বুধবার, ১৩ মে, ২০২০

আজ কবি সুকান্তর মৃত্যুদিন, ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় , পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ।

     ভারত নিউজের সম্পাদকীয় কলম - কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের কবিতার একটি লাইন‍ - ' ‌‌‌‍ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় , পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। '  আসলে বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ ভারতবাসী ক্ষুধার সাথে খুব পরিচিত, হয়তো তারা পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটি মনে করে তার দিকে তাকিয়ে থাকতো। কিন্তু বর্তমানে ভারতবাসীর পেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। এখন দেশ উন্নয়নের দিকে। কিন্তু আজও হাজার হাজার ভারতবাসীর সন্তান যারা বস্তির অধিবাসী, দিন আনে দিন খায়, দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে পারেনা, তাদের কাছে ঝলসানো রুটিকে আকাশের পূর্ণিমা চাঁদের মতোই আরাধ্য লাগে। আজ সুকান্তর মৃত্যুদিনে তার বহু কবিতার মধ্যে এই কবিতাটি বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত। বর্তমানে সারা পৃথিবী মহামারী ও লকডাউন এর জোড়া ফলায় বিদ্ধ।  পৃথিবীজুড়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণ, মৃত্যুর মিছিল সেই সঙ্গে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার।  যেদিন সুকান্ত এই কবিতাটি লিখেছিলেন সেদিন যেমন এই কবিতার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর আর্থসামাজিক অবস্থা বেআব্রু হয়ে গিয়েছিল আজও এই কবিতাটি বিশ্বজোড়া মানুষের খিদের জ্বালাকে খোঁচা দিয়ে মনের মণিকোঠায় আঘাত হানে। পৃথিবী বদলে গেছে কিন্তু পৃথিবীর ধন সম্পদ মুষ্টিমেয় মানুষের নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গেছে তাই করোনার  একটা ধাক্কায় এই উন্নত যুগে ও সভ্য সমাজেও কোটি কোটি মানুষ অসহায় ও ক্ষুধার্ত। মানুষকে অপরের দেওয়া দানের উপরে বা সরকারের দেওয়া সামান্য সাহায্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে।  যদি সম্পদের সমবন্টন হত তাহলে পৃথিবীতে ক্ষুধা, দারিদ্র থাকতোনা। যতই আঘাত আসুক মানুষকে খিদের জ্বালায় জ্বলতে হতোনা বা অপরের সাহায্যে বেঁচে থাকতে হতোনা। সেই সঙ্গে কিছু দেশের সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী মনোভাব ও কাজকর্ম বিশ্বের সমস্ত দেশ এবং তার আপামর মানুষকে হাহাকারের মধ্যে ফেলে দেয় এবং চাঁদের সাথে সুন্দর পৃথিবীটাকেও ঝলসানো রুটি বানিয়ে দেয় ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...