রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

বড়মা হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংবর্ধনা ।

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতাল থেকে হাজারের অধিক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে সংবর্ধনা দেয় । সংবর্ধনা দেন বড়মা হাসপাতালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আফজল শাহ । সংবর্ধনা দেওয়া হয় হাসপাতালের চিকিৎসক ভাস্কর রায়, তাঁর স্ত্রী ডাক্তার মধুমিতা রায় ও সার্কেল ইন্সপেক্টরকে । ভাস্কর বাবু বলেন এখান থেকে ১০৩৪ জনকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে, এই মুহূর্তে ৯০ জন ভর্তি রয়েছে এবং আজ ২৭ জনকে ছাড়া হয় । চিকিৎসক মধুমিতা রায় বলেন তিনি অন্যত্র করোনা হাসপাতালেও কাজ করেছেন তবে সেখানে রোগীরা এত খোলামেলা থাকার সুযোগ পায়না যেটা এখানে পায়। এই খোলামেলা পরিবেশটা রোগীদের জন্য খুব ভালো ।

নেতাজীর জীবনে আগস্টের ১৫, ১৮ ও ২৩ এই তিনটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

ভারত নিউজ – ১৫ ই আগস্ট ,ভারত স্বাধীন হয়, ১৮ ই আগস্ট ১৯৪৫ সালে ঘটেছিল তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনা । যেই বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয় । অন্তত অফিসিয়ালি এই তত্বটাই স্বীকৃত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু জনমতের চাপে সম্ভব হয়নি । এর প্রায় দু বছর বাদে ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে ।যদিও নেতাজির আইএনএর বহু সদস্য ওই বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্বকে মানতে নারাজ ।

সরকারিভাবে স্বীকৃত বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল । তাইহোকু সামরিক হাসপাতালে ১৮ই আগস্ট সন্ধ্যার দিকে নেতাজির মৃত্যু হয় । তাইহোকু জাপানের একটি বিমানবন্দর ।একটি জাপানি বিমান যার অনেক যাত্রীর মধ্যে একজন যাত্রী নেতাজি ছিলেন তাইহোকুতে জ্বালানি ভরার জন্য অবতরণ করে কিন্তু পুনরায় আকাশে ওড়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে । দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ে । সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসার পর নেতাজী বলেছিলেন আমার নয় অন্য যাত্রীদের আগে যাতে চিকিৎসা করা হয় সেটা দেখতে যদিও

হাসপাতাল সমস্ত রকম চেষ্টা চালায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয় । এর দুদিন পরে কুড়িই আগস্ট তাইহোকু শ্মশানে নেতাজির সৎকার পর্ব সম্পন্ন হয় কিন্তু আজও ভারতবাসী এই মৃত্যুকে মনে প্রানে মেনে নিতে পারেনি। মেনে না নেওয়ার পেছনে অনেক যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে কারণ মৃত্যু হলে স্থানীয় প্রশাসন একটি ডেট সার্টিফিকেট ইস্যু করে । নেতাজির ডেথ সার্টিফিকেট আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি। নেতাজির মৃতদেহের কোন‌ও ছবিও নেই। তাইহোকু সামরিক হাসপাতাল থেকে একটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছিল। যে ব্যক্তির নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছিল তার নাম ওকারা ইচিরো ,১৯ শে আগস্ট হার্ট ফেলিওরে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ।

নেতাজির আইএনএ সরকারকে বিশ্বের আটটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল । আইএনএ সরকারের রাষ্ট্রনায়ক নেতাজি সেক্ষেত্রে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলি কোন শোক পালন বা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিল কি ? আর যদি সত্যিই মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে কিসের এত গোপনীয়তা ! নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল উন্মোচনে কেন এতো রহস্য চাপা দেওয়া হয়েছে । সারাবিশ্বে তো কত বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে সব ক্ষেত্রে কি এত গোপনীয়তা বা রহস্য চাপা দেওয়া হয়েছে । তাহলে এই একটিমাত্র বিমান দুর্ঘটনায় কেন এত রাখঢাক । আজ এত বছর হয়ে গেল এখনো সেই রহস্য অধরা থেকে গেল । কারোর মৃত্যু হলে স্থানীয় প্রশাসন একটি ডেথ সার্টিফিকেট দেয় । তাইহোকু পুর কর্তৃপক্ষ সেরকম কোন ডেথ সার্টিফিকেট নেতাজির নামে ইস্যু করেনি । তাইহোকুর কোন স্থানীয় সংবাদপত্রেও বিমান ভেঙে পড়ার খবর সেসময় প্রকাশিত হয়নি। মুখার্জি কমিশন গঠিত হলেও সেই কমিশনের রিপোর্ট আজও জানা যায়নি । জাস্টিস মুখার্জি তাইহোকুতে গিয়েছিলেন রহস্য উন্মোচনের জন্য ।ওখানকার কর্তৃপক্ষ জানায় ১৯৪৫ সালের ১৮ ই আগস্ট কোন‌ও বিমান দুর্ঘটনা হয়নি এমনকি ওখানকার সংবাদপত্রে ১৮ই আগস্ট এর সাম্প্রতিককালে কোন বিমান দুর্ঘটনা খবর প্রকাশিত হয়নি। দীর্ঘ বছরের গোপনীয়তা ও রহস্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিথ । একাধিক সাধু , বাবাজি নেতাজি বলে প্রচার করা হয়েছে আসলে রহস্য যত দীর্ঘায়িত হয় তত বেশি করে তত্ত্ব গড়ে ওঠে । এই তত্ত্বের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি যদি পাওয়া যেত তাহলে তো রহস্যের সমাধান হয়ে যেত ।যেটা বহু বছর ধরে প্রচলিত হয়ে রয়েছে একটি চুক্তিতে নেতাজিকে আন্তর্জাতিক অপরাধী দেখানো হয়েছে অর্থাৎ নেতাজি জনসমক্ষে এলে তাকে যুদ্ধবন্দী অনুযায়ী বিচার করতে হবে কারণ তিনি সশস্ত্র সামরিক বাহিনী গঠন করে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন । তবে যে কোন চুক্তির একটি মেয়াদ থাকে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ফাইল উন্মোচিত হবে নাকি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে চুক্তির মেয়াদ বছরের-পর-বছর বাড়তে থাকবে সেটা ভবিষ্যৎ বলবে । যদি নেতাজি অন্তর্ধান হয়ে থাকে তাহলে তিনি দেশের মধ্যে না দেশের বাইরে রয়েছেন সেটাও একটা রহস্য । আরো একটা জিজ্ঞাস্য তিনি কি আত্মগোপন করে আছেন না বন্দী হয়ে আছেন। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় মৃত নেতাজির চিতাভস্ম ও অস্থি সংরক্ষিত রয়েছে জাপানের রেনকোজি মন্দিরে ।রেনকোজি জাপানের একটি বৌদ্ধ মন্দির ।নেতাজি কন্যা অনিতা বসু দীর্ঘ বিতর্ক নিরসনের জন্য চিতা ভষ্ম ভারতে আনার কথা বলেছিলেন যদিও ওই চিতা ভষ্ম আদৌ নেতাজির কিনা সেটা নিয়েও একটা প্রশ্ন রয়েছে । তাছাড়া এত বছর পরে ওই চিতা ভষ্মের ডিএনএ টেস্ট করে কোন‌ও সমাধান করা যাবে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে । ওই চিতা ভষ্ম সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছর টাকা পাঠানো হয় । রেনকোজি মন্দির একবার সম্পূর্ণ পুড়ে যায় তবে আশ্চর্যজনকভাবে চিতা ভষ্মটি অক্ষত রয়ে যায় । আবার বলা হয় ওই চিতাভস্মটি নেতাজির নয় অন্য এক সৈনিকের । তবে ,নেতাজি বেঁচে থাকবেন চিরকাল ভারতবাসীর হৃদয়ে । গুমনামি বাবাকে নেতাজী বলে দীর্ঘদিন অনেক মহলে দাবি করা হয়ে এসেছে । সম্প্রতি সেই গুমনামি নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি হয়েছে ।

আই এন এ তে নেতাজির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী কর্নেল হবিবুর যিনি ভারত স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানএ গিয়ে থাকেন তিনি ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লাহোর থেকে প্রকাশিত সিভিল এন্ড মিলিটারি গেজেটে বলেছেন নেতাজি সংক্রান্ত তিনি এতদিন যে কথাগুলি বলে এসেছেন সেগুলি সঠিক নয় ।তিনি একজন সৈনিক ।সৈনিককে কম্যান্ডোর কথা শুনতে হয় তাঁকে যেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তিনি সেভাবেই কাজ করেছেন । ‘সুভাষ ঘরে ফেরে নাই’ গ্রন্থটি থেকে এই কথা জানা যায় । আসলে বিমান দুর্ঘটনার গল্পটি সুভাষ নিজেই ফেঁদেছিলেন দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা ও ব্রিটেনকে ধোকা দেওয়ার জন্য ।

তিনি জার্মানি ও জাপানের সাহায্য চেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে এই দুই শক্তির পরাজয় হয় সুভাষ তখন অন্য কোন শক্তির সাহায্যের চেষ্টা করেন যে শক্তি ব্রিটেন বিরোধী কিন্তু তার জন্য একটা কৌশল অবলম্বন করা দরকার ছিল ।এই কৌশলে জাপান তাঁকে সাহায্য করেছিল। তিনি বলেছিলেন গন্তব্যে যেটা সম্ভাব্য রাশিয়া পৌঁছনোর পর তাঁর মৃত্যু সংবাদ যেন ঘোষণা করা হয় ।সুপরিকল্পিত কৌশল করা হয়েছিল অত্যন্ত দক্ষতার সাথে । এই গল্পটা তৈরি করার জন্য নেতাজির সহযোগী কর্নেল হবিবুর রহমানের শরীরের সামান্য অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীকালে এই কৌশলটাকে কিছু ব্যাক্তি ভাঙা রেকর্ডের মতো বাজিয়ে যায় । মুখার্জি কমিশন এর সাথে তাইহোকুতে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্য ।তিনি বলেন তাইহোকু শ্মশানে আমরা প্রতিটি রেকর্ড খুঁজে দেখেছি কোথাও নেতাজির নাম নেই। তাইহোকু সরকার জানিয়েছে ওই দিন কোন বিমান দুর্ঘটনা হয়নি ।
কেশব ভট্টাচার্যর একটি সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্ট থেকে জানা যায় , নেহেরুর গোপন টেন পয়েন্ট ও eight point মেমোরেন্ডাম, সেই মেমোরেন্ডাম এর গোপন নোট থেকে জানা যাচ্ছে; ভারতবাসীর নাগরিকত্বের সাথে গোপনে নেহেরু যেখানে কম্প্রোমাইজ করছে সেখানে এই full Rights But No Allegiance কথাটি আসে কী করে ? Automatic আনুগত্য প্রকাশ হয় কী হয় না এর জবাব পাওয়া যায় 1949 সালে ব্রিটিশ ক্যাবিনেটে গৃহীত ভারতের Consequential Provision এর ড্রাফ্ট বিলের উল্লেখ করা সেকসান – 1(1) থেকে ; যেখানে Provision as to Nationality সমন্ধে বলা হচ্ছে : [ ” A person shall not be British subject by reason only that he is a citizen of India , but the expression “Commonwealth citizen” shall continue to include citizen of India whether they are or are not British subject.] অর্থাত, ভারত রিপাবলিক করার পরে ভারতের নাগরিকদের মর্যাদা টা এই রকম হবে – আমরা ব্রিটিশ প্রজা হই বা না হই তবুও “কমনওয়েলথ সিটিজেনের ” expression টা লাগাতর বহন করে চলবো / চলেছি ; এর পরেও India Within Empire এর ভিতর Republic করা সত্বেও Allegiance ( আনুগত্য ) প্রকাশ করতে হয় না বা হলো না সেটা কী মেনে নেওয়া সম্ভব ? যেখানে আমারা “C’wealth Citizen”এর মানেটা লাগাতর বহন করে চলেছি ?? এবং এই কমনওয়েলথ সিটিজেনের মানে টা বা expression টা কী সেটা ব্রিটিশ ন্যাশনালটি অ্যাক্ট-১৯৪৮ এ পরিস্কার ভাবে বলা রয়েছে এই ভাবে – “ব্রিটিশ প্রজার” substitute হল “কমনওয়েলথ সিটিজেন”
সুতরাং, যদি ব্রিটিশ প্রজারা রানীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে সেখানে যারা কমনওয়েলথ সিটিজেন তাদের আনুগত্য কী অদৃশ্য ভাবে automatic প্রকাশ পায় না ? ? যেখানে কমনওযেলথের প্রত্যেকটি দেশ common bond of unity ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আইনের প্রোভিশানের মাধ্যমে রক্ষা করে চলেছে ! ? যদিও each country can alter its nationality legislation independently of the others without breaking the common bonds of British Nationality . [ The Advocate Page:10, 15 Sep’1949]
এই সত্য ভারত সরকারের দলীলেও প্রকাশ পেয়েছে এই ভাবে – Under Section 1(1) of the British Nationality Act of 1948, a citizen of India is also a British Subject for the purpose of British Law. This position has remained unchanged even after India became a republic .” ভারত রিপাবলিক করার পরেও ভারতবাসীর এই status পরিবর্তন হয়নি 1949 সালের Consequential Provision Act এর কারনে যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতবাসী যাতে রিপাবলিক করার পর আগের মত ব্রিটিশ প্রজার সমতুল্য হতে পারে ।

এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্য এবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন ফেসবুক লাইভে আসেন । নেতাজি অনুরাগীরা একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেছেন । তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল ।এরপরেও কিছুদিন ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন তারপর আসেন চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী কিন্তু একটি স্বাধীন দেশে লর্ড মাউন্টব্যাটেন কি করে গভর্নর জেনারেল থাকতে পারেন ।বৃটেনের রানীর ভারতে আসতে কোন ভিসা লাগেনা ,কেন লাগেনা ,একটি স্বাধীন দেশে বিদেশের যেকোনো মানুষের আসতে ভিসা লাগে । এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্য আরেকটি তথ্য উল্লেখ করেছেন ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর নেহেরু একটি চিঠি লিখেছিলেন , ইংল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জর্জ এর কাছে “মহামহিমান্বিত হুজিরের নিকটে যথাবিহিত সম্মান পোষন অধীনের বিনীত নিবেদন ” , স্বাধীন দেশে থেকে অধীনের বিনীত নিবেদন কেন লিখতে হবে যদি থাকি তাহলে লিখতে হবে । নেতাজি নিয়ে অনেক কল্পকাহিনী গড়ে উঠেছে কিন্তু কেশব ভট্টাচার্য তিনি মুখার্জি কমিশন এর সঙ্গে তাইহোকুতে গিয়েছিলেন এবং তিনি নিজে একজন নেতাজি অনুরাগী তিনি যে সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন প্রতিটি তথ্যনিষ্ঠ ও প্রমাণ সহযোগে তুলে ধরেন তাই তাঁর বক্তব্য আমরা গুরুত্ব না দিয়ে থাকতে পারিনা । তবে ভারত স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই স্বাধীনতার দলিল দেশবাসী আজ পর্যন্ত দেখতে পায়নি। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিল ,জেল খাটলো তারা বা তাদের পরিবার তারাও দেখতে পায়নি ।বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু তার দলিল রয়েছে ।

এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্যর বক্তব্যগুলি তাঁর নিজস্ব মতামত তবে তিনি অত্যন্ত তথ্য ও প্রমাণ সাপেক্ষে এগুলি তুলে ধরেছেন তাই উল্লেখ করা হল । তিনি এটাও বলেছেন বিভিন্ন গণআন্দোলনে যখন দেশবাসী স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর ,আন্দোলন তুঙ্গে ঠিক সেই সময় গান্ধীজি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন । উল্লেখ্য ,কেশববাবু যেটা বিস্তারিত বলেননি, বিস্তারিত হচ্ছে অসহযোগ আন্দোলন যখন তুঙ্গে ১৯২২ সালে গোরক্ষপুরে আন্দোলনকারীরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে থানা আক্রমণ করে এরপরেই গান্ধীজী আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এতে দেশবাসী চূড়ান্ত হতাশ হয় ।সুভাষ বলেছিলেন গান্ধীজি দেশের একটি জায়গার মানুষের পাপে সারা দেশবাসীকে শাস্তি দিলেন । আইন অমান্য আন্দোলন যখন তুঙ্গে গান্ধীজী সেই সময় আন্দোলন সাময়িক বন্ধ রেখে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিতে গেলেন। ফিরলেন খালি হাতে ।পুনরায় আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করতে গেলে ব্রিটিশ পুলিশ শুরুতেই আন্দোলনের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছিল ।তবে সুভাষ এর সাথে গান্ধীজীর একটা মৌলিক পার্থক্য ছিল চিন্তায় ও কর্মে। সুভাষের লক্ষ্য ছিল ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা । অপরদিকে গান্ধীজী প্রথমদিকে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস এর কথা বলেছেন পরে পূর্ণ স্বাধীনতার কথা বলেছেন । তাছাড়া গান্ধীজী প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন ব্রিটিশ বেকায়দায় পড়েছেন তখন ব্রিটিশের সাথে সহযোগিতার কথা বলেছেন ।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই ব্রিটেনের মিত্রশক্তি জার্মানির কাছে ধরাশায়ী ছিলো ।সুভাষ অবিলম্বে আন্দোলন শুরুর কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন ভাগ্য সর্বদা একটি জাতিকে স্বাধীনতার সুযোগ করে দেয়না, অবিলম্বে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্যে আন্দোলনে নামা উচিত। অপরদিকে ,গান্ধীজী তখন বলেন ভারতবর্ষ এখন‌ও পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি ,অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত ।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

অনলাইন ফরম ফিলাপের কারণে মেরিট লিস্টে সানি লিওন সহ সেলিব্রিটিদের নাম ।

কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তির যে প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট বের হয় তাতে অনেক কলেজে এমনকি নামজাদা কলেজও সানি লিওন সহ অনেক সেলিব্রিটির নাম একেবারে প্রথমের দিকে। এই সমস্ত সেলিব্রিটিরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে একশতে একশ পেয়েছ । লিস্টে প্রথম সারিতে স্থান পেয়ে রাজ্যজুড়ে হইচই ওঠে এবং কলেজগুলি সামাজিক মাধ্যমে হাসির খোরাক হয়ে ওঠে। আসলে এই ফরম ফিলাপ পুরোপুরি অনলাইনে হয়েছে। পরবর্তীকালে হার্ডকপি অর্থাৎ কাগজপত্র যাচাই করা হয় কিন্তু ফরম ফিলাপের সময় এগুলো যাচাই করার কোন সুযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের নেই। কিছু বদমাইশ ছেলে অনলাইনে সেলিব্রিটির নাম দিয়ে ফরম ফিলাপ করেছে ।প্রথমে যে লিস্ট বের হয় সেই লিস্টকে বলা হয় প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট অর্থাৎ ভুল ত্রুটি বা কোনো অভিযোগ এলে পরিবর্তন সাপেক্ষ তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আগামী দিনে অনলাইন ফরম ফিলাপের ক্ষেত্রে নথিপত্র স্ক্যান করে আপলোড করার ব্যবস্থা করতে হবে ।সেইসঙ্গে এই সমস্ত অভব্য আচরণকারীর বিরুদ্ধে সাইবার  আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে ।

আনলক - ৪ কারা যেতে পারবে স্কুলে , প্রকাশিত হল গাইডলাইন ।

আনলক চারে স্কুল খোলার ব্যাপারে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেকোনো ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকছে তবে কেন্দ্রের সাথে সমস্ত রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বারংবার আলোচনা হয়েছে ।তার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী বিশে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ২১ শে সেপ্টেম্বর থেকে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা তাদের গাইডের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে যেতে পারবে তবে গাইডেন্সের অর্থ নিয়মিত ক্লাস না শুধুমাত্র বাড়িতে পড়তে গিয়ে কোথাও আটকে গেলে সাহায্যের জন্য সেটা এখনও স্পষ্ট নয় ।

সেই সঙ্গে আরও একটি শর্ত চাপানো হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে যে সমস্ত স্কুল রয়েছে সেই সমস্ত স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা এই সুযোগ পাবে অর্থাৎ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল ছাত্র ছাত্রীরা এই নিয়মের আওতায় আসতে পারবেনা । তবে কনটেইনমেন্ট জোন এর বাইরে কোন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে গেলে তার অভিভাবকের সম্মতি প্রয়োজন ।

আনলক – ৪ এ আরো বলা হয়েছে ৭ ই সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো চালু করা হবে। সেইসঙ্গে এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হল কোন রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল কেন্দ্র সরকারের অনুমতি ছাড়া স্থানীয়ভাবে কোন শহর বা গ্রাম বা জেলায় লকডাউন করতে পারবেনা ।

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০

ঝাড়গ্রাম শহরে রহস্যজনকভাবে মাঝবয়সী সম্ভ্রান্ত মহিলা নিখোঁজ ।

ঝাড়গ্রাম শহরে এক মাঝবয়সী সম্ভ্রান্ত মহিলা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ।গত শনিবার থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান ।বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের নতুনডিহিতে । মহিলার নাম সুমনা কুশিয়াড়ি । বয়স ৪৩ বছর ।তাঁর স্বামী মাছের বড় হোলসেলার ।তাঁর দুই মেয়ে, এক মেয়ে ডাক্তারি পাঠরত বর্তমানে খড়গপুরে ইন্টার্নশিপে রয়েছেন ।ওই মহিলার মেয়ে জানিয়েছেন মা প্রতিদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হতেন এবং সকালে বাড়িতে পুজো করতেন ।ঐদিন সকাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ।পরনে ছিল সম্ভবত সবুজ সুতির শাড়ি ও মুখে মাস্ক। পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সন্ধান দিতে পারলে নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছে তবে তার থেকেও বড় কথা মহিলার দুই কন্যা মায়ের পথ চেয়ে বসে আছে এবং পরিবারের মধ্যে উৎকণ্ঠা রয়েছে । তবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কোন কারণ অনুমান করা যাচ্ছেনা ।
পরিবারের সাথে যোগাযোগের নম্বর - ৯৯৩২৭২৯২৭০

নন্দীগ্রামে সিপিএমের বাইক মিছিল ।

নন্দীগ্রামে সিপিএমের বাইক মিছিল অনুষ্ঠিত হলো। সিপিএম কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ষোল দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী একটি আন্দোলন করছে । এটি নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে অনুষ্ঠিত হয় যেটা ছিল জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর। উল্লেখ্য নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময় থেকে সিপিএম এবং বামপন্থীরা কোণঠাসা হয়ে যায় ।জমির মত স্পর্শকাতর বিষয়ে চটজলদি সিদ্ধান্ত এবং তৎকালীন সময়ে এলাকার সাংসদের ঔদ্ধত্যে পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে যায় যে বিশ্ব সংবাদপত্রে নন্দীগ্রাম উঠে আসে। এরপর আর নন্দীগ্রামে সিপিএমেকে দেখা যায়নি তবে সাম্প্রতিক কালে মাঝে মাঝে সিপিএমের কিছু কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমফান ঝড়ের পর নন্দীগ্রাম জোনাল অফিস যেটা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সেখানে কয়েকশো মানুষকে ত্রাণ বিলি করা হয় ।
তবে সিপিএমের টুকটাক সংগঠন নন্দীগ্রাম - ২ নম্বর ব্লকে চন্ডিপুর লাগোয়া গ্রামগুলোতে দেখা যায় । নন্দীগ্রাম - ২ নম্বর  ব্লক থেকে এক নম্বর ব্লকে ছোটখাটো কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ।

বড়মা হাসপাতালে এখন ৭৭ জন রোগী আছে, ১৫ জনের ছুটি হয়েছে ।

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে এখন ৭৭ জন রোগী আছে, ১৫ জন রোগীর ছুটি হয়েছে , ১২ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছে । ছুটি হয়েছে যাদের তারা হল এগরা- ১,পাঁশকুড়া -২,
তমলুক- ৪, হলদিয়া-৩, কোলাঘাট-৩, মহিষাদল-২ জনের ।

বেআইনি নির্মাণ পরে ভাঙিভাঙি না করে শুরুতেই বন্ধ করা হোক ।

ভারত নিউজ - দৃশ্যটা গতকালের স্থান কোলাঘাট ।কয়েকদিন আগে রূপনারায়ণের জলের চাপ সামলাতে না পেরে কোলাঘাট শহর জলমগ্ন হয়ে যায়। মানুষের বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান ঘরে জল ঢুকে যায় ।জিনিসপত্রের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ।অভিযোগ ছিল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় এই জমা জলের যন্ত্রনা পোহাতে হয় ।এরপর নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য গতকাল কোলাঘাটের বেশকিছু বেআইনি নির্মাণ ,দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির অংশ জেসিবি  ,বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয় । ভাঙার দৃশ্য স্বাভাবিকভাবেই মর্মান্তিক কিন্তু এই বেআইনি নির্মাণ না ভাঙলে শহর বদ্ধ হয়ে যাবে এবং পুনরায় জলে ভাসবে তাই বেআইনি নির্মাণ পরে ভাঙাভাঙি না করে শুরুতেই যাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসন বাধা দেয় সেটা দেখতে হবে ।তাহলে শহরের নাগরিক পরিষেবার যেমন সমস্যা হবেনা তেমন পরে ভাঙা‌ভাঙির ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবেনা ।

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

পাঁশকুড়া শহরের একমাত্র গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে রয়েছে বহুদিন যাবৎ ।

ভারত নিউজ - একসময় তথ্যের জন্য, পড়ার নেশা মেটানোর জন্য যেতে হতো গ্রন্থাগারে। ইন্টারনেটের দৌলতে তথ্য এখন হাতের মুঠোয় কিন্তু তবুও সমাজ জীবনে গ্রন্থাগারের চাহিদা পুরোপুরি অস্বীকার করা যায়না কারণ অনলাইনের রমরমা সত্বেও প্রিন্টেড হার্ডকপির যেমন একটা গুরুত্ব রয়েছে তেমন  ছাপানো বইয়ের গুরুত্ব‌ও অস্বীকার করা যায়না ।পাঁশকুড়া শহরের অর্থাৎ ,১৮ টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট পাঁশকুড়া পৌরসভার একমাত্র গ্রন্থাগার বিদ্যাসাগর জন গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র যেটা পাঁশকুড়া বিডিও অফিসের নিকটবর্তী ছয় নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ।আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন হয়েছিল । একজন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করা হয়েছিল ।সপ্তাহে পাঁচ দিন সন্ধ্যেবেলায় খোলা হত ।পাঠক‌ও ছিল ভালো । তৎকালীন সরকার যেহেতু সমস্ত জায়গায় গ্রন্থাগার খোলা সম্ভব হয়নি তাই এরকম জন গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র খোলে সেগুলোতে বছরে কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়া হতো বই কেনা এবং দৈনন্দিন সংবাদপত্র ও পত্র-পত্রিকা কেনার জন্য । এই জন গ্রন্থাগারটি প্রথমে পাঁশকুড়া গান্ধি বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক স্কুলের ওপরে শুরু করা হয় পরে ছয় নম্বর ওয়ার্ডে নিজস্ব ভবন তৈরি হয় কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে কোনো কারণবশত গ্রন্থাগারটি বন্ধ হয়ে যায় ।তারপর আর খোলা হয়নি ।গ্রামীণ এলাকায় নারায়নদিঘী ,শুকুতিয়া , রাতুলিয়া ও হাউর এর মাঝে এরকম কয়েকটি জায়গায় গ্রন্থাগার রয়েছে কিন্তু পাঁশকুড়া শহরে এটাই ছিল একমাত্র গ্রন্থাগার ।স্কুল-কলেজের শিক্ষার বাইরে গ্রন্থাগার পরোক্ষ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে ।সমাজকে সুস্থ পথে চালিত করার জন্য ও উন্নত সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য গ্রন্থাগারের প্রয়োজন ।এখনো অনেকের স্মার্টফোন নেই ,কম্পিউটার ভারতবর্ষের মতো দেশে বাড়িতে বাড়িতে নেই তাই গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায়না ।অনেক ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল ছুট হয়ে যায় পরে আবার দূরশিক্ষার মাধ্যমে পড়তে চাইলে গ্রন্থাগারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে । কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা নীতি প্রবর্তন হয়েছে তাতে কারো পড়া মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীকালে আবার তারপর থেকে পড়া শুরু করতে পারবে তবে সেগুলো দূর শিক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে যার জন্য গ্রন্থাগারের প্রয়োজন । জাতীয় নলেজ কমিশন যার প্রধান ছিলেন স্যাম পিত্রোদা গ্রন্থাগার এর উপরে গুরুত্ব আরোপ করেছিল । 
পাঁশকুড়া ব্রাডলী বার্ট হাইস্কুলের শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন মানস কুমার দাস বলেন পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকায় কোন গ্রন্থাগার নেই কারোর কোন প্রয়োজন পড়লে জেলা গ্রন্থাগারে যেতে হবে । পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস । কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী ,শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সংস্কৃতিবান মানুষ রয়েছেন তাই পৌরসভা এলাকায় একটি গ্রন্থাগার দরকার ।

আগামী তিন মাসের মিড ডে মিলের সার্কুলার ।

আগামী তিন মাসের অর্থাৎ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের মিডডে মিলের সার্কুলার দেওয়া হয়েছে ।চাল মাথাপিছু দুকেজি ,আলু মাথাপিছু এক কেজি ,সাবান একটি করে এবং ছোলা এক কেজি ।আলুর মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ,সাবানের মূল্য ধরা হয়েছে ১০টাকা। এই সার্কুলার নভেম্বর মাস পর্যন্ত অর্থাৎ এই পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী আগামী তিন মাস প্রতিমাসে দেওয়া হবে । এই সার্কুলার দেখে 
প্রতীকী ছবি ।

অনেকে ভেবেছিলেন তাহলে ডিসেম্বর মাস থেকে হয়তো স্কুল খুলবে তাই ডিসেম্বর মাসের উল্লেখ নেই আসলে ডিসেম্বর মাসে মিড ডে মিলে বরাদ্দ হয়না কারণ যেটা চলে আসছিল এতদিন ডিসেম্বর মাসে প্রথমদিকে পরীক্ষা হয় তারপর ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি থাকে সেজন্য পরীক্ষার কয়েকদিন বাদে মিডডে মিলের বরাদ্দ থাকেনা এই সার্কুলার এর সাথে স্কুল কবে খুলবে তার কোনো সম্পর্ক নেই । 
আগামী তিন মাসের মিড ডে মিলের সার্কুলার ।

কোলাঘাটের বিডিও করোনা আক্রান্ত ।

কোলাঘাটের বিডিও মদন মন্ডল করোনা আক্রান্ত হলেন। তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা রেপিড টেস্ট করান। তাঁর পরিবারের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ কিন্তু তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।  কয়েকদিন ধরে সামান্য লক্ষণ অনুভব করায় তিনি টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আপাতত তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। রাজ্যে বিডিও দের মধ্যে কেশিয়াড়ির বিডিও, চন্দ্রকোনার বিডিও সহ আরো কয়েকজন বিডিও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তবে বর্তমানে তাঁরা সুস্থ রয়েছেন। করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের আক্রান্তর মূল কারণ তাঁরা প্রশাসনিক কারণে মাঠে ময়দানে নামতে বাধ্য হন। এই কারণেই তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর আগে চন্দননগরের এক মহিলা আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তিনি পরিযায়ীদের  তত্ত্বাবধান এর দায়িত্বে ছিলেন সেখান থেকে আক্রান্ত হন। 

সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

তমলুক পাঁশকুড়া রাস্তায় পুরুষোত্তমপুরের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত বাইক আরোহী ।

ভারত নিউজ - গত রবিবার তমলুক - পাঁশকুড়া রাস্তায় পুরুষোত্তমপুর এর কাছাকাছি জিৎ সাগর ও বটতলা লাগোয়া একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এক বাইক আরোহী একটি বড় লরির পেছনে ধাক্কা মারে ।ঘটনাস্থলেই বাইক আরোহীর মৃত্যু হয় ।
স্থানীয় সূত্রে খবর বাইক আরোহী অনেক গতিতে ছিলেন ।এই রাস্তাটি কিছুটা হলেও দুর্ঘটনাপ্রবণ । দুর্ঘটনার কারণগুলি রাস্তায় প্রচুর বাঁক, অনেকেই দুরন্ত গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকে, বাঁকগুলি ঠিকমত দেখা যায়না ,রাস্তার দুধারে ফুটপাথ নেই ,রাস্তার দুই ধারে বালি, চিপস , ইঁট বোঝাই থাকে এবং অনেক অসচেতন ব্যক্তি শাখা রাস্তা থেকে কোন কিছু না দেখেই পিচ রাস্তায় উঠে যায় ।কয়েকদিন আগে স্থানীয় রঘুনাথবাড়ি স্কুলের এক মেধাবী ছাত্রের সকালে প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে তবে সেটার কারণ ছিল রাস্তার ধারে বালি বোঝাই থাকা । এই এলাকায় দুর্ঘটনা কমানোর জন্য রাস্তার ধারে থাকা বালি ,চিপস এগুলো সরিয়ে মানুষের হাঁটার রাস্তা করতে হবে ,ট্রাফিকগুলিতে সিভিক পুলিশদের গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং স্থানীয় মানুষদের সচেতন করতে হবে শাখা রাস্তা থেকে পিচ রাস্তায় ওঠার সময় সতর্কভাবে ওঠার জন্য ।

লালগড়ে ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল তৃণমূল কংগ্রেস ।

পাঠকের কলম ,পূজা দাস উকিল - ঝাড়গ্রামের লালগড়ে  ধর্ষিতা শবর পরিবারের সঙ্গে দেখা করল ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস । ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বীরবাহা সরেন, জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মূ , রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাত, জেলা কো - অর্ডিনেটর অজিত মাহাত সহ অন্যান্য জেলা ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। আশ্বাস দিলেন পরিবারের পাশে থাকবার।
দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম ও‌ জঙ্গলমহলে সচেতনতা ও শিক্ষার হার আরও বাড়িয়ে তুলতে  হবে । এই সমস্ত এলাকায় কুসংস্কার ,অন্ধ বিশ্বাস প্রভৃতি দূর করতে হবে ।

পাঁশকুড়ার কিছু এলাকায় বর্ষা এলেই কাঁসাইয়ের চোখরাঙানির চেনা চিত্র ।

সেই চেনা ছবি ! পাঁশকুড়ার রাধাবল্লভচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কানাসী বৃন্দাবনচক গ্রামের ঘরবাড়ি ও রাস্তা ।গত তিন  দিন ধরে জলমগ্ন।যতবার কংসাবতী নদীতে জল ছেড়েছে  ততবার এই অসহায় দারিদ্র সীমার নিচে পরিবারগুলির ঘরে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। ওরা বিগত কেউ ৪০ বছর কেউবা ৩০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় বসবাসরত । কয়েক দিন ধরে রান্না খাওয়া দাওয়া তো দূরের কথা ঠিক মত রাত্রি যাপন করতে পারছেনা ।গরু ,বাছুর নিয়ে কোনো মতে দিন গুজরান করছে তাই প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ ওদের ,আমাদের বিষয়ে খোঁজ নিন।এমতাবস্থায় গতকাল থেকে ক্রমবর্ধমান বৃষ্টি হয়েই চলেছে। কংসাবতী নদীর জল এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। তাই ছোটো ছোটো বাচ্চা ছেলে মেয়েদের নিয়ে কোথায় যাবে ভাবতে পারছে না তাই সরকারি সাহায্য যদি পায় তাতে দুবেলা দু মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে , পাঁশকুড়া ব্লক প্রশাসনের কাছে অনুরোধ ওদের ।
সেইসঙ্গে হরিনারায়নচকের ব্রীজের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে।প্রায় ২৫ গ্রামের সংযোগ কারী এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজের নীচে জলের সঙ্গে ভেসে আসা কচুরিপানা ও আর্বজনা আটকে গিয়ে জল পাশ হচ্ছেনা অনেক দূর পযর্ন্ত এই কচুরি পানা আটকে। সেচ দপ্তরকে  বিষয়টি গরুত্ব সহকারে দেখতে হবে ও পর্যালোচনা করতে হবে না হলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

বর্ষা এলেই পাঁশকুড়ায় 'দুঃখের নদী' হয়ে যায় কাঁসাই ।

ভারত নিউজ - বাংলার দুঃখের নদী দামোদর, চীনের দুঃখের নদী হোয়াংহো ,ঘাটালের দুঃখ শিলাবতী । তবে নদী যতই দুঃখের হোক এই নদীর জলে পুষ্ট হয়ে কৃষিজমি হয়ে ওঠে সুজলা সুফলা। এই নদীর স্নিগ্ধ বাতাসেই প্রকৃতির উষ্ণতা হয়ে ওঠে মনোরম কিন্তু ভরা প্লাবনে এই নদী অনেক সময় হয়ে ওঠে সহস্র মানুষের দুঃখের কারণ ।পাঁশকুড়ার মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে রয়েছে বহু পুরনো ইতিহাস । কথিত আছে চাঁপাডালি প্রাচীনকালে যার নাম ছিল চম্পকনগর সেখান থেকে চাঁদ সদাগর বাণিজ্য করতে যেতেন ।কাঁসাই নদী তার দুই কুলকে করেছে শস্য-শ্যামলা ।
 কাঁসাইয়ের পার পাঁশকুড়ার মানুষের একটু বিশ্রামের ,মন ভালো রাখার আশ্রয় যেন প্রাকৃতিক পার্ক ।তবে প্রায় বছর কাঁসাই বর্ষাকালে পাঁশকুড়ার বেশকিছু গ্রামকে বা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে প্লাবিত করে ।এই বছরেও এই মুহূর্তে নদীতে ভরা জল। গতকাল পাঁশকুড়ার ডোমঘাটে নদীর ওপরে একটি বাঁশের সেতু তলিয়ে গিয়েছে ।এখনো পর্যন্ত কোন গ্রাম প্লাবিত হয়নি তবে অনেকেই প্রহর গুনছে আবার  না পরিবার নিয়ে নিরাশ্রয় হয়ে কোন স্কুল বা রিলিফ সেন্টারে দিনযাপন করতে হয় । শুধু পাঁশকুড়ার কয়েকটি গ্রাম নয় পাঁশকুড়া 
পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডও মাঝে মাঝে কাঁসাইয়ের প্লাবনে প্লাবিত হয় ।পাঁশকুড়ার কাঁসাই ও কোলাঘাটের রূপনারায়ন এই দুই নদীকে সংযোগ করেছে মেদিনীপুর খাল ।একসময় এই মেদিনীপুর খাল সারাবছর জলে ভরে থাকতো কিন্তু বর্তমানে প্রায় মজে যাওয়ার অবস্থায় ।লকগেটগুলি প্রায় অকেজো। এই খাল কার্যকরী থাকলে ভরা নদীর জল অনেকটা সরিয়ে দেওয়া যেত । ঐ জল চাষের কাজেও লাগানো যেত । সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে বন্যা রোধের জন্য স্লুইস  গেট তবে তারপরেও বন্যার আশঙ্কার মেঘ পুরোপুরি দূর হয়নি ।তাছাড়া অন্যান্য বছরের থেকে এবছরের পরিস্থিতি আলাদা। কোন কারনে প্লাবন হলে বন্যা দুর্গত মানুষদের সরকারি প্রাণকেন্দ্রে গাদাগাদি করে রাখতে গেলে অন্য বিপদ হতে পারে।
 তবে পরিশেষে একটা কথা বলা খুব দরকার অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটা পরিকল্পনা করেছিলেন ।দেশের নদীগুলির সংযুক্তি ।তিনি তাঁর শাসনকালে এটা করে যেতে পারেননি তবে সমস্ত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে তাঁর এই পরিকল্পনাটাকে কার্যকরী করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে যাতে দেশকে বন্যা ও তৎসংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি থেকে মুক্ত করা যায় । তবে নদীর উপরে এই ধরনের বাঁশের সেতুগুলো তৈরি করা বা তৈরি করতে দেওয়া ঠিক কিনা ভেবে দেখা দরকার কারণ মানুষ চলাচলের সময় ভেঙে পড়লে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে । ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরায়, বর্ষায় কাঁসাইয়ের জলস্তর স্ফীত হলেই বিপদ এর হাতছানি দেখতে পায় পাঁশকুড়ার মাইসোরা, গোবিন্দনগর, চৈতন্যপুর, প্রতাপপুর ,পুরুষোত্তমপুর ,ঘোষপুর হাউর সেইসঙ্গে পাঁশকুড়া শহরের একাংশের মানুষেরা ।

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে ভর্তি ও ছাড়া পাওয়া রোগীর বর্তমান আপডেট ।

পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতলে এখন ৬১ জন রোগী ভর্তি আছে, ১১ জন রোগীর ছুটি হয়েছে, ৮ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছে ।
ছুটি হয়েছে যাদের - তমলুকে - ৩ জনের,কোলাঘাট-১,ময়না-১,হলদিয়া-৩, নন্দকুমার-১, কাঁথি-২ জনের । বড়মা হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ জন বা তার আশেপাশে এই রকম সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছে ।
২৩ শে আগস্টের আপডেট - আজকের আপডেট , এখন ৫৯ জন রোগী আছে, ২৩ জন রোগীর ছুটি হয়েছে, ৮ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছে । ছুটি হয়েছে এগরা-২জনের,সুতাহাটা-২,কাঁথি-৫,
তমলুক- ৩,ময়না-৬,হলদিয়া-২ ,কাঁথি-৩ জনের ।

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

করোনার আবহে নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করল নয়া নির্বাচন বিধি ।

বছরের শেষেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন । করোনা মহামারী কবে ইতি টানবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা কিন্তু তাহলে কি সমস্ত কাজ বন্ধ থাকবে বিশেষ করে নির্বাচন না হলে নতুন সরকার গঠিত হবেনা সে ক্ষেত্রে বন্ধ থাকবে উন্নয়ন । বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বেশকিছু বিধি নিয়ে এসেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, প্রচার ,ভোটগ্রহণ ,গণনা প্রতিটি স্তরেই বিধি ও নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছে ।
ভোটগ্রহণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তির ফেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক । নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্যানিং করতে হবে, স্যানিটাইজার ,সাবান ,জল সরবরাহ রাখতে হবে ,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে , নির্বাচন সংক্রান্ত গাড়িগুলিতে কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে । রাজ্য ,জেলা এবং প্রতিটি বিধানসভার ক্ষেত্রে নোডাল স্বাস্থ্য আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। ইভিএম ও ভিভিপ্যাটগুলি সানিটাইজড করতে হবে। যে সমস্ত আধিকারিক ভিভিপ্যাট এবং ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবেন তাদের হ্যান্ডগ্লাভস দিতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণগুলি হলঘরে আয়োজন করতে হবে ।প্রশিক্ষণের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে হবে যাতে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ভিডিও ক্লিপিংস এবং যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থাকবে অর্থাৎ প্রশিক্ষণের একটা অংশ অনলাইনে করা হতে পারে ।
নমিনেশান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে নমিনেশান ফর্ম পূরণ করা যাবে। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এর ওয়েবসাইটে গিয়ে করা যাবে তবে প্রিন্ট কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। প্রার্থীরা তাদের জামানতের অর্থ অনলাইনে জমা দিতে পারবে তবে কোনো প্রার্থী চাইলে ট্রেজারিতে গিয়েও জমা করতে পারবে । রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীর সঙ্গে দুজন সঙ্গে যেতে পারবে । নমিনেশানের ক্ষেত্রে দুটির বেশি গাড়ি ব্যবহার করা যাবেনা ।
ভোট কর্মীরা যে জায়গা থেকে মেটেরিয়ালস সংগ্রহ করবে সেটা বড় হলঘর হতে হবে । ডিসি আরসিতে অতিরিক্ত সংখ্যক ভোটকর্মী রাখতে হবে যাতে বুথে কোনো কর্মীর সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে তার পরিবর্তে অন্য কর্মীকে নিয়োগ করা যায় ।
পোলিং স্টেশনগুলিতে অবশ্যই স্যানিটাইজেশন করতে হবে । দুজন ভোটারের মধ্যে ছয় ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। প্রত্যেক ভোটারের থার্মাল স্ক্যানিং করতে হবে যদি কোনো ভোটারের তাপমাত্রা বেশি থাকে সেই ব্যক্তিকে শেষ বেলায় এসে ভোট দান করতে হবে । বুথের প্রবেশ ও প্রস্থান ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার দিতে হবে, প্রত্যেক ভোটারকে মাস্ক পরে আসতে হবে যদি কোনো ভোটার কোয়ারেন্টাইনে থাকে তাকে শেষ বেলায় এসে ভোট দিতে হবে । প্রত্যেক ভোটারকে স্বাক্ষর করা ও ভোটদান করার জন্য হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হবে । ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক, বিএলও এদের রাখতে হবে সহযোগিতা করার জন্য। একটি বুথে হাজারের বেশি ভোটার থাকবেনা ।
যে সমস্ত ব্যক্তিদের পোস্টাল ব্যালট ইস্যু করা হবে তারা হলেন বয়স আশির উর্ধ্বে হলে, শারীরিক দিক থেকে অক্ষম হলে, কোন ভোটার অত্যাবশ্যক পরিষেবার যুক্ত থাকলে, কোন ভোটার কোভিড – ১৯ পজিটিভ হলে বা সন্দেহযুক্ত হলে এবং বাড়িতে বা কোথাও কোয়ারেন্টাইনে থাকলে ।
নির্বাচনী প্রচারে যে নিয়মগুলি মানতে হবে বাড়ি বাড়ি প্রচারে প্রার্থীসহ সর্বাধিক পাঁচ জন যেতে পারবে, রোড শো করা যাবে তবে সর্বাধিক পাঁচটি গাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে যদি নিরাপত্তার ব্যাপার থাকে তাহলে সর্বমোট দশটি গাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে ।জনসভা বা রেলি করা যাবে তবে তার জন্য কঠোর নিয়ম কানুন মানতে হবে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন ।সভায় সামাজিক দূরত্ব রাখতে হবে ,একজন নোডাল স্বাস্থ্য আধিকারিক রাখতে হবে, জনসভাগুলোতে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে থার্মাল স্ক্যানিং, ফেস মাস্ক ,স্যানিটাইজার প্রভৃতি রাখতে হবে ।
গণনা কেন্দ্রে একটি হলে সাতটির বেশি টেবিল থাকবেনা ,কন্ট্রোল ইউনিটের ফলাফল দেখার জন্য একটি ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে । প্রতিটি ইভিএম ও ভিভিপ্যাট গণনার আগে স্যানিটাইজার করতে হবে। গণনা কেন্দ্রগুলি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ইভিএমগুলি সিলিং ও ডিসিলিং করার জন্য প্রতি টেবিলে একজন করে থাকবেন ।


বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০

ডেবরায় ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে গ্রাহকেরা প্রতাড়িত ।

পাঠকের কলম , পূজা দাস উকিল - ডেবরা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশেই স্টেট ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিসের একটি সেন্টার রয়েছে যেখানে প্রায় আড়াই হাজার অ্যাকাউন্ট রয়েছে যাদের একশো দিনের কাজের টাকা ,কন্যাশ্রীর টাকা এবং কারো কারো জমানো টাকা ওই অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে।
গ্রামবাসীদের  জমানো টাকা  দীর্ঘদিন ধরে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ বা কর্মী।
টাকার পরিমাণটা পরে বাড়তেও পারে কারণ প্রায় আড়াই হাজার অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। টাকা খোয়া যাওয়া ব্যক্তিদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। তারা বলেন, টাকা জমা দিয়ে রশিদ দিলেও টাকাটা অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। এরকম অনেকেই আছে যাদের কন্যাশ্রীর টাকা ,গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করা ব্যক্তি এবং যারা একশো দিনের কাজ করে সেইরকম ব্যক্তিও প্রচুর রয়েছেন যাদের কাছ থেকে টাকা জমা নিলেও অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ জানান।
  এই ধরনের তিনি ব্যাঙ্কগুলি খোলা হয়েছিল মূল ব্যাংকের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য এবং সাধারণ মানুষ বাড়ির সামনে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাবে । শুধু তাই নয় এই ধরনের টিনি ব্যাংক এর ফলে বহু বেকার যুবক যুবতী কাজ পেয়েছে তবে এই ধরনের ঘটনা সত্যিই ঘটে থাকলে তাহলে মানুষের টিনি ব্যাংকের উপর থেকে আস্থা কমে যাবে তবে এস বি আই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার ঘটনা কি ঘটেছে । এই ধরনের টিনি ব্যাংক খুলতে গেলে মূল ব্যাংকের কাছে একটি জামানত রাখতে হয় । সত্যিই গ্রাহকেরা প্রতাড়িত হয়ে থাকলে ব্যাংক সেই জামানত থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে গ্রাহকদের ।


 

পাঁশকুড়ায় বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ীর জীবনাবসান।

ভারত নিউজ - পাঁশকুড়ায় বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুবোধ চন্দ্র হাজরার জীবনাবসান হল । তিনি হাজরা জুয়েলার্সের প্রতিষ্ঠাতা । আজ রাত দুটোয় কলকাতার ডিসান হাসপাতাল তাঁর মৃত্যু হয় ।  কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন । বয়স হয়েছিল প্রায় পঁচাত্তরের কাছাকাছি । তিনি পাঁশকুড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবং পাঁশকুড়া ক্যানেল বাজার দুর্গাপুজোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দীর্ঘদিন পালন করেছেন । তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া দেখা দিয়েছে । ডানপন্থী রাজনীতির সঙ্গেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন । তাঁর পুত্রবধূ লিপিকা হাজরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্যা এবং পুত্র স্বপন হাজরা প্রতাপপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং তাঁর দাদা পূর্ণচন্দ্র হাজরা পাঁশকুড়া - ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ।

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

বন সুরক্ষা পদের পরীক্ষা শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় করার দাবি আমরা বাঙালির ।

ভারত নিউজ - বন সুরক্ষার পদে ২০০০ পদের জন্য আবেদন কয়েক লক্ষ । চাকরির পরীক্ষায় বসার অধিকার সকলের রয়েছে । তবে এই পরীক্ষায় ৭০ নম্বর কেউ চাইলে হিন্দিতে দিতে পারবে অর্থাৎ বাংলাভাষীরা যেমন বাংলা ভাষায় দিতে পারবে তেমনি হিন্দিভাষীরা হিন্দি ভাষাতে পরীক্ষা দিতে পারবে । আমরা বাঙালি সংগঠন সল্টলেকে বন দপ্তরের মূল অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং দাবি জানায় পশ্চিমবাংলার মাতৃভাষায় অর্থাৎ বাংলা ভাষায় পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হোক যাতে এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা চাকরি পাওয়ার সুযোগ পায়। উল্লেখ্য ,অন্যান্য  রাজ্যে সরকারী চাকরির পরীক্ষাগুলোতে সেই রাজ্যের মাতৃভাষায় একটি পেপারের পরীক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হয় ।
আবার মধ্যপ্রদেশ সরকার সেই রাজ্যের সরকারি চাকরিগুলি শুধুমাত্র ওই রাজ্যের নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত করেছে । যদিও এই খবর সামাজিক মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত । এই খবরের সত্যতা ভারত নিউজ যাচাই করেনি । তবে, মধ্যপ্রদেশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এবং অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গের ছেলেমেয়েরাও চাইছে এই রাজ্যের সমস্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অন্তত একটি পেপার বাংলা ভাষায় রাখা হোক অর্থাৎ অন্যান্য রাজ্যের কর্ম প্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে কিন্তু একটি পেপার বাংলা ভাষায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হোক। তবে তারা যেটি উল্লেখ করেনি বাংলার সাথে সাথে নেপালি অপশন রাখতে হবে কারণ দার্জিলিঙে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের পর ওখানকার পাহাড়িয়া নাগরিকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা আইনত দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের আইন দ্বারা । তাই তারা নেপালি ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার অধিকারী । আমরা বাঙালি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় আমরা সাম্প্রদায়িক নয় কিন্তু বাংলা ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখিত ভাষা গুলির মধ্যে অন্যতম কিন্তু বাঙালিরা গুজরাটে ,উত্তরপ্রদেশে ,বিহারে গিয়ে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দিতে পারেনা তাহলে বাংলায় কেন অন্য রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা তাদের ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে । ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা তাই ইংরেজি ভাষায় পরীক্ষা হলে তাদের কোনো আপত্তি নেই বলে জানায় । যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ভারতের যে কোন রাজ্যের নাগরিক যেকোন রাজ্যে পরীক্ষা দেওয়ার অধিকারী। 

স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন রাস্তা থেকে জাতীয় পতাকা কুড়িয়ে তোলার উদ্যোগ নিল দুটি সংগঠন ।

পাঁশকুড়া - উদ্যোক্তা দুটি ছোট সংগঠন , খুবই সীমিত জায়গায় , উদ্যোগটাও ছোট কিন্তু তাৎপর্য্যটা বিরাট । স্বাধীনতা দিবস এবং পতাকা উত্তোলন যতটা উৎসাহ ভরে করা হয় তারপরে সেই উৎসাহে অনেকটাই ভাঁটা পড়ে ।তাই তেরঙ্গা চেন ফ্ল্যাগ বা জাতীয় পতাকা দিয়ে চারিদিক সাজিয়ে তোলার পর পরের দিন সেগুলো রাস্তায় পড়ে গড়াগড়ি খায় । হয়তো তার উপর দিয়েই অজস্র মানুষ হেঁটে চলেছে বা কোথাও নর্দমা আবর্জনার ওপর শোভা বর্ধন করে থাকে । এই অবমাননা দূর করার জন্য এগিয়ে এলো পাঁশকুড়া রাইডার্স ক্লাব এবং একটি  বাইকার্স কমিউনিটি। ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন দুটি সংগঠনের সদস্যরা কাগজের কার্টুন হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে, পড়ে থাকা পতাকাগুলো বা চেন ফ্ল্যাগগুলো কুড়িয়ে তোলার জন্য ।এই ধরনের জাতীয় পতাকার প্রতি 
অবমাননা বহু বছর ধরে হয়ে আসছিল ইদানিং মানুষের কিছুটা সচেতনতা দেখা যাচ্ছে। তবে আগামী দিনে পতাকা উত্তোলনের উদ্যোক্তারা সকলে যাতে এই ভূমিকা পালন করে সেটা দেখতে হবে ।একটা সময় কোন মাঠে রাজনৈতিক দল বা কারোর সভা হলে পরের দিন থেকে সেই মাঠ আবর্জনায় ভরে থাকতো ইদানিং ব্যতিক্রমী হলেও কিছু নজির গড়ে উঠেছে । সভা হয়ে যাওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকরা নিজ উদ্যোগে মাঠ পরিস্কার করে দিচ্ছে । এর পেছনে পরিবেশ প্রেমীদের সচেতনতা গড়ে তোলার অবদান রয়েছে । জাতীয় পতাকার অবমাননা দূর করার জন্য আরো কয়েকটি বিষয়কে নজর দিতে হবে ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু জায়গায় প্রতিবছরই উল্টো করে পতাকা তোলা ,সন্ধ্যে ছটার পরেও পতাকা না নামানো ,জুতো পরে পতাকা তোলা, জাতীয় সংগীত গাইতে গিয়ে কোথাও কোথাও ভুল উচ্চারণ করা এগুলো হয়ে থাকে ।যেহেতু স্বাধীনতা দিবস ,জাতীয় পতাকা তোলা কোন‌ও সেলিব্রেশন ডে নয় এরমধ্যে দেশের মর্যাদা ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্ম বলিদান জড়িত রয়েছে তাই ভুল ত্রুটিগুলো সতর্কতার সঙ্গে  দূর করে দিয়ে যথাসম্ভব ত্রুটিহীন পতাকা উত্তোলন করতে হবে । দুটি সংগঠনের সদস্যরা পথ দেখিয়েছে যাতে আগামী দিনে দেশবাসী এভাবেই জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা করতে পারে । 

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

বড়মা থেকে ছাড়া পেল ১৬ জন , ভর্তি রয়েছে ৪৯ জন ।

ভারত নিউজ - পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বড়মা কোভিড হাসপাতালে এখন ৪৯ জন রোগী আছে , ১৬ জন রোগীর ছুটি হয়েছে,  দুজন নতুন করে ভর্তি হয়েছে । যারা ছাড়া পেয়েছে তাদের মধ্যে পটাশপুরের একজন ,তমলুকের তিনজন,কোলাঘাটের সাতজন ,হলদিয়ার তিনজন ,পাঁশকুড়ার দুজন ।

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল ডেবরা ব্লকে।

ডেবরা ,পশ্চিম মেদিনীপুর ,পূজা দাস উকিল - ডেবরা ব্লকের অন্তর্গত ৯নং ষাঁড়পুর - লোয়াদা অঞ্চলের বাকলসা মিলন সংঘের ব্যবস্থাপনায় ও ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ করের উদ্যোগে চারা বিতরন কর্মসূচি গতকাল অনুষ্ঠিত হল। উপস্থিত ছিলেন ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন ৯নং নম্বর অঞ্চলের প্রধান বেলা পোড়্যালী ও এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী অসীম সামন্ত । আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্রকৃতিতে বৃক্ষের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , প্রকৃতির একটি শ্রেষ্ঠ উপহার হল বৃক্ষ। সৃষ্টির সূচনা থেকেই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী বৃক্ষের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। বৃক্ষ পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীবজগতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই বৃক্ষ।
 সম্প্রতি আমফান ঘূর্ণিঝড়ে দুই মেদিনীপুর সহ রাজ্যে কয়েক লক্ষ বৃক্ষ নষ্ট হয়েছে ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হয়েছে । তাছাড়া বিভিন্ন কারণে গাছের সংখ্যা কমছে । মূলত সভ্যতার বিস্তার এর অন্যতম কারণ । এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়ন গ্লোবাল ওয়ার্মিং দূর করতেও বৃক্ষের প্রয়োজন ।
সম্প্রতি মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের শামিয়ানা কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে মহিলারা বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিয়েছেন । তাছাড়া সরকারিভাবেও বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণের প্রচেষ্টা চলছে ।







 

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০

রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ'র পক্ষ থেকে আমফান বিধ্বস্ত খেজুরিতে সাহায্য ।

ভারত নিউজ ,খেজুরি ,পূর্ব মেদিনীপুর - রাজ্যের সরকার অনুমোদিত স্কুলের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের সংগঠন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স 
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি এক ও দুই নম্বর ব্লকে বিভিন্ন সাহায্যমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয় । মূলত আমফান অধ্যুষিত এলাকায় সাহায্য করার জন্য খেজুরির এই দুটি ব্লককে বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ আমফান ঝড়ে খেজুরি মর্মান্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । খেজুরি দুই নম্বর ব্লকের খেজুরি এবং এক নম্বর ব্লকের বাঁশগোড়াতে ৫০ জন করে দুই জায়গায় ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে শিক্ষা সামগ্রী এবং চকলেট ,হরলিক্স ,বিস্কুট প্রভৃতি শিশু খাদ্য তুলে দেওয়া হয় ।এছাড়া ,খেজুরির কৃষ্ণনগরে একটি অনাথ আশ্রমের অনাথ শিশুদের আজ দুপুরে মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ।সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়। শিক্ষক  রত্নদ্বীপ সামন্তর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় । উল্লেখ্য ,সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে সুন্দরবনের আমফান অধ্যুষিত গ্রামেও সরাসরি গ্রামবাসীদের হাতে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল । সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় লকডাউনের শুরু থেকে আমাদের সংগঠনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ের গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকেছে এবং সামর্থ্যমতো সহযোগিতা করেছে ।একই সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্রমাগত অনলাইন পাঠদান চালিয়ে গিয়েছে ।

পাঁশকুড়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে ও বিভিন্নভাবে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস।

ভারত নিউজ , পাঁশকুড়া - পাঁশকুড়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্নভাবে পালিত হল ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস । পাঁশকুড়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সমিরুদ্দিনের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং চারাগাছ বিলি করা হয় ।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা ছাড়াও অন্যদেরকেও চারাগাছ দেওয়া হয় । উল্লেখ্য ,তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সামিয়ানা প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে চারা গাছ রোপনের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ।পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারের মাদ্রাসা কাদেরিয়াতে এদিন আসেন পাঁশকুড়া পশ্চিমের বিধায়িকা ফিরোজা 
বিবি ।ওই মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বিধায়িকার আগমনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার শিক্ষার অগ্রগতি ও হালহকিকতের খোঁজ নেওয়া । পাঁশকুড়ার বড়মা কোভিড হাসপাতালে পতাকা উত্তোলন করা হয় । ছিলেন হাসপাতালের এমডি আফজল শাহ ও চিকিৎসকরা । আফজল সাহেব তিনি মাইসোরা পঞ্চায়েত এলাকাতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন 
করেন ।উল্লেখ্য ,তিনি মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের অবজারভার। পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারে বিদ্যাসাগর দ্বিশতবার্ষিকী কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । পতাকা উত্তোলন করেন পাঁশকুড়া পশ্চিমের 
প্রাক্তন বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুর । উপস্থিত ছিলেন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা । এছাড়া ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকেও পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় ।
এছাড়া পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারের প্রাচীনতম ক্লাব বীরেন্দ্র মিলন মন্দিরেও পতাকা উত্তোলন করা হয় ।

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

পাঁশকুড়া পুর এলাকায় দুজন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ।

ভারত নিউজ - পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকায় নতুন করে দুজন ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হয়েছেন যাদের বাড়ি প্রতাপপুর এলাকায়। দুজনেই পুরুষ তাদের একজনের বয়স ৬০ এবং একজন ২৬ বছর বয়সের যুবক। আরজিকর  হাসপাতালে  মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে  তাদের  নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া পুরুষোত্তমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত 
বেড়াবেড়িয়া গ্রামে এক যুবতী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং কলকাতা থেকে এসেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে পাঁশকুড়া পৌর এলাকা, তমলুক শহর, কাঁথি, হলদিয়া, কোলাঘাট প্রভৃতি এলাকায় তুলনায় সংক্রমণের হার বেশি। 

পাঁশকুড়ার মহৎপুরে রক্তদান শিবির ও চারাগাছ বিলি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো ।

আজ পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মহৎপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির ও চারা গাছ বিলি কর্মসূচি।  প্রায়    ৬০ জন রক্তদান করেন যাদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি গুরুপদ মুন্সি ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুনিতা মুন্সি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত 
ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভার বিধায়িকা ফিরোজা বিবি, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন মালিক, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দীপ্তি জানা প্রমূখ। এছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের মধ্যে চারাগাছ বিলি করা হয় । তমলুক মহকুমা ব্লাড ব্যাংক রক্ত সংগ্রহের কাজটি করে । লকডাউন ও মহামারী চলার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রক্তের সংকট দেখা দেয়। সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির আয়োজিত হওয়ার ফলে সংকট কিছুটা হলেও নিরশন হয়েছে । মহতপুর প্রাথমিক স্কুলে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয় ।  এছাড়া, বোর্ডের পরীক্ষায় কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় । 

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...