারো রেড জোন বা কনটেইনমেন্ট এলাকায় হতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রধান পরীক্ষকের বাড়িও রেড জোন বা কন্টেনমেন্ট এলাকায় হতে পারে সেক্ষেত্রে একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। কোন কোন শিক্ষক সংগঠনের মতে এক্ষেত্রে পর্ষদ সরাসরি পরীক্ষকদের বাড়ি থেকে খাতা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করতে পারতো। তাছাড়া, শিক্ষকদের আরেকটি অভিযোগ খাতা জমা দেওয়ার জন্য  প্রধান পরীক্ষক  কোনও লিখিত অর্ডার দেননি, মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন যেহেতু লকডাউন চলছে  সেহেতু  পরীক্ষকরা  কোনও লিখিত অর্ডার ছাড়া  বাড়ির বাইরে যেতে চাইছেননা।  অপরদিকে উচ্চমাধ্যমিক এর ক্ষেত্রে  যে সমস্ত পরীক্ষককে  খাতা অনেক আগেই  বিতরণ করে দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে  আপাততঃ  নম্বর শীট  ই - মেইল করে বা রেজিস্ট্রি পোস্টে  পাঠাতে বলা হয়েছে । 

মহামারিতে দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করলো নন্দীগ্রাম সমন্বয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ।

ভারত নিউজ - লকডাউন  ও মহামারিতে দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করলো নন্দীগ্রাম সমন্বয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সংস্থার পক্ষ থেকে প্রায় চারশো মানুষকে চাল , আলু , তেল, সাবান প্রভৃতি সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এ দিনের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের 
সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার, নন্দীগ্রাম সমন্বয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক কাশেম আলী খান,  কাঞ্চননগর হাই স্কুলের শিক্ষক মনসুর আলী এবং অন্যান্যরা।  এছাড়া কিছু দুঃস্হ ছাত্রের হাতে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয় এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম সমন্বয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত থাকে । 

শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

বাস চালানো ও ভাড়া নির্ধারিত করা হোক যাত্রীসাধারণ , বাস মালিক ও সরকারের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে ।

 ভারত নিউজ - লকডাউন হয়তো এখনো চলতে পারে তবে পশ্চিমবঙ্গসহ  সারা ভারতে  কন্টেনমেন্ট  জোন ছাড়া  বাস চলাচল শুরু করবে। তবে, বাসে যাত্রী ওঠানামার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে অর্থাৎ সেই ভিড় বাস বা বাদুড়ঝোলা বাসের চেনা চিত্রটা আর দেখতে পাবোনা । কুড়ি জন বা তিরিশ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বাসের ভাড়া নিয়ে একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বাস মালিকরা জানায় এতো কম যাত্রী নিয়ে বাস চালালে  তাদের দৈনন্দিন  প্রচুর লোকসান হবে সেজন্য সরকার প্রথমে জানিয়েছিল  বাসের ভাড়া নির্ধারণ করবে  বাস মালিকরা কিন্তু সেটা নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয় কারণ একটি গণতান্ত্রিক দেশে  বেসরকারি ক্ষেত্রেও সরকারের  নীতি নির্ধারণ থাকে।অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন মন্ত্রী জানান সরকারি বা বেসরকারি বাসে  নির্ধারিত 
ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রী সাধারণকে দিতে হবেনা। এতে সাধারণ মানুষের  কিছুটা সুরাহা হবে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে। তবে, এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সহ  সারা ভারতে  একটা  নীতি নির্ধারণ  করা হোক যাতে  যাত্রী সাধারণ,  বাস মালিক  এবং সরকারের  স্বার্থ  সুরক্ষিত থাকে।  বাসের  ভাড়া নির্ধারণ করা হয়  সিট সংখ্যার ভিত্তিতে। বাসে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী নিয়ে যাওয়া নিয়মবিরুদ্ধ তাই যদি ষাট সংখ্যার একটি বাসে  একজন যাত্রী  তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আগে দশ টাকা ভাড়া দিত এখন যদি  বাসে  তিরিশ জন  যাত্রীকে  ওঠার অনুমতি  দেওয়া হয়  তাহলে  ওই যাত্রীর  ভাড়া হওয়া উচিত কুড়ি টাকা  আর যদি  কুড়ি জন যাত্রীকে  ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়  তাহলে  দশ টাকার টাকার যাত্রীর  ভাড়া হওয়া উচিত  তিরিশ টাকা । সেক্ষেত্রে  বাসযাত্রী যেমন  ঠিকঠাক ভাড়া দিয়ে  তার গন্তব্যস্থলে  যেতে পারবে তেমনি  বাস মালিকের  স্বার্থও সুরক্ষিত থাকবে।   লোকসানে চললে বাস মালিকরা বাস চালাতে নাও চাইতে পারে।  ড্রাইভার ও অন্যান্য কর্মীদের বেতন দিতে সমস্যা হতে পারে। সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ক্রমাগত সরকারি ভর্তুকিতে বাস  চালালে কোষাগারে টান পড়তেে পারে। তাছাড়া এভাবে দীর্ঘদিন বিধিনিষেধ মেনে
বাস চালাতে হতে পারে কারণ এই মহামারী বা ভাইরাস কবে নির্মূল হবে কেউ জানেনা।  ভর্তুকি সাময়িক বা কয়েকদিনের জন্য হতে পারে এটা দীর্ঘমেয়াদী চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করা ও  সামাজিক দূরত্ব  সঠিকভাবে পালন করার জন্য সমস্ত বাস যাতে রাস্তায় নামে  সেটাও দেখতে হবে। বাসের সংখ্যা যথেষ্ট না হলে সমস্ত যাত্রীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাসে তোলা সম্ভব নয়। ন্যায্য ভাড়া পেলে বাস মালিকরা বাস চালাতে  আগ্রহী হবে  সেইসঙ্গে কেন্দ্র সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের  মূল্য  কিছুটা হ্রাস করুক কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম তলানিতে। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমলে  পরিবহন খরচও কমবে । পরিবহন ব্যবস্থা যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে তাই বাস্তব পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বাস ভাড়া নির্ধারিত হোক ও পরিবহন ব্যবস্থাকে সচল রাখা হোক । এসি বাস বা লাক্সারি বাসগুলির ক্ষেত্রেও সিট সংখ্যার ভিত্তিতে এবং বর্তমান  যাত্রী সংখ্যার ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারিত করা হোক। আশা করা যায় পরিবর্তিতিত পরিস্থিতিতে
 জনসাধারণ এবং সমস্ত রাজনৈতিক দল বিষয়টি বুঝতে পারবে । 

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

কাঁথিতে এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ ধরা পড়লো ।

ভারত নিউজ - পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ ধরা পড়লো। ওই ব্যক্তির বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। তিনি পেশায় পুরোহিত ছিলেন। তাঁর বাড়ি  জুনপুট কোস্টাল থানায় বালিয়ারপুরে । তবে তিনি কাঁথি শহরে ক্যানেল পাড় এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন । বর্তমানে তিনি কলকাতার আমরি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর মা, স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে । 
কাঁথি শহরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর এলাকায় নজরদারি আরোও কঠোর করা হয়েছে । 

অনলাইন ক্লাস - দশম শ্রেণী , ইতিহাস - তৃতীয় অধ্যায়, প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ ।

          আঠারোশ সাতান্ন খ্রিস্টাব্দের আগে ব্রিটিশ বিরোধী যে বিদ্রোহগুলি হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, চুয়াড় বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ,  ফরাজি ও ওয়াহাবি  আন্দোলন। 
                          বৃটিশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্রোহেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।  তারা ছিল শ্রী শঙ্করাচার্যের অনুগামী।  শঙ্করাচার্যের অনুগামীরা দশটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল।  বিদ্রোহী সন্ন্যাসীরা ছিল গিরি সম্প্রদায়ভুক্ত।  বাংলাদেশে  শাসনের প্রথম দিকে ইংরেজ কোম্পানিকে এক প্রবল সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সম্মুখীন হতে হয়।  ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব থেকে দুটি পৃথক গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। হিন্দু সন্ন্যাসী ও মুসলিম ফকিররা ক্ষুধার্ত চাষী, সম্পত্তিচ্যুত জমিদার ও কর্মচ্যুত সৈনিকদের অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করে। এই সময় রাষ্ট্রবিপ্লব ও অরাজকতার সুযোগে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত একদল নাগা সন্ন্যাসী উত্তরবঙ্গের নানা স্থানে লুটতরাজ ও হত্যাকাণ্ড করে বেড়াতো। তাদের কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থান ছিলনা।  তারা সাধুর বেশে নানা অঞ্চলে ঘুরেবেড়িয়ে নাবালক শিশু চুরি করে দল বৃদ্ধি করতো।  তাদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করত। বাংলায় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এর পর এদের উপদ্রব ক্রমেই বৃদ্ধি পায়।  দরিদ্র কৃষক, সম্পত্তিচ্যুত জমিদার ও বেকার সৈন্যদল এদের সঙ্গে যোগ দেয়। সন্ন্যাসীরা বিভিন্ন  অঞ্চলে উপস্থিত হয়ে গৃহস্থর নিকট অর্থ দাবি করত এবং তা না পেলে লুটপাট করত। তাদের উপদ্রবে মালদহ, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, ঢাকা প্রভৃতি জেলার অধিবাসীরা সর্বদাই সন্ত্রস্ত থাকতো। 1772 খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসীরা রংপুরে সিপাহীদের যুদ্ধে পরাস্ত করে এবং তাদের নায়ক ক্যাপ্টেন টমাসকে হত্যা করে। সরকারি সেনাদের পরাস্ত করলে তাদের মধ্যে দারুণ উৎসাহের সঞ্চার হয় এবং তারা নানা স্থানে আক্রমণ শুরু করে।  একেকজন দলপতির অধীনে প্রায় 5-7 হাজার  নাগা সন্ন্যাসী ও অন্যান্যরা থাকতো।  পরে তারা বাংলা ও বিহার ত্যাগ করে মহারাষ্ট্রের দিকে চলে যায়।  প্রায় 50 বছর ধরে অশান্তময় জীবন নির্ভর করে উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে এই বিদ্রোহের অবসান ঘটে। বঙ্কিমচন্দ্রের দেবী চৌধুরানী নামক গ্রন্থে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের বিবরণ পাওয়া যায়। বাংলায় সন্ন্যাসী বিদ্রোহের বিখ্যাত নায়ক - নায়িকা ছিলেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী।  মূলত ইংরেজের শোষণ  থেকে রক্ষার জন্য সন্ন্যাসী ও ফকিরদের আবির্ভাব ঘটে।  তাদের অসফলতার প্রধান কারণ ছিল অভিজ্ঞতা,  যোগাযোগ ও নেতৃত্বের অভাব। সেইসঙ্গে ধর্মীয় ভেদাভেদ তাদের অসফলতার প্রধান কারণ,  তাসত্ত্বেও সন্ন্যাসী বিদ্রোহের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায়না। 
                           বাংলার মেদিনীপুর জেলায় চুয়াড়দের বসবাস ছিল। 1760 খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর ইংরেজদের হাতে চলে যায় কিন্তু এই অঞ্চলের জমিদার ছিল অবাধ্য। ধলভূম এর জমিদার জগন্নাথ ধল  চুয়াড়দের সংগঠিত করে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।  ধৌলক, বরাভূম কোয়লাপাল প্রভৃতি মহলের জমিদাররা এই বিদ্রোহে যোগ দেন এবং রাজস্ব বন্ধ করে দেন। তারা জগন্নাথ ধল ও অন্যান্য স্থানীয় জমিদারের সঙ্গে মিলিত হয় এবং এক ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সূত্রপাত হয়।  তাদের বিরুদ্ধে ক্যাপটেন মর্গান একদল সৈন্য নিয়ে অগ্রসর হন কিন্তু মর্গ্যান সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হন এবং বহু সেনা নিহত হয়। 1779 খ্রিস্টাব্দে পুনরায় চুয়াড় বিদ্রোহ হয় এবং ব্যাপক নাশকতায় লিপ্ত হয়। মেদিনীপুর এলাকায় তাদের উপদ্রব চরম আকার ধারণ করে।  আঠারোশো খ্রিস্টাব্দে বহু  অঞ্চলে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে। তাদের দমন করতে লর্ড ওয়েলেসলিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এই সময়  তাদের নেতা ছিল  মাধব সিংহ।  বিদ্রোহের  ব্যাপকতায়  মেদিনীপুর শহরের  নিরাপত্তা  বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। 1832 খ্রিস্টাব্দে রাজা গঙ্গানারায়ন এর নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহ হয়।  এই বিদ্রোহ দমনের জন্য সামরিক বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয় তথাপি শান্তি শৃঙ্খলা অনেক দিন ফিরে আসেনি।     
                            ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে জঙ্গলমহলের চাষি প্রজারা যে বিদ্রোহ করেন ইংরেজদের ভাষায় তা ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’। চুয়াড় শব্দের অর্থ হল গোঁয়ার, অসভ্য ইত্যাদি। এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি। বালিজুড়ি, তসরআড়ার জঙ্গলে তির-ধনুকের বিরুদ্ধে সাহেবদের মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রের লড়াই চলে প্রায় এক বছর। অবশেষে ১৭৯৯ সালের এপ্রিল মাসে রানির অনুচরদের বিশ্বাসঘাতকতায় সমগ্র চুয়াড় বিদ্রোহে ধস নামে। রানি আত্মাহুতি দিয়ে নিজের সম্ভ্রম বাঁচান আর চুয়াড়রা টুকরো হয়ে যায় ইংরেজদের গোলাবারুদের সামনে।
                             চুয়াড় বিদ্রোহের আরেকজন নেতা ছিলেন বাঁকুড়ার রাইপুর এর জমিদার দুর্জন সিং । তিনি ইংরেজ কোম্পানিকে খাজনা বয়কট করেন এবং নিজেকে রাইপুরের স্বাধীন তালুকদার বলে ঘোষণা করেন । দুর্জন সিং বন্দি হন এবং তার জমিদারি নিলামের ব্যবস্থা করা হয় । কিছুদিন বাদে তিনি ছাড়া পান এবং নিজেকে তিরিশটি তালুকের অধিপতি বলে ঘোষণা করেন ।
                         1817 খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যায় পাইক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। পাইকরা ছিল আধা সামরিক এবং তাদের সর্দার এর একান্ত অনুগত। তারা ছিল অত্যন্ত দুর্ধর্ষ। চড়া হারে রাজস্বের কারণে উড়িষ্যার বহু জমিদারি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। ফলে তাদের অধীনস্থ পাইকরা তাদের জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়। ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে পাইকদের ক্ষোভের সঞ্চার হয়। পাইকরা খুরদার কর্মচ্যুত সেনাপতি বিদ্যাধর মহাপাত্রের নেতৃত্বে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তারা পুলিশ ঘাঁটি এবং সরকারি কার্যালয়গুলির উপর আক্রমণ করে এবং প্রায় একশো ইংরেজকে হত্যা করে। খুরদা শহরে সরকারি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।  সরকারি কর্মচারীরা পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। কিছুদিনের জন্য উড়িষ্যায় ইংরেজ শাসন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
                        ভারতের অন্যান্য জনসাধারণের ন্যায় প্রাচীন আদিবাসীরাও ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। 1832 খ্রিস্টাব্দের কোল বিদ্রোহ এটাই প্রমাণ করে তারা তাদের স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্য ক্ষুন্ন করতে দিতে মোটেই প্রস্তুত নয়। সিংভূম এর আদিবাসী রাজা তাহার রাজ্যে ইংরেজের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তিনি ইংরেজদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কোল বিদ্রোহের পর মানভূমের ভূমিজীবীরা বিদ্রোহী হয়ে সরকারি কাছারি ও পুলিশ ঘাঁটি জ্বালিয়ে দেয়। এই বিদ্রোহ এমন আকার ধারণ করে যে শেষ পর্যন্ত এক বিরাট সেনাবাহিনীর সাহায্যে দমন করতে হয়। 1831 খ্রিস্টাব্দে ছোটোনাগপুরএ যে কোল বিদ্রোহ হয়েছিল সেই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বুদ্ধ ভগত, জোয়া ভগৎ, ছিন্দরাই মানকি, সুই মুন্ডা। বিদ্রোহের কারণ ছিল বহিরাগত মহাজনদের আগমন, উচ্চহারে রাজস্ব আদায়, ব্রিটিশ বিচার ও রাজস্ব সংক্রান্ত আইন-কানুন প্রবর্তন, কোলদের প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করে দেওয়া,  রাজস্ব আদায়ের জন্য সীমাহীন অত্যাচার করা প্রভৃতি।  1831 খ্রিস্টাব্দে মুন্ডা, ওরাও সম্প্রদায় সর্বপ্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সিংভূম, মানভূম, হাজারীবাগ উপজেলার সর্বত্র বিদ্রোহ দেখা যায়। চার্লস মেটকাপ এর মতে বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ শাসন ধ্বংস করা তাই বিদ্রোহীদের হাতে জমিদার, যোদ্ধা মহাজন, ইংরেজ কর্মচারী কেউই রেহাই পায়নি। বিদ্রোহ দমনের জন্য দানাপুর, পাটনা থেকে সেনাবাহিনী আসে।  হাজার হাজার আদিবাসী নরনারী ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে 1833 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার এই বিদ্রোহ দমন করে। 
 এখান থেকে যে প্রশ্নগুলি করতে হবে - সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বলতে কী বোঝো,  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ কবে হয়েছিল, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতা কারা ছিলেন,  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন, চুয়াড় বিদ্রোহ বলতে কী বোঝো, চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন, পাইক বিদ্রোহ কবে কোথায় হয়েছিল, পাইক বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন, কোল বিদ্রোহের  নেতা কারা ছিলেন, কোল বিদ্রোহ কেন হয়েছিল, কোল বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল প্রভৃতি। 
    কোন প্রশ্ন থাকলে বা জিজ্ঞাসা থাকলে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে লিখে পাঠাতে হবে 85 97 51 02 99 ।

নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় রমজান মাসে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের সাহায্য করলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী ।

 রমজান মাস উপলক্ষে নন্দীগ্রামের এক নং ব্লকের অন্তর্গত ভেকুটিয়া এক নং অঞ্চলের সমস্ত মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের ইফতারের খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সাহায্য করলেন  এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহন, সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ।  চিত্র - ফেসবুক পেজ । 

লকডাউন ও মহামারিতে নগদ অর্থ সাহায্য পূর্ব মেদিনীপুর নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের ।

     ভারত নিউজ , তমলুক - পূর্ব মেদিনীপুরের রামতারকের নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৫০ টি পরিবারের হাতে  আজ নগদ ৫০১ টাকা তুলে দেওয়া হয় । এই সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের ক্রীড়া সম্পাদক সৌভিক কর, সভাপতি বীরেন জানা, ক্রীড়া শিক্ষক সুমন বৈদ্য , সুদীপ প্রামানিক, নন্দ কর, গোবিন্দ কর ও অন্যান্য সদস্যরা। সংস্থার পক্ষ থেকে এর আগে একাধিকবার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা  হয়েছিল ৷ এবারে, সংস্থা নগদ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেয় কারণ খাদ্যসামগ্রীর বাইরেও মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন থাকে যারজন্য নগদ অর্থের দরকার হয় বিশেষত সকলেরই কমবেশি প্রয়োজন ওষুধ এই কারণে নগদ কিছু সাহায্য করতে পারলে তারা উপকৃত হবে । এমনিতেই কাজ বন্ধ থাকায় দুঃস্থ মানুষদের হাতে নগদ অর্থের যোগান নেই ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর ।

গতকাল সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্স করেন রাজ্যের জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী । বন্যা আটকাতে বর্ষার আগেই যাতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা হয় সেই ব্যাপারে আলোচনা করা হয় । এছাড়া সেচ দপ্তর কে প্রয়োজনের সমীক্ষা করার কথা বলা হয় ।

বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

আজ কবি সুকান্তর মৃত্যুদিন, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় , পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ।

     ভারত নিউজের সম্পাদকীয় কলম - কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের কবিতার একটি লাইন‍ - ' ‌‌‌‍ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় , পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। '  আসলে বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ ভারতবাসী ক্ষুধার সাথে খুব পরিচিত, হয়তো তারা পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটি মনে করে তার দিকে তাকিয়ে থাকতো। কিন্তু বর্তমানে ভারতবাসীর পেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। এখন দেশ উন্নয়নের দিকে। কিন্তু আজও হাজার হাজার ভারতবাসীর সন্তান যারা বস্তির অধিবাসী, দিন আনে দিন খায়, দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে পারেনা, তাদের কাছে ঝলসানো রুটিকে আকাশের পূর্ণিমা চাঁদের মতোই আরাধ্য লাগে। আজ সুকান্তর মৃত্যুদিনে তার বহু কবিতার মধ্যে এই কবিতাটি বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত। বর্তমানে সারা পৃথিবী মহামারী ও লকডাউন এর জোড়া ফলায় বিদ্ধ।  পৃথিবীজুড়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণ, মৃত্যুর মিছিল সেই সঙ্গে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার।  যেদিন সুকান্ত এই কবিতাটি লিখেছিলেন সেদিন যেমন এই কবিতার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর আর্থসামাজিক অবস্থা বেআব্রু হয়ে গিয়েছিল আজও এই কবিতাটি বিশ্বজোড়া মানুষের খিদের জ্বালাকে খোঁচা দিয়ে মনের মণিকোঠায় আঘাত হানে। পৃথিবী বদলে গেছে কিন্তু পৃথিবীর ধন সম্পদ মুষ্টিমেয় মানুষের নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গেছে তাই করোনার  একটা ধাক্কায় এই উন্নত যুগে ও সভ্য সমাজেও কোটি কোটি মানুষ অসহায় ও ক্ষুধার্ত। মানুষকে অপরের দেওয়া দানের উপরে বা সরকারের দেওয়া সামান্য সাহায্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে।  যদি সম্পদের সমবন্টন হত তাহলে পৃথিবীতে ক্ষুধা, দারিদ্র থাকতোনা। যতই আঘাত আসুক মানুষকে খিদের জ্বালায় জ্বলতে হতোনা বা অপরের সাহায্যে বেঁচে থাকতে হতোনা। সেই সঙ্গে কিছু দেশের সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী মনোভাব ও কাজকর্ম বিশ্বের সমস্ত দেশ এবং তার আপামর মানুষকে হাহাকারের মধ্যে ফেলে দেয় এবং চাঁদের সাথে সুন্দর পৃথিবীটাকেও ঝলসানো রুটি বানিয়ে দেয় ।

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

কোলাঘাট ব্লকে করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান ।

   ভারত নিউজ , কোলাঘাট - পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের পরমানন্দপুর গ্রামে একজন করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ।  সে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের নার্সিং স্টাফ ছিল । গত কয়েকদিন সে বাড়িতেই ছিল। গতকাল তার রিপোর্ট আসে এবং সেই রিপোর্ট পজিটিভ । তাকে পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । ব্যাঙ্গালোর থেকে মেল নার্সিং পড়ে আসার পর কলকাতার একটি নামি নার্সিংহোমে চাকরি করতো । বয়স বাইশ তেইশ এর কাছাকাছি। গতকাল তাকে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বাড়ি গিয়ে পিপিই পোশাক পরিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।

রবিবার, ১০ মে, ২০২০

আজকের দিনেই পোখরান - ২ পারমাণবিক পরীক্ষা হয়েছিল ।


   ভারত নিউজ -  আজকের দিনেই হয়েছিল পোখরানে দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা। ভারতের পোখরানে ১৯৯৮ সালের ১১ মে তিনটি ও ১৩ মে দুটিসহ মোট পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষা হয়েছিল  । এই পরীক্ষা করা হয়েছিল যখন প্রথম ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ছিল ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ী ছিলেন। এর আগে মে ১৮, ১৯৭৪ সালে পোখরানে ভারত প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, এই বিস্ফোরণকে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে অবহিত করা হয়। সেই পারমাণবিক পরীক্ষাটি ছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদসবৃন্দের বাইরে একটি জাতির দ্বারা এবং বিদেশী সাহায্য অথবা সহায়তা ব্যতীত প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা। দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা করার পর ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই পরীক্ষা তারা নিজের সুরক্ষার জন্য করেছে কাউকে ভয় দেখানো বা কারোর উপর প্রয়োগ করার জন্য করেনি। এই পরীক্ষার পর ভারত ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে। ভারতের ওপর বিভিন্ন বিদেশি দেশ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যদিও ভারত সেই সমস্ত চাপ কাটিিয়ে উঠেছিল এবং পরবর্তীকালে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
       

পাঁশকুড়ার তিনতৌড়ি বেগুনবাড়ির কালীপুজো বন্ধ থাকছে করোনার কারণে।

     ভারত নিউজ, পাঁশকুড়া - এবছর পাঁশকুড়ার তিনতৌড়ি বেগুনবাড়ির কালী পুজো বন্ধ থাকছে । প্রায় দুশো পঞ্চাশ বছরের পুরনো এই পুজো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে পুজো ও মেলা বন্ধ থাকছে । পাঁশকুড়া ও আশেপাশের অনগ্রসর মানুষদের মধ্যে এই পুজো খুব জনপ্রিয় ছিল । এক সময় বলির জন্য খুব বিখ্যাত ছিল । এটি পাঁশকুড়া এক নম্বর ব্লকের অর্ন্তগত ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে । এটি পাঁশকুড়া - খড়গপুর রেল লাইনে খিরাই স্টেশন এর কাছে অবস্থিত। পুজোর ইতিহাস প্রসঙ্গে এই এলাকার লোকজন জানান, হিনু ও দিনু নামে দুই ভাই ছিল। তারা ছিল খুব দরিদ্র পরিবারের ।সেই সময়ে, কলেরাতে কোনও চিকিৎসা ছিল না, একবার এই অঞ্চলে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। হিনু ও দিনুও বিপজ্জনক কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তারা কালীদেবীর কাছে প্রার্থনা করেছিল যে এই রোগ নিরাময় হলে তারা দেবীর উপাসনা করবে। কয়েকদিন পরই দুই ভাই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠল। তবে মন্দির তৈরি করার মতো সামর্থ্য ছিল না। দুই ভাই বাগদি সম্প্রদায়ের ছিল। বেগুনবাগানে প্রথম পুজোটি সম্পন্ন হয়েছিল, এরপর পুরো গ্রামটির নাম হয়ে যায় বেগুনবাড়ি। আদি মন্দিরটি জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণেশ্বরের আদলে নতুন মন্দির নির্মিত হয় । অর্থাৎ যেটা দাঁড়াচ্ছে কলেরায় পূজোর সূচনা হয়েছিল করোনায় থমকে দাঁড়ালো ।  কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে আগামী বছর পুনরায় পুজো শুরু হবে ।

লকডাউন বৃদ্ধি না প্রত্যাহার কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে ভারতবাসী ।

ভারত নিউজ - কেন্দ্রের লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামী  সতেরোই মে, আরো বাড়তে পারে না লকডাউন এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে জানার জন্য আরোও দু চারদিন অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু কোনটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বৃদ্ধি করা না প্রত্যাহার করা কার্যতঃ ভারতবাসী এবং ভারত সরকার উভয়ের কাছে এটা একটা উভয় সংকট। এতো কঠিন সিদ্ধান্ত গত কয়েক দশকে কোন সরকারকে নিতে হয়েছে কিনা জানা নেই । 
        এক্ষেত্রে দেশবাসীর মতামতটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আর দেশবাসীর কাছে এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। জোর করে যদি লকডাউন প্রত্যাহার করা হয় আগের মত বাজারহাট খুলবে,  অফিস, কারখানা খুলবে, বাস চলবে। অর্থনীতি, রুজি রোজগার সচল হবে।  মূলত মানুষের জীবিকা, রুজি রোজগারের জন্য লকডাউন প্রত্যাহার করাটা এখন খুবই জরুরী কিন্তু যদি এমন হয় অর্থনীতি বাঁচাতে গিয়ে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হলো। ভগবান না করুন, উপরওয়ালা না করুন মহামারীটা ব্যাপক মহামারীতে পরিণত হল কারণ সবচেয়ে বড় বিপদ মানুষের সাথে মানুষের সংস্পর্শে। ভারতবর্ষের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া মানেই তো সর্বত্র বিপুল জমায়েত, ট্রেনে বাসে ভিড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাতায়াত।  সেক্ষেত্রে রুজি-রোজগার বাঁচাতে গিয়ে যদি দেশবাসীর প্রাণ সংশয় দেখা দেয় তখন তো এই প্রশ্নটাই সবাই করবে সরকার কেন এত তাড়াতাড়ি লকডাউন প্রত্যাহার করে নিল যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন বাড়াচ্ছে।  মানুষ বলতেই পারে কেউ দাবি করতেই পারে কিন্তু সরকারকে পরিস্থিতি অনুযায়ী কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেহেতু এখনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি সেহেতু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে সামলাবে কি করে !  তাছাড়া এত বড় দেশে যেখানে বিপুল জনসংখ্যা, বহু মানুষ অশিক্ষা, দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে সেখানে সমস্ত মানুষ সচেতন হয়ে রাস্তায় বেরোবে এমন আশা করা দিবাস্বপ্ন। 
        এখন লকডাউন চলছে তাতেও বহু মানুষ বেপরোয়াভাবে রাস্তায় বেরোচ্ছে। ধরে নিলাম আশি শতাংশ মানুষ সচেতনভাবে রাস্তায় বেরোবে কুড়ি শতাংশ মানুষ নিয়ম কানুন না মেনে রাস্তায় বেরোবে কিন্তু এটা এমন একটা রোগ পাঁচ শতাংশ পজিটিভ রোগী পঁচানব্বই শতাংশ সুস্থ মানুষকে সংক্রমিত করে ফেলতে পারে। যদি লকডাউন বর্ধিত করা হয় তাহলে কি হতে পারে, করোনা পজিটিভ এর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে এইভাবে কিছু বাড়তে পারে তবে ব্যাপকভাবে সংক্রমিত করতে পারবেনা, চূড়ান্ত মহামারীর পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবেনা আশা করা যায়। কিন্তু অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, অসংগঠিত ক্ষেত্রে জীবন-জীবিকা ইতিমধ্যেই সংকটের পর্যায়ে চলে গিয়েছে তাদের কিভাবে চলবে। সরকার কিছুদিন রেশনে চাল, ডাল, আটা দিল কিন্তু রেশনের খাদ্যে তো দীর্ঘদিন মানুষের সংসার চলবেনা তারজন্য নিয়মিত আয় করা দরকার। সরকার নাহলে কিছু নগদ সাহায্য করল কিন্তু তাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হবে।  ডাক্তারের চেম্বার, নার্সিংহোম বন্ধ।  করোনা ছাড়াও মানুষের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে। ক্যান্সার রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছে না, কিডনির ডায়ালিসিস বন্ধ, ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট,  মানুষের চলবে কিভাবে! 
      তাহলে এখন করনীয় কি, বড্ড কঠিন সিদ্ধান্ত! মানুষ যদি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে দৃঢ় সংকল্প হয় তাহলে হয়তো সরকার লকডাউন আরোও কিছুদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত  নিতে পারে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে মানুষের মতামত, সরকারের বড় বড় মাথা তাদের সিদ্ধান্ত, চিকিৎসক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ প্রভৃতির ওপর। আর কিছু ছাড় কিছু খোলা অর্থাৎ মধ্যপন্থা নীতিতে চললে সকল দেশবাসীর সুরাহা হবেনা। মানুষ কি পারবে,  নিয়ম কানুন মেনে রাস্তায় বেরিয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনাকে প্রতিহত করে দৈনন্দিন ও স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে। এটা ভারতবাসীর কাছে একটা বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে তবেই অর্থনীতি বাঁচানো যাবে আবার মহামারীও প্রতিরোধ করা যাবে।

লকডাউন বৃদ্ধি না প্রত্যাহার কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে ভারতবাসী ও ভারত সরকার ।

ভারত নিউজ - কেন্দ্রের লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামী  সতেরোই মে, আরো বাড়তে পারে না লকডাউন এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে জানার জন্য আরোও দু চারদিন অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু কোনটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বৃদ্ধি করা না প্রত্যাহার করা কার্যতঃ ভারতবাসী এবং ভারত সরকার উভয়ের কাছে এটা একটা উভয় সংকট। এতো কঠিন সিদ্ধান্ত গত কয়েক দশকে কোন সরকারকে নিতে হয়েছে কিনা জানা নেই । 
        এক্ষেত্রে দেশবাসীর মতামতটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আর দেশবাসীর কাছে এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। জোর করে যদি লকডাউন প্রত্যাহার করা হয় আগের মত বাজারহাট খুলবে,  অফিস, কারখানা খুলবে, বাস চলবে। অর্থনীতি, রুজি রোজগার সচল হবে।  মূলত মানুষের জীবিকা, রুজি রোজগারের জন্য লকডাউন প্রত্যাহার করাটা এখন খুবই জরুরী কিন্তু যদি এমন হয় অর্থনীতি বাঁচাতে গিয়ে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হলো। ভগবান না করুন, উপরওয়ালা না করুন মহামারীটা ব্যাপক মহামারীতে পরিণত হল কারণ সবচেয়ে বড় বিপদ মানুষের সাথে মানুষের সংস্পর্শে। ভারতবর্ষের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া মানেই তো সর্বত্র বিপুল জমায়েত, ট্রেনে বাসে ভিড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাতায়াত।  সেক্ষেত্রে রুজি-রোজগার বাঁচাতে গিয়ে যদি দেশবাসীর প্রাণ সংশয় দেখা দেয় তখন তো এই প্রশ্নটাই সবাই করবে সরকার কেন এত তাড়াতাড়ি লকডাউন প্রত্যাহার করে নিল যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন বাড়াচ্ছে।  মানুষ বলতেই পারে কেউ দাবি করতেই পারে কিন্তু সরকারকে পরিস্থিতি অনুযায়ী কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেহেতু এখনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি সেহেতু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে সামলাবে কি করে !  তাছাড়া এত বড় দেশে যেখানে বিপুল জনসংখ্যা, বহু মানুষ অশিক্ষা, দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে সেখানে সমস্ত মানুষ সচেতন হয়ে রাস্তায় বেরোবে এমন আশা করা দিবাস্বপ্ন। 
        এখন লকডাউন চলছে তাতেও বহু মানুষ বেপরোয়াভাবে রাস্তায় বেরোচ্ছে। ধরে নিলাম আশি শতাংশ মানুষ সচেতনভাবে রাস্তায় বেরোবে কুড়ি শতাংশ মানুষ নিয়ম কানুন না মেনে রাস্তায় বেরোবে কিন্তু এটা এমন একটা রোগ পাঁচ শতাংশ পজিটিভ রোগী পঁচানব্বই শতাংশ সুস্থ মানুষকে সংক্রমিত করে ফেলতে পারে। যদি লকডাউন বর্ধিত করা হয় তাহলে কি হতে পারে, করোনা পজিটিভ এর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে এইভাবে কিছু বাড়তে পারে তবে ব্যাপকভাবে সংক্রমিত করতে পারবেনা, চূড়ান্ত মহামারীর পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবেনা আশা করা যায়। কিন্তু অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, অসংগঠিত ক্ষেত্রে জীবন-জীবিকা ইতিমধ্যেই সংকটের পর্যায়ে চলে গিয়েছে তাদের কিভাবে চলবে। সরকার কিছুদিন রেশনে চাল, ডাল, আটা দিল কিন্তু রেশনের খাদ্যে তো দীর্ঘদিন মানুষের সংসার চলবেনা তারজন্য নিয়মিত আয় করা দরকার। সরকার নাহলে কিছু নগদ সাহায্য করল কিন্তু তাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হবে।  ডাক্তারের চেম্বার, নার্সিংহোম বন্ধ।  করোনা ছাড়াও মানুষের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে। ক্যান্সার রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছে না, কিডনির ডায়ালিসিস বন্ধ, ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সংকট,  মানুষের চলবে কিভাবে! 
      তাহলে এখন করনীয় কি, বড্ড কঠিন সিদ্ধান্ত! মানুষ যদি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে দৃঢ় সংকল্প হয় তাহলে হয়তো সরকার লকডাউন আরোও কিছুদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত  নিতে পারে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে মানুষের মতামত, সরকারের বড় বড় মাথা তাদের সিদ্ধান্ত, চিকিৎসক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ প্রভৃতির ওপর। আর কিছু ছাড় কিছু খোলা অর্থাৎ মধ্যপন্থা নীতিতে চললে সকল দেশবাসীর সুরাহা হবেনা। মানুষ কি পারবে,  নিয়ম কানুন মেনে রাস্তায় বেরিয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনাকে প্রতিহত করে দৈনন্দিন ও স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে। এটা ভারতবাসীর কাছে একটা বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে তবেই অর্থনীতি বাঁচানো যাবে আবার মহামারীও প্রতিরোধ করা যাবে।

শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

ষষ্ঠ শ্রেণি , ইতিহাস - অনলাইন ক্লাস , পঞ্চম অধ্যায় - বৌদ্ধ ধর্ম ও বুদ্ধ ।

       নেপালের তরাই অঞ্চলে  কপিলাবস্তুর অন্তর্গত  লুম্বিনী উদ্যানে  566 খ্রিস্টপূর্বাব্দে  বুদ্ধের জন্ম হয় । তাঁর পূর্বনাম ছিল সিদ্ধার্থ । তাঁর পিতার নাম ছিল শুদ্ধোধন  এবং মাতার নাম মায়া দেবী। রাজপ্রাসাদের ঐশ্বর্যের মধ্যে বড় হলেও তিনি সুখী ছিলেন না। তিনি মানুষের  জরা , ব্যাধি  ও মৃত্যু দেখে  ব্যাথিত হন। তিনি জীবাত্মার  মুক্তির পথ খুঁজতে লাগলেন ।  29 বছর বয়সে তাঁর একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সংসারে মায়ার বন্ধন ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে এই ভেবে তিনি একদিন গভীর নিশীথে  সকলের অগোচরে  গৃহত্যাগ করেন । তাঁর এই গৃহত্যাগ  ইতিহাসে  ' মহাভিনিষ্ক্রমণ ' নামে পরিচিত ।
       সিদ্ধার্থ  49 দিন তপস্যা করে দিব্যজ্ঞান অর্জন করেন ও বুদ্ধ নামে পরিচিত হন । তিনি lসারনাথে লুম্বিনী উদ্যানে পাঁচজনের কাছে তাঁর ধর্ম প্রচার করেন । তাঁর ধর্মপ্রচারের ঘটনাটি ' ধর্মচক্র প্রবর্তন ' নামে পরিচিত । তিনি  আর্য সত্য পালনের জন্য ও পার্থিব তৃষ্ণা অবসানের জন্য আটটি সত্যের সন্ধান দেন যা ইতিহাসে ' অষ্টাঙ্গিক মার্গ ' নামে পরিচিত।  এই আটটি মার্গ হল -  সৎ বাক্য , সৎ কর্ম ,  সৎ জীবিকা , সৎ চেষ্টা,  সৎ চিন্তা,  সৎ সচেতনতা, সৎ সংকল্প, সৎ দৃষ্টি । অষ্টাঙ্গিক মার্গ ছাড়াও বুদ্ধ আর্য সত্য পালনের কথা বলেছিলেন । আর্য সত্য হলো ইহজগত দুঃখময় , দুঃখের কারণ আছে ,  দুঃখ নিবৃত্তির উপায় আছে ,  দুঃখ নিবৃত্তির শ্রেষ্ঠ পথ কি তা জানতে হবে। বুদ্ধ মধ্যপন্থার কথা বলেছিলেন ।  মধ্যপন্থা কথার অর্থ হল কঠোর কৃচ্ছসাধনা ও বিপুল ভোগবিলাস দুটোই পরিহার করে মাঝামাঝি পথ নেওয়া । মূলত গৃহী মানুষের জন্যই তিনি মধ্যপন্থার কথা বলেছিলেন । তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংঘবাসের উপরে গুরুত্ব দিয়েছিলেন । সংঘগুলি ছিল গণতান্ত্রিক ও স্ব-শাসিত ।  এছাড়া তিনি পঞ্চশীল পালনের কথা বলেন। পঞ্চশীল হল পাঁচটি গুণের সমাহার। এই পাঁচটি গুণ হলো অহিংসা, পরের সম্পত্তি আত্মসাৎ না করা, ব্যভিচার না করা, মদ্যপান না করা ও মিথ্যা কথা না বলা। 
      বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম ছিল ত্রিপিটক। পিটক কথার অর্থ ঝুড়ি ।  ত্রিপিটক তিনটি ভাগে বিভক্ত -বিনয় পিটক, সূত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক। বিনয় পিটকে রয়েছে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের জীবন যাপন, সুত্ত পিটকে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের নৈতিক দিকগুলি,  অভিধর্ম পিটকে রয়েছে আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক দিকগুলি। আনুমানিক 486 খ্রিস্টপূর্বাব্দে মল্ল রাজ্যের রাজধানী কুশিনগরে বুদ্ধ দেহত্যাগ করেন। তাঁর এই দেহত্যাগ ইতিহাসে মহাপরিনির্বাণ নামে পরিচিত । 
      বুদ্ধের মৃত্যুর পর তাঁর বাণী ও উপদেশসমূহ সংকলনের উদ্দেশ্যে তাঁর শিষ্যরা কয়েকটি সঙ্গীতি আয়োজন করেন , এগুলি বৌদ্ধ সংগীতি নামে পরিচিত । সংগীতি কথার অর্থ সম্মেলন। প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি আয়োজন হয়েছিল বুদ্ধের মৃত্যুর পর রাজগৃহে অজাতশত্রুর পৃষ্ঠপোষকতায় মহাকাশ্যপ এর সভাপতিত্বে। এই সম্মেলনে বুদ্ধের বাণীগুলি বিষয় অনুসারে ত্রিপিটক এ  বিভক্ত করা হয়। দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয় বৈশালীতে কাকবর্ণর রাজত্বকালে। সভাপতিত্ব করেন যশ। এই সম্মেলনে বৌদ্ধধর্ম থেরবাদী ও মহাসংঘিকা এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয় অশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় পাটলিপুত্রে। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তিস্য। এই সম্মেলনে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য ধর্মদূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয় কনিষ্কের রাজত্বকালে 78 খ্রিস্টাব্দে কাশ্মীরে মতান্তরে জলন্ধরে বসুমিত্রর সভাপতিত্বে। এই সম্মেলনে বৌদ্ধধর্ম হীনযান ও মহাযান এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এছাড়া এই সম্মেলনে বৌদ্ধ বিভাষা রচিত হয়। হীনযানরা বুদ্ধের মূর্তি পূজায় বিশ্বাসী ছিলনা অপরদিকে মহাযানীরা বুদ্ধর ওপর দেবত্ব আরোপ করে। হীনযানরা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আত্মার মুক্তির কথা বলেন, মহাযানরা বুদ্ধভক্তি দ্বারা সকলের মুক্তির কথা বলেন। বুদ্ধ সামাজিক ভেদাভেদ দূর করে সকলকে মর্যাদা দিয়েছিলেন। তিনি নারীদেরকেও সমান অধিকার দিয়েছিলেন। গণিকা আম্রপালিকে তিনি শিষ্যত্ব দিয়েছিলেন। 
      এখান থেকে যে প্রশ্নগুলি করতে হবে বুদ্ধের জন্ম কবে কোথায় হয়েছিল, ধর্মচক্র প্রবর্তন বলতে কী বোঝো, অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলতে কী বোঝো, আর্যসত্য কি, পঞ্চশীল কি, ত্রিপিটক কি, ক'টি বৌদ্ধ সংগীতি আয়োজিত হয়েছিল, হীনযান ও মহাযান বলতে কী বোঝ, বুদ্ধের মৃত্যু কবে হয়, মধ্যপন্থা বলতে কী বোঝো ? 
       বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি। সবাই বাড়িতে থাকবে সুস্থ থাকবে।
       কোনও সমস্যা থাকলে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে জানাতে হবে -  8597510299

বুধবার, ৬ মে, ২০২০

মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োটেকনোলজির গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে করোনা পরিস্হিতিতে ।

   ভারত নিউজ , পাঁশকুড়া - পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ পশ্চিমবঙ্গের বৃহৎ কলেজগুলির অন্যতম ।  আজ থেকে প্রায় আঠেরো  বছর আগে পাঁশকুড়া বনমালী কলেজে খোলা হয়েছিল মাইক্রোবায়োলজি,  বায়োটেকনোলজি প্রভৃতি আধুনিক কোর্স, সেই সময় কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ডঃ সুব্রত মন্ডল তিনি অনেকদিন অবসর নিয়েছেন । যে বায়োটেকনোলজি পড়তে  ছেলে - মেয়েদের ব্যাঙ্গালোরে যেতে হয়  পাঁশকুড়ার মতো একটি গ্রামীণ জায়গায়  বায়োটেকনোলজি , মাইক্রোবায়োলজির মতো কোর্স খুলে দিয়ে কার্যত সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ ।  সেই সময় পাঁশকুড়া কলেজে এই সমস্ত কোর্স খোলার পর অনেক হাসাহাসি হয়েছিল । তাদের বক্তব্য ছিল বনমালী কলেজের কি এমন পরিকাঠামো রয়েছে এই সমস্ত অত্যাধুনিক সাবজেক্ট খুলেছে ।  আশেপাশের অন্যান্য কলেজের অধ্যাপকরা  হাসাহাসি করতো ।  এতগুলো খুলে দিয়েছে সামলাতে পারবে ? একান্ত সাক্ষাৎকারে সুব্রতবাবু সেদিন এই প্রতিবেদককে একটা কথাই বলেছিলেন অবসর নেওয়ার আগে করে দিয়ে যাচ্ছি যতটা পারি ।  আজ যখন বিশ্বজুড়ে কোভিড -19 নামক মহামারীতে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষ বেসামাল, বারবার একটা কথাই বলা হচ্ছে টেস্টিং, টেস্টিং এন্ড মোর টেস্টিং তখন বোঝা যাচ্ছে মাইক্রোবায়োলজি , বায়োটেকনোলজির গুরুত্ব । পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষকে আগামীদিনে জৈব আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োটেকনোলজি কোর্স , গবেষণার ওপরে গুরুত্ব দিতে হবে ও উন্নত গবেষণাগার গড়ে তুলতে হবে । চিকিৎসাব্যবস্হাকে উন্নত করে তোলার জন্য চিকিৎসক ও হাসপাতালের পাশাপাশি এই দুটি ক্ষেত্রকে উন্নত করে তুলতে হবে ৷  ওষুধ নির্মানের জন্যও এই দুটি বিষয়ের গুরুত্ব অপরিসীম । উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও রোগ পরীক্ষা , কিট তৈরি, উন্নত মানের ওষুধ তৈরি করতে হবে এবং এক্ষেত্রে সহায়তা করে মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োটেকনোলজি । বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কিছু কলেজে খোলা হয়েছে মাইক্রোবায়োলজি এবং বায়োটেকনোলজি যদিও সংখ্যাটা খুব বেশি নয় তবে কোর্স করার পাশাপাশি এই দুটি বিষয়ে গবেষণা এবং তার জন্য উন্নত মানের ল্যাবরেটরি গড়ে তুলতে হবে এবং ভালো শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। চিত্র -  গুগুল ইমেজ ।

সোমবার, ৪ মে, ২০২০

কোভিড - 19 এর বিরুদ্ধে লড়াইতে বিভক্ত চিকিৎসক সমাজ ।

       ভারত নিউজ - এক শ্রেণীর চিকিৎসক জীবন নাশকারী কোভিড -19 নামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে জীবনবাজী রেখে লড়ছেন । প্রতিদিনই আইসোলেশানে থাকা বহু মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন । ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করা চিকিৎসকদের জন্যই সেটা সম্ভব হচ্ছে । শুধু ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করাই নয় , পিপিই , মাস্ক , গ্লাভস পরে দিনের পর দিন চিকিৎসা করাটাও কষ্টকর কাজ । করোনা হাসপাতালে কঠিন নিয়মকানুনের মধ্যে চিকিৎসা করতে হয় ডাক্তার ও স্বাস্হ্যকর্মীদের , একচুল নিয়মের এদিকওদিক হলেই সংক্রমিত হবার আশঙ্কা । আরেক শ্রেণীর চিকিৎসক লকডাউন পালন করছেন । স্বাস্থ্য পরিষেবাকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে । কিন্তু , কিছু চিকিৎসক , ল্যাবরেটরি এমনকি গ্রামীণ চিকিৎসক ভাবছেন বেঁচে থাকলে সারাজীবন চিকিৎসা  করবো , কয়েকদিন নাহলে চিকিৎসা নাই করলাম । অথচ , কোভিড-19 চলাকালীন মানুষের অন্য কোনও সমস্যাও হতে পারে । তাহলে , মানুষ কি বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকবে ? চিকিৎসা পরিষেবাটা পেশা নয় , সেবা । ছোট বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ । বাড়িতে দৌড়োদৌড়ি করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কেটে গেলে চিকিৎসা পাবেনা । মাস্ক , গ্লাভস পরে চিকিৎসা করতে আপনাদের কিসের সমস্যা । চেম্বারে সামাজিক দূরত্ব নিয়েই বসুন । খুব দরকার না থাকলে রোগীর গায়ে হাত দিতে হবেনা । বয়স্ক মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন । এভাবে , দুই মেরুতে অবস্থান করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা । কেউ বিশ্বকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে শহীদ হচ্ছেন । আরেকটা কথা উল্লেখ করতেই হয় , কোভিড-19 এর সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের মধ্যে শতকরা একাশি শতাংশ গর্বিত যে এই মহান কাজে তাঁরা নিজেদের যুক্ত করতে পেরেছেন । এক তরুণী চিকিৎসক হতাশ হয়েছিলেন যখন দেখেন কোভিড-19 এর চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্যানেলে তাঁর নাম নেই । তাঁর অদম্য ইচ্ছায় তাঁকে প্যানেলে অর্ন্তভুক্ত করা হয় । প্রতীকি চিত্র ।

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...