পাঁশকুড়া ব্রাডলী বার্ট হাইস্কুলের শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন মানস কুমার দাস বলেন পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকায় কোন গ্রন্থাগার নেই কারোর কোন প্রয়োজন পড়লে জেলা গ্রন্থাগারে যেতে হবে । পাঁশকুড়া পৌরসভা এলাকায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস । কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী ,শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সংস্কৃতিবান মানুষ রয়েছেন তাই পৌরসভা এলাকায় একটি গ্রন্থাগার দরকার ।
অনলাইন নিউজ,সত্য ঘটনা দেশবাসীকে তুলে ধরে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর - WB12D0006173 ( MSME, GOVT. OF INDIA ) , MEMBER OF ALL INDIA MEDIA ASSOCIATION ( মেম্বারশিপ নম্বর - 39567 ) . যোগাযোগ করুন এই হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে - 85975 10299.
মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০
পাঁশকুড়া শহরের একমাত্র গ্রন্থাগার বন্ধ হয়ে রয়েছে বহুদিন যাবৎ ।
ভারত নিউজ - একসময় তথ্যের জন্য, পড়ার নেশা মেটানোর জন্য যেতে হতো গ্রন্থাগারে। ইন্টারনেটের দৌলতে তথ্য এখন হাতের মুঠোয় কিন্তু তবুও সমাজ জীবনে গ্রন্থাগারের চাহিদা পুরোপুরি অস্বীকার করা যায়না কারণ অনলাইনের রমরমা সত্বেও প্রিন্টেড হার্ডকপির যেমন একটা গুরুত্ব রয়েছে তেমন ছাপানো বইয়ের গুরুত্বও অস্বীকার করা যায়না ।পাঁশকুড়া শহরের অর্থাৎ ,১৮ টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট পাঁশকুড়া পৌরসভার একমাত্র গ্রন্থাগার বিদ্যাসাগর জন গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র যেটা পাঁশকুড়া বিডিও অফিসের নিকটবর্তী ছয় নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ।আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন হয়েছিল । একজন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করা হয়েছিল ।সপ্তাহে পাঁচ দিন সন্ধ্যেবেলায় খোলা হত ।পাঠকও ছিল ভালো । তৎকালীন সরকার যেহেতু সমস্ত জায়গায় গ্রন্থাগার খোলা সম্ভব হয়নি তাই এরকম জন গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র খোলে সেগুলোতে বছরে কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়া হতো বই কেনা এবং দৈনন্দিন সংবাদপত্র ও পত্র-পত্রিকা কেনার জন্য । এই জন গ্রন্থাগারটি প্রথমে পাঁশকুড়া গান্ধি বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক স্কুলের ওপরে শুরু করা হয় পরে ছয় নম্বর ওয়ার্ডে নিজস্ব ভবন তৈরি হয় কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে কোনো কারণবশত গ্রন্থাগারটি বন্ধ হয়ে যায় ।তারপর আর খোলা হয়নি ।গ্রামীণ এলাকায় নারায়নদিঘী ,শুকুতিয়া , রাতুলিয়া ও হাউর এর মাঝে এরকম কয়েকটি জায়গায় গ্রন্থাগার রয়েছে কিন্তু পাঁশকুড়া শহরে এটাই ছিল একমাত্র গ্রন্থাগার ।স্কুল-কলেজের শিক্ষার বাইরে গ্রন্থাগার পরোক্ষ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে ।সমাজকে সুস্থ পথে চালিত করার জন্য ও উন্নত সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য গ্রন্থাগারের প্রয়োজন ।এখনো অনেকের স্মার্টফোন নেই ,কম্পিউটার ভারতবর্ষের মতো দেশে বাড়িতে বাড়িতে নেই তাই গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায়না ।অনেক ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল ছুট হয়ে যায় পরে আবার দূরশিক্ষার মাধ্যমে পড়তে চাইলে গ্রন্থাগারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে । কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা নীতি প্রবর্তন হয়েছে তাতে কারো পড়া মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীকালে আবার তারপর থেকে পড়া শুরু করতে পারবে তবে সেগুলো দূর শিক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে যার জন্য গ্রন্থাগারের প্রয়োজন । জাতীয় নলেজ কমিশন যার প্রধান ছিলেন স্যাম পিত্রোদা গ্রন্থাগার এর উপরে গুরুত্ব আরোপ করেছিল ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।
দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন