পৌঁছে গিয়েছিলেন। চাল, ত্রিপল দুর্গত মানুষদের জন্য যা যা লাগে সবই নিয়ে গিয়েছেন। একটা নৌকার ব্যবস্থাও করেছিলেন। ২০০৯ সালে যখন ভয়াবহ আয়লা সুন্দরবন অঞ্চলে আছড়ে পড়েছিল তখন তিনি একমাত্র মন্ত্রী যিনি মাঠে ময়দানে মানুষের সাথে থেকে কাজ করেছিলেন। রায়দিঘিতে তাঁর স্ত্রীর একটি স্কুল রয়েছে। বেশ কিছু মানুষকে সেই স্কুলে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ২০০১ এবং ২০০৬ এর বিধানসভায় মথুরাপুর বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি প্রথমে সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। সুভাষ চক্রবর্তী মারা যাওয়ার পর ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ এই দুটি দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলান তবে ২০১১ তে প্রবল পরিবর্তনের হাওয়ায় রায়দিঘি আসনে হেরে যান। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল সেলিব্রিটি প্রার্থী দেবশ্রী রায়। ২০১৬ র বিধানসভায় হেরে যান খুব সামান্য ভোটে তবে ভোটে হেরে গেলেও রায়দিঘির মানুষের সঙ্গে থাকেন সবসময়। বুলবুল ঝড়ের সময়ও নিজের কর্তব্য অটুট রেখেছিলেন। বন্যা হলেও সেই কান্তি ।
এখন আর সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে সবসময় দেখা যায়না কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে সবার আগে তিনি। একসময় ন্যায় অন্যায় নিয়ে সরব হয়ে দলের মধ্যেই বিষ নজরে পড়েছিলেন। আনন্দমার্গী হত্যায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল যদিও এই হত্যাকাণ্ডে যে কমিশন গঠিত হয়েছিল এই কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তিনি কমিশনের সামনে হাজির হয়েছিলেন। রায়দিঘি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিকূল। এরকম একটি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ ভরসা রাখেন এই ব্যক্তির ওপর যার বয়স পঁচাত্তর হয়ে গিয়েছে কিন্তু কাজের বেলায় আঠেরো বছরের যুবক। ভোট পাখির মত রাজনীতি তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নয় । এইরকম ভাবমূর্তির মানুষ দলবদল করলেও পেয়ে যেতেন আকর্ষণীয় অফার। তবে অফারের পেছনে দৌড়ানোর ইচ্ছে বা আগ্রহ কোনটাই নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন