ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কয়েকটি টিম পাঠিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে দীঘা, সুন্দরবন উপকূলে এই টিমগুলি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়় আমফান বুধবার আছড়ে পড়তে পারে তবে তার প্রভাবে আগামীকাল দুপুর থেকেই প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেউ গুজবে কান দেবেননা, সকলে মোবাইলে চার্জ্ দিয়ে রাখবেন, অত্যাবশ্যক খাদ্য ও পানীয় জল ঘরে মজুদ রাখবেন, মৎস্যজীবীরা নদীতে, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেননা, বাড়ির পোষ্যদের মুক্ত অবস্থায় রাখুন যাতে তারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষা করতে পারে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে় যাওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তখন তার গতি কিছুটা কমে যাবে তবে সেটাও প্রায় দুশো কিলোমিটারের আশেপাশে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, দুই চব্বিশ পরগনা ও দুুই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছাসের সম্ভাবনাও রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় এর প্রত্যক্ষ প্রভাব রামনগর, দেশপ্রাণ, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, সুতাহাটা প্রভৃতি ব্লকগুলিতে পড়তে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ত্রাণ পাঠিয়েছে। করোনার আবহে ঘূর্ণিঝড় আবার একটি নতুন ঝটকা। আপাতত দেশবাসীর কাছে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। প্রতীকি ছবি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন