শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০

বিদ্যুৎ দপ্তরের অক্লান্ত চেষ্টায় এবং চূড়ান্ত দক্ষতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করার চেষ্টা চলছে ।

ভারত নিউজ - বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকটি জেলা ওলটপালট। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে আছে অথবা ড্যামেজ হয়ে পড়ে আছে।  হাজারে হাজারে গাছ বিদ্যুতের তারের উপর ভেঙে পড়ে আছে তার ছিঁড়ে ঝুলছে। এত বড় বিপর্যয়ের পরেও গতকাল থেকে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে, অনেক জায়গায় এখনও চালু করতে পারেনি। গতকাল অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার পর জল সরবরাহ শুরু হয়েছে, ইন্টারনেট চালু হয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীও আধিকারীকদের অক্লান্ত চেষ্টায় এবং চূড়ান্ত দক্ষতায় সেটা সম্ভব হয়েছে। যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও চালু হয়নি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা সচল করা যায়। এইরকম ঝড়ের সাথে বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মীরা আগে কোনদিন মোকাবিলা করেছে কিনা জানা নেই।  
বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্মী জানান যে পোস্টে আর যে ক্যাপাসিটিতেই চাকরি করিনা কেন, দিনের শেষে আমি একজন ইমার্জেন্সি এমপ্লয়ী। আমি বিদ্যুৎকর্মী। বিশ্বাস করুন, গত আটচল্লিশ ঘন্টায় আমাদের দপ্তরের কেউ ঘুমোয়নি। আমাদের মোবাইল ভ্যান, রেস্টোরেশন টিম দিনরাত এক করে ফিল্ডে আছে। 

দুই চব্বিশ পরগণা সহ হাওড়া ধ্বংসস্তুপ হয়ে গেছে। ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ জেলা। প্রতি কিলোমিটারে গড়ে সাতটা করে গাছ পড়ে আছে। গুনে শেষ করা যাবেনা এত পরিমাণে ইলেকট্রিক পোল ভেঙে পড়ে আছে সর্বত্র৷ যেগুলো দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোর বিশাল শতাংশ ড্যামেজড। অগুন্তি জায়গায় ট্রান্সফরমারে দাউদাউ করে আগুন লেগেছে। এমতাবস্থায় যদি পাওয়ার চার্জ করা হয়, ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে। জমা জলে, ছেঁড়া তারে যে পরিমাণ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্সিডেন্ট হবে, তা ধারণার বাইরে। বাড়ি ঘরদোর আর ইন্টারনাল ওয়্যারিংয়ের যে ক্ষতি হয়েছে তা বাদই দিলাম। এটা ইলেকট্রিক্যাল নেটওয়ার্ক, সাপের ছোবলের মতো ভয়ানক একটা ব্যাপার। 

রাজ্যজুড়ে এই ভাস্ট ইলেক্ট্রিকাল নেটওয়ার্কটা যেভাবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তা আগের জায়গায় রেস্টোর করতে যতদিন লাগা উচিত, আমরা সবাই জানি ততদিন সময় দেওয়া যাবে না। জল, আলো, চার্জ, ইন্টারনেট না থাকায় অনেকেই অস্থির হয়ে উঠেছেন। স্বাভাবিকও। কিন্তু বুঝুন যারা কাজ করছে নাওয়াখাওয়া ভুলে তারাও মানুষ, তাদেরও পরিবার, সংসার আছে, এবং এই রেস্টোরেশন প্রসেসে তাদেরও অনেক  ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। সামান্য ভুলে পোলের মাথায় কাজ করতে করতে  দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এটা হয়, এটা হয়েই থাকে। 

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অফিসে চড়াও হওয়া শুরু হয়েছে। টেবিল চেয়ার উল্টে মারধোর করা হচ্ছে কারেন্ট নেই বলে। মার খাচ্ছে কর্মীরা। বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মী বলেন এখন সেসব  অ্যাড্রেস করার সময়ও নেই। আমরা সহানুভূতি চাইনা, শুধু একটু বুঝুন, সহযোগিতা করুন। পার্শিয়াল চার্জিং শুরু হয়েছে। যুদ্ধকালীন সার্কুলার হয়েছে। ড্রিংকিং ওয়াটার সোর্স, ইর‍িগেশান সোর্স, হাসপাতাল এবং টেলিকম টাওয়ার-এর ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। দু-তিনটে দিন একটু কষ্ট সহ্য করে নিন। অন্তত নিজেদের প্রাণের স্বার্থে। প্লিজ।আইলার পর পাঁচ দিন পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছিলাম একটু মনে করুন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...