শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

বাস চালানো ও ভাড়া নির্ধারিত করা হোক যাত্রীসাধারণ , বাস মালিক ও সরকারের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে ।

 ভারত নিউজ - লকডাউন হয়তো এখনো চলতে পারে তবে পশ্চিমবঙ্গসহ  সারা ভারতে  কন্টেনমেন্ট  জোন ছাড়া  বাস চলাচল শুরু করবে। তবে, বাসে যাত্রী ওঠানামার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে অর্থাৎ সেই ভিড় বাস বা বাদুড়ঝোলা বাসের চেনা চিত্রটা আর দেখতে পাবোনা । কুড়ি জন বা তিরিশ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বাসের ভাড়া নিয়ে একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বাস মালিকরা জানায় এতো কম যাত্রী নিয়ে বাস চালালে  তাদের দৈনন্দিন  প্রচুর লোকসান হবে সেজন্য সরকার প্রথমে জানিয়েছিল  বাসের ভাড়া নির্ধারণ করবে  বাস মালিকরা কিন্তু সেটা নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয় কারণ একটি গণতান্ত্রিক দেশে  বেসরকারি ক্ষেত্রেও সরকারের  নীতি নির্ধারণ থাকে।অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন মন্ত্রী জানান সরকারি বা বেসরকারি বাসে  নির্ধারিত 
ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রী সাধারণকে দিতে হবেনা। এতে সাধারণ মানুষের  কিছুটা সুরাহা হবে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে। তবে, এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সহ  সারা ভারতে  একটা  নীতি নির্ধারণ  করা হোক যাতে  যাত্রী সাধারণ,  বাস মালিক  এবং সরকারের  স্বার্থ  সুরক্ষিত থাকে।  বাসের  ভাড়া নির্ধারণ করা হয়  সিট সংখ্যার ভিত্তিতে। বাসে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী নিয়ে যাওয়া নিয়মবিরুদ্ধ তাই যদি ষাট সংখ্যার একটি বাসে  একজন যাত্রী  তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আগে দশ টাকা ভাড়া দিত এখন যদি  বাসে  তিরিশ জন  যাত্রীকে  ওঠার অনুমতি  দেওয়া হয়  তাহলে  ওই যাত্রীর  ভাড়া হওয়া উচিত কুড়ি টাকা  আর যদি  কুড়ি জন যাত্রীকে  ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়  তাহলে  দশ টাকার টাকার যাত্রীর  ভাড়া হওয়া উচিত  তিরিশ টাকা । সেক্ষেত্রে  বাসযাত্রী যেমন  ঠিকঠাক ভাড়া দিয়ে  তার গন্তব্যস্থলে  যেতে পারবে তেমনি  বাস মালিকের  স্বার্থও সুরক্ষিত থাকবে।   লোকসানে চললে বাস মালিকরা বাস চালাতে নাও চাইতে পারে।  ড্রাইভার ও অন্যান্য কর্মীদের বেতন দিতে সমস্যা হতে পারে। সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ক্রমাগত সরকারি ভর্তুকিতে বাস  চালালে কোষাগারে টান পড়তেে পারে। তাছাড়া এভাবে দীর্ঘদিন বিধিনিষেধ মেনে
বাস চালাতে হতে পারে কারণ এই মহামারী বা ভাইরাস কবে নির্মূল হবে কেউ জানেনা।  ভর্তুকি সাময়িক বা কয়েকদিনের জন্য হতে পারে এটা দীর্ঘমেয়াদী চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করা ও  সামাজিক দূরত্ব  সঠিকভাবে পালন করার জন্য সমস্ত বাস যাতে রাস্তায় নামে  সেটাও দেখতে হবে। বাসের সংখ্যা যথেষ্ট না হলে সমস্ত যাত্রীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাসে তোলা সম্ভব নয়। ন্যায্য ভাড়া পেলে বাস মালিকরা বাস চালাতে  আগ্রহী হবে  সেইসঙ্গে কেন্দ্র সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের  মূল্য  কিছুটা হ্রাস করুক কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম তলানিতে। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমলে  পরিবহন খরচও কমবে । পরিবহন ব্যবস্থা যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে তাই বাস্তব পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বাস ভাড়া নির্ধারিত হোক ও পরিবহন ব্যবস্থাকে সচল রাখা হোক । এসি বাস বা লাক্সারি বাসগুলির ক্ষেত্রেও সিট সংখ্যার ভিত্তিতে এবং বর্তমান  যাত্রী সংখ্যার ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারিত করা হোক। আশা করা যায় পরিবর্তিতিত পরিস্থিতিতে
 জনসাধারণ এবং সমস্ত রাজনৈতিক দল বিষয়টি বুঝতে পারবে । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...