শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০

তৃণমূলের নতুন কমিটিতে কি কি তাৎপর্য রয়েছে।

   ভারত নিউজ - তৃণমূলের নতুন কমিটি।  এখানে চমক রয়েছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও ছত্রধর মাহাতো । দুজনেই বিতর্কিত তবে ছত্রধর মাহাতোকে তৃণমূল এই মুহূর্তে পিছিয়ে থাকা জঙ্গলমহলে তুরুপের তাস হিসেবে খেলতে চাইছে অপরদিকে ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় বিতর্কিত হলেও সুবক্তা, ভালো সংগঠক তাই বিধানসভা ভোটের আগে তাকে কাজে লাগাতে চাইছে। এছাড়া যুব ও কোর কমিটিতে রয়েছে অভিনেতা সোহম। এখনও বাংলার গ্রামের মহিলাদের কাছে বাংলা সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আকর্ষণীয় তাই সোহমকে দলের পুরো ভাগে রাখা হয়েছে। অপরদিকে নদীয়াতে দলের মুখ করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে কারণ নদীয়াতে বিজেপি খুব শক্তিশালী তাই সেখানে মহুয়া মৈত্র তরুণ মুখ, স্পষ্টভাষী পরিচিতি রয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে বেশি গুরুত্ব পেল সেটা স্পষ্ট নয় তবে যাই হোক ভোট বৈতরণী উতরাতে গেলে তৃণমূলের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারী। যেমন যতই বিতর্কিত হোক বীরভূমে বৈতরণী পার হতে গেলে দরকার অনুব্রত মণ্ডলকে তবে ছত্রধর মাহাতো কি পারবে পিছিয়ে থাকা জঙ্গলমহলের মাটি উদ্ধার করতে। এক্ষেত্রে যেটা বলার ছত্রধর মাহাতো একদা জঙ্গলমহলের অবিসংবাদী নেতা ছিলেন ভয় হোক আর ভক্তিতেই হোক ওখানকার জল পড়া, পাতা পড়া সবই তার অঙ্গুলিহেলনে হত কিন্তু ছত্রধর মাহাতো কোন একক নেতা ছিলেননা তিনি ছিলেন জনগণের কমিটির নেতা। একজন নেতা তখনই বলিয়ান হয়ে ওঠেন যখন তার পেছনে পুরো সংগঠন থাকে। জনগণের কমিটি এখন আর নেই সেক্ষেত্রে তার পেছনে রয়েছে তৃণমূলের সংগঠনের সমর্থন। তার যেটা প্লাস পয়েন্ট জঙ্গলমহলের প্রতিটি উপজাতি পাড়া চেনেন ও জানেন হাতের তালুর মতো তবে সেটাই সাফল্যের পেছনে মূল চাবিকাঠি নয়। তাছাড়া, ছত্রধর মাহাতো যে এলাকার নেতা ছিলেন তার মধ্যে শুধু ঝাড়গ্রাম লোকসভা এলাকা পড়বে অপরদিকে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার বিধানসভা আসনগুলিতে ছত্রধর মাহাতোর প্রভাব সেরকম ছিলনা তাই আদতে যেটা দাঁড়াচ্ছে জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধার করতে গেলে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যাট ধরতে হবে কারণ সদ্য রাজ্য কমিটিতে স্থান পাওয়া ছত্রধর মাহাতোকে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার নেতা-কর্মী ও জনগণ কতটা মেনে নেবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার নদীয়াতে তৃণমূলের ঝকঝকে, তাজা, যুক্তিবাদী, স্পষ্টবাদী, তরুণ মুখ মহুয়া মৈত্র, তার কাটছাঁট কথা দলের সব নেতার পছন্দ নাও হতে পারে তবে নদীয়া এবং আরো অনেক জেলার মানুষের মধ্যে তার একটা নেতৃত্ব ও ইমেজ ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে। অপরদিকে সোহম তারকা ও সেলিব্রিটি হিসেবে তাকে তুলে ধরা হয়েছে যদিও দলের সাংগঠনিক কাজে কতটা সময় দেবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে যে কোন সমাবেশে দর্শক টানতে তারকারা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেটা বারবার স্পষ্ট হয়েছে তবে শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত নেতার নেতৃত্ব তখনই সফল হবে জনগণের বিশেষত পঞ্চাশ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়ার সময় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা, আইন শৃঙ্খলা প্রভৃতি বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে সেইসঙ্গে নিচুতলার কর্মীদের আন্তরিকতা অনেকটাই বড় ভূমিকা নেয় কারণ বাংলায় যে একটা গেরুয়া ঝড় বড় অংশের মানুষের মধ্যে বইছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই । আর ঋতব্রত বিতর্কিত নেতা তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও চলছে। ভারতবর্ষে নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা ফৌজদারি কেস চলে সেটা জনগণের মধ্যে খুব একটা প্রভাব পড়েনা তবে ঋতব্রত যে কেসটাতে জড়িয়েছেন ভারতবর্ষের সমাজে সেটা এখনও পর্যন্ত ভালো চোখে দেখা হয় না। তাকে দলে নেওয়া হয়েছে কারণ একটি প্রতিষ্ঠিত দলের প্রতিষ্ঠিতা নেতা ছিলেন। ভারতবর্ষে আইপিএলের মতো একবার কোনও দলে প্রতিষ্ঠিত  হয়ে গেলে দল পরিবর্তন করলেও স্থান পাওয়া যায় যেমন পেয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত।  ঋতব্রত ভালো বক্তা ও দক্ষ সংগঠক সেই সঙ্গে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তাই দল তাকে কাজে লাগাতে চাইছে তবে তৃণমূল একসময় তার শাস্তি চেয়ে ফেস্টুন হাতে রাস্তায় নেমেছিল বিজেপির আইটি সেল সেই পুরনো ছবি, পুরনো মিছিল যেটা বালুরঘাটে হয়েছিল অতি নৈপুণ্য ও দক্ষতার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে মানুষের মধ্যে প্রচার করেছে এবং মানুষ কিছুটা হলেও সেটা খেয়েছে। সেক্ষেত্রে ঋতব্রতর  ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাটা অনেক কঠিন কাজ। তাছাড়া, তৃণমূলের যুব সংগঠনের কর্মীরা শুভেন্দুকে এক ও অবিসংবাদী নেতা বলে গণ্য করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...