রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

বর্ষা এলেই পাঁশকুড়ায় 'দুঃখের নদী' হয়ে যায় কাঁসাই ।

ভারত নিউজ - বাংলার দুঃখের নদী দামোদর, চীনের দুঃখের নদী হোয়াংহো ,ঘাটালের দুঃখ শিলাবতী । তবে নদী যতই দুঃখের হোক এই নদীর জলে পুষ্ট হয়ে কৃষিজমি হয়ে ওঠে সুজলা সুফলা। এই নদীর স্নিগ্ধ বাতাসেই প্রকৃতির উষ্ণতা হয়ে ওঠে মনোরম কিন্তু ভরা প্লাবনে এই নদী অনেক সময় হয়ে ওঠে সহস্র মানুষের দুঃখের কারণ ।পাঁশকুড়ার মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে রয়েছে বহু পুরনো ইতিহাস । কথিত আছে চাঁপাডালি প্রাচীনকালে যার নাম ছিল চম্পকনগর সেখান থেকে চাঁদ সদাগর বাণিজ্য করতে যেতেন ।কাঁসাই নদী তার দুই কুলকে করেছে শস্য-শ্যামলা ।
 কাঁসাইয়ের পার পাঁশকুড়ার মানুষের একটু বিশ্রামের ,মন ভালো রাখার আশ্রয় যেন প্রাকৃতিক পার্ক ।তবে প্রায় বছর কাঁসাই বর্ষাকালে পাঁশকুড়ার বেশকিছু গ্রামকে বা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে প্লাবিত করে ।এই বছরেও এই মুহূর্তে নদীতে ভরা জল। গতকাল পাঁশকুড়ার ডোমঘাটে নদীর ওপরে একটি বাঁশের সেতু তলিয়ে গিয়েছে ।এখনো পর্যন্ত কোন গ্রাম প্লাবিত হয়নি তবে অনেকেই প্রহর গুনছে আবার  না পরিবার নিয়ে নিরাশ্রয় হয়ে কোন স্কুল বা রিলিফ সেন্টারে দিনযাপন করতে হয় । শুধু পাঁশকুড়ার কয়েকটি গ্রাম নয় পাঁশকুড়া 
পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডও মাঝে মাঝে কাঁসাইয়ের প্লাবনে প্লাবিত হয় ।পাঁশকুড়ার কাঁসাই ও কোলাঘাটের রূপনারায়ন এই দুই নদীকে সংযোগ করেছে মেদিনীপুর খাল ।একসময় এই মেদিনীপুর খাল সারাবছর জলে ভরে থাকতো কিন্তু বর্তমানে প্রায় মজে যাওয়ার অবস্থায় ।লকগেটগুলি প্রায় অকেজো। এই খাল কার্যকরী থাকলে ভরা নদীর জল অনেকটা সরিয়ে দেওয়া যেত । ঐ জল চাষের কাজেও লাগানো যেত । সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে বন্যা রোধের জন্য স্লুইস  গেট তবে তারপরেও বন্যার আশঙ্কার মেঘ পুরোপুরি দূর হয়নি ।তাছাড়া অন্যান্য বছরের থেকে এবছরের পরিস্থিতি আলাদা। কোন কারনে প্লাবন হলে বন্যা দুর্গত মানুষদের সরকারি প্রাণকেন্দ্রে গাদাগাদি করে রাখতে গেলে অন্য বিপদ হতে পারে।
 তবে পরিশেষে একটা কথা বলা খুব দরকার অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটা পরিকল্পনা করেছিলেন ।দেশের নদীগুলির সংযুক্তি ।তিনি তাঁর শাসনকালে এটা করে যেতে পারেননি তবে সমস্ত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে তাঁর এই পরিকল্পনাটাকে কার্যকরী করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে যাতে দেশকে বন্যা ও তৎসংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি থেকে মুক্ত করা যায় । তবে নদীর উপরে এই ধরনের বাঁশের সেতুগুলো তৈরি করা বা তৈরি করতে দেওয়া ঠিক কিনা ভেবে দেখা দরকার কারণ মানুষ চলাচলের সময় ভেঙে পড়লে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে । ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরায়, বর্ষায় কাঁসাইয়ের জলস্তর স্ফীত হলেই বিপদ এর হাতছানি দেখতে পায় পাঁশকুড়ার মাইসোরা, গোবিন্দনগর, চৈতন্যপুর, প্রতাপপুর ,পুরুষোত্তমপুর ,ঘোষপুর হাউর সেইসঙ্গে পাঁশকুড়া শহরের একাংশের মানুষেরা ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...