রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

নেতাজীর জীবনে আগস্টের ১৫, ১৮ ও ২৩ এই তিনটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

ভারত নিউজ – ১৫ ই আগস্ট ,ভারত স্বাধীন হয়, ১৮ ই আগস্ট ১৯৪৫ সালে ঘটেছিল তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনা । যেই বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয় । অন্তত অফিসিয়ালি এই তত্বটাই স্বীকৃত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু জনমতের চাপে সম্ভব হয়নি । এর প্রায় দু বছর বাদে ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে ।যদিও নেতাজির আইএনএর বহু সদস্য ওই বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্বকে মানতে নারাজ ।

সরকারিভাবে স্বীকৃত বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল । তাইহোকু সামরিক হাসপাতালে ১৮ই আগস্ট সন্ধ্যার দিকে নেতাজির মৃত্যু হয় । তাইহোকু জাপানের একটি বিমানবন্দর ।একটি জাপানি বিমান যার অনেক যাত্রীর মধ্যে একজন যাত্রী নেতাজি ছিলেন তাইহোকুতে জ্বালানি ভরার জন্য অবতরণ করে কিন্তু পুনরায় আকাশে ওড়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে । দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ে । সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসার পর নেতাজী বলেছিলেন আমার নয় অন্য যাত্রীদের আগে যাতে চিকিৎসা করা হয় সেটা দেখতে যদিও

হাসপাতাল সমস্ত রকম চেষ্টা চালায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয় । এর দুদিন পরে কুড়িই আগস্ট তাইহোকু শ্মশানে নেতাজির সৎকার পর্ব সম্পন্ন হয় কিন্তু আজও ভারতবাসী এই মৃত্যুকে মনে প্রানে মেনে নিতে পারেনি। মেনে না নেওয়ার পেছনে অনেক যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে কারণ মৃত্যু হলে স্থানীয় প্রশাসন একটি ডেট সার্টিফিকেট ইস্যু করে । নেতাজির ডেথ সার্টিফিকেট আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি। নেতাজির মৃতদেহের কোন‌ও ছবিও নেই। তাইহোকু সামরিক হাসপাতাল থেকে একটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছিল। যে ব্যক্তির নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছিল তার নাম ওকারা ইচিরো ,১৯ শে আগস্ট হার্ট ফেলিওরে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ।

নেতাজির আইএনএ সরকারকে বিশ্বের আটটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল । আইএনএ সরকারের রাষ্ট্রনায়ক নেতাজি সেক্ষেত্রে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলি কোন শোক পালন বা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিল কি ? আর যদি সত্যিই মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে কিসের এত গোপনীয়তা ! নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল উন্মোচনে কেন এতো রহস্য চাপা দেওয়া হয়েছে । সারাবিশ্বে তো কত বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে সব ক্ষেত্রে কি এত গোপনীয়তা বা রহস্য চাপা দেওয়া হয়েছে । তাহলে এই একটিমাত্র বিমান দুর্ঘটনায় কেন এত রাখঢাক । আজ এত বছর হয়ে গেল এখনো সেই রহস্য অধরা থেকে গেল । কারোর মৃত্যু হলে স্থানীয় প্রশাসন একটি ডেথ সার্টিফিকেট দেয় । তাইহোকু পুর কর্তৃপক্ষ সেরকম কোন ডেথ সার্টিফিকেট নেতাজির নামে ইস্যু করেনি । তাইহোকুর কোন স্থানীয় সংবাদপত্রেও বিমান ভেঙে পড়ার খবর সেসময় প্রকাশিত হয়নি। মুখার্জি কমিশন গঠিত হলেও সেই কমিশনের রিপোর্ট আজও জানা যায়নি । জাস্টিস মুখার্জি তাইহোকুতে গিয়েছিলেন রহস্য উন্মোচনের জন্য ।ওখানকার কর্তৃপক্ষ জানায় ১৯৪৫ সালের ১৮ ই আগস্ট কোন‌ও বিমান দুর্ঘটনা হয়নি এমনকি ওখানকার সংবাদপত্রে ১৮ই আগস্ট এর সাম্প্রতিককালে কোন বিমান দুর্ঘটনা খবর প্রকাশিত হয়নি। দীর্ঘ বছরের গোপনীয়তা ও রহস্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিথ । একাধিক সাধু , বাবাজি নেতাজি বলে প্রচার করা হয়েছে আসলে রহস্য যত দীর্ঘায়িত হয় তত বেশি করে তত্ত্ব গড়ে ওঠে । এই তত্ত্বের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি যদি পাওয়া যেত তাহলে তো রহস্যের সমাধান হয়ে যেত ।যেটা বহু বছর ধরে প্রচলিত হয়ে রয়েছে একটি চুক্তিতে নেতাজিকে আন্তর্জাতিক অপরাধী দেখানো হয়েছে অর্থাৎ নেতাজি জনসমক্ষে এলে তাকে যুদ্ধবন্দী অনুযায়ী বিচার করতে হবে কারণ তিনি সশস্ত্র সামরিক বাহিনী গঠন করে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন । তবে যে কোন চুক্তির একটি মেয়াদ থাকে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ফাইল উন্মোচিত হবে নাকি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে চুক্তির মেয়াদ বছরের-পর-বছর বাড়তে থাকবে সেটা ভবিষ্যৎ বলবে । যদি নেতাজি অন্তর্ধান হয়ে থাকে তাহলে তিনি দেশের মধ্যে না দেশের বাইরে রয়েছেন সেটাও একটা রহস্য । আরো একটা জিজ্ঞাস্য তিনি কি আত্মগোপন করে আছেন না বন্দী হয়ে আছেন। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় মৃত নেতাজির চিতাভস্ম ও অস্থি সংরক্ষিত রয়েছে জাপানের রেনকোজি মন্দিরে ।রেনকোজি জাপানের একটি বৌদ্ধ মন্দির ।নেতাজি কন্যা অনিতা বসু দীর্ঘ বিতর্ক নিরসনের জন্য চিতা ভষ্ম ভারতে আনার কথা বলেছিলেন যদিও ওই চিতা ভষ্ম আদৌ নেতাজির কিনা সেটা নিয়েও একটা প্রশ্ন রয়েছে । তাছাড়া এত বছর পরে ওই চিতা ভষ্মের ডিএনএ টেস্ট করে কোন‌ও সমাধান করা যাবে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে । ওই চিতা ভষ্ম সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছর টাকা পাঠানো হয় । রেনকোজি মন্দির একবার সম্পূর্ণ পুড়ে যায় তবে আশ্চর্যজনকভাবে চিতা ভষ্মটি অক্ষত রয়ে যায় । আবার বলা হয় ওই চিতাভস্মটি নেতাজির নয় অন্য এক সৈনিকের । তবে ,নেতাজি বেঁচে থাকবেন চিরকাল ভারতবাসীর হৃদয়ে । গুমনামি বাবাকে নেতাজী বলে দীর্ঘদিন অনেক মহলে দাবি করা হয়ে এসেছে । সম্প্রতি সেই গুমনামি নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি হয়েছে ।

আই এন এ তে নেতাজির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী কর্নেল হবিবুর যিনি ভারত স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানএ গিয়ে থাকেন তিনি ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লাহোর থেকে প্রকাশিত সিভিল এন্ড মিলিটারি গেজেটে বলেছেন নেতাজি সংক্রান্ত তিনি এতদিন যে কথাগুলি বলে এসেছেন সেগুলি সঠিক নয় ।তিনি একজন সৈনিক ।সৈনিককে কম্যান্ডোর কথা শুনতে হয় তাঁকে যেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তিনি সেভাবেই কাজ করেছেন । ‘সুভাষ ঘরে ফেরে নাই’ গ্রন্থটি থেকে এই কথা জানা যায় । আসলে বিমান দুর্ঘটনার গল্পটি সুভাষ নিজেই ফেঁদেছিলেন দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা ও ব্রিটেনকে ধোকা দেওয়ার জন্য ।

তিনি জার্মানি ও জাপানের সাহায্য চেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে এই দুই শক্তির পরাজয় হয় সুভাষ তখন অন্য কোন শক্তির সাহায্যের চেষ্টা করেন যে শক্তি ব্রিটেন বিরোধী কিন্তু তার জন্য একটা কৌশল অবলম্বন করা দরকার ছিল ।এই কৌশলে জাপান তাঁকে সাহায্য করেছিল। তিনি বলেছিলেন গন্তব্যে যেটা সম্ভাব্য রাশিয়া পৌঁছনোর পর তাঁর মৃত্যু সংবাদ যেন ঘোষণা করা হয় ।সুপরিকল্পিত কৌশল করা হয়েছিল অত্যন্ত দক্ষতার সাথে । এই গল্পটা তৈরি করার জন্য নেতাজির সহযোগী কর্নেল হবিবুর রহমানের শরীরের সামান্য অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীকালে এই কৌশলটাকে কিছু ব্যাক্তি ভাঙা রেকর্ডের মতো বাজিয়ে যায় । মুখার্জি কমিশন এর সাথে তাইহোকুতে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্য ।তিনি বলেন তাইহোকু শ্মশানে আমরা প্রতিটি রেকর্ড খুঁজে দেখেছি কোথাও নেতাজির নাম নেই। তাইহোকু সরকার জানিয়েছে ওই দিন কোন বিমান দুর্ঘটনা হয়নি ।
কেশব ভট্টাচার্যর একটি সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্ট থেকে জানা যায় , নেহেরুর গোপন টেন পয়েন্ট ও eight point মেমোরেন্ডাম, সেই মেমোরেন্ডাম এর গোপন নোট থেকে জানা যাচ্ছে; ভারতবাসীর নাগরিকত্বের সাথে গোপনে নেহেরু যেখানে কম্প্রোমাইজ করছে সেখানে এই full Rights But No Allegiance কথাটি আসে কী করে ? Automatic আনুগত্য প্রকাশ হয় কী হয় না এর জবাব পাওয়া যায় 1949 সালে ব্রিটিশ ক্যাবিনেটে গৃহীত ভারতের Consequential Provision এর ড্রাফ্ট বিলের উল্লেখ করা সেকসান – 1(1) থেকে ; যেখানে Provision as to Nationality সমন্ধে বলা হচ্ছে : [ ” A person shall not be British subject by reason only that he is a citizen of India , but the expression “Commonwealth citizen” shall continue to include citizen of India whether they are or are not British subject.] অর্থাত, ভারত রিপাবলিক করার পরে ভারতের নাগরিকদের মর্যাদা টা এই রকম হবে – আমরা ব্রিটিশ প্রজা হই বা না হই তবুও “কমনওয়েলথ সিটিজেনের ” expression টা লাগাতর বহন করে চলবো / চলেছি ; এর পরেও India Within Empire এর ভিতর Republic করা সত্বেও Allegiance ( আনুগত্য ) প্রকাশ করতে হয় না বা হলো না সেটা কী মেনে নেওয়া সম্ভব ? যেখানে আমারা “C’wealth Citizen”এর মানেটা লাগাতর বহন করে চলেছি ?? এবং এই কমনওয়েলথ সিটিজেনের মানে টা বা expression টা কী সেটা ব্রিটিশ ন্যাশনালটি অ্যাক্ট-১৯৪৮ এ পরিস্কার ভাবে বলা রয়েছে এই ভাবে – “ব্রিটিশ প্রজার” substitute হল “কমনওয়েলথ সিটিজেন”
সুতরাং, যদি ব্রিটিশ প্রজারা রানীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে সেখানে যারা কমনওয়েলথ সিটিজেন তাদের আনুগত্য কী অদৃশ্য ভাবে automatic প্রকাশ পায় না ? ? যেখানে কমনওযেলথের প্রত্যেকটি দেশ common bond of unity ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আইনের প্রোভিশানের মাধ্যমে রক্ষা করে চলেছে ! ? যদিও each country can alter its nationality legislation independently of the others without breaking the common bonds of British Nationality . [ The Advocate Page:10, 15 Sep’1949]
এই সত্য ভারত সরকারের দলীলেও প্রকাশ পেয়েছে এই ভাবে – Under Section 1(1) of the British Nationality Act of 1948, a citizen of India is also a British Subject for the purpose of British Law. This position has remained unchanged even after India became a republic .” ভারত রিপাবলিক করার পরেও ভারতবাসীর এই status পরিবর্তন হয়নি 1949 সালের Consequential Provision Act এর কারনে যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতবাসী যাতে রিপাবলিক করার পর আগের মত ব্রিটিশ প্রজার সমতুল্য হতে পারে ।

এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্য এবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন ফেসবুক লাইভে আসেন । নেতাজি অনুরাগীরা একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেছেন । তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল ।এরপরেও কিছুদিন ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন তারপর আসেন চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী কিন্তু একটি স্বাধীন দেশে লর্ড মাউন্টব্যাটেন কি করে গভর্নর জেনারেল থাকতে পারেন ।বৃটেনের রানীর ভারতে আসতে কোন ভিসা লাগেনা ,কেন লাগেনা ,একটি স্বাধীন দেশে বিদেশের যেকোনো মানুষের আসতে ভিসা লাগে । এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্য আরেকটি তথ্য উল্লেখ করেছেন ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর নেহেরু একটি চিঠি লিখেছিলেন , ইংল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জর্জ এর কাছে “মহামহিমান্বিত হুজিরের নিকটে যথাবিহিত সম্মান পোষন অধীনের বিনীত নিবেদন ” , স্বাধীন দেশে থেকে অধীনের বিনীত নিবেদন কেন লিখতে হবে যদি থাকি তাহলে লিখতে হবে । নেতাজি নিয়ে অনেক কল্পকাহিনী গড়ে উঠেছে কিন্তু কেশব ভট্টাচার্য তিনি মুখার্জি কমিশন এর সঙ্গে তাইহোকুতে গিয়েছিলেন এবং তিনি নিজে একজন নেতাজি অনুরাগী তিনি যে সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন প্রতিটি তথ্যনিষ্ঠ ও প্রমাণ সহযোগে তুলে ধরেন তাই তাঁর বক্তব্য আমরা গুরুত্ব না দিয়ে থাকতে পারিনা । তবে ভারত স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই স্বাধীনতার দলিল দেশবাসী আজ পর্যন্ত দেখতে পায়নি। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিল ,জেল খাটলো তারা বা তাদের পরিবার তারাও দেখতে পায়নি ।বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু তার দলিল রয়েছে ।

এডভোকেট কেশব ভট্টাচার্যর বক্তব্যগুলি তাঁর নিজস্ব মতামত তবে তিনি অত্যন্ত তথ্য ও প্রমাণ সাপেক্ষে এগুলি তুলে ধরেছেন তাই উল্লেখ করা হল । তিনি এটাও বলেছেন বিভিন্ন গণআন্দোলনে যখন দেশবাসী স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর ,আন্দোলন তুঙ্গে ঠিক সেই সময় গান্ধীজি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন । উল্লেখ্য ,কেশববাবু যেটা বিস্তারিত বলেননি, বিস্তারিত হচ্ছে অসহযোগ আন্দোলন যখন তুঙ্গে ১৯২২ সালে গোরক্ষপুরে আন্দোলনকারীরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে থানা আক্রমণ করে এরপরেই গান্ধীজী আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এতে দেশবাসী চূড়ান্ত হতাশ হয় ।সুভাষ বলেছিলেন গান্ধীজি দেশের একটি জায়গার মানুষের পাপে সারা দেশবাসীকে শাস্তি দিলেন । আইন অমান্য আন্দোলন যখন তুঙ্গে গান্ধীজী সেই সময় আন্দোলন সাময়িক বন্ধ রেখে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিতে গেলেন। ফিরলেন খালি হাতে ।পুনরায় আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করতে গেলে ব্রিটিশ পুলিশ শুরুতেই আন্দোলনের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছিল ।তবে সুভাষ এর সাথে গান্ধীজীর একটা মৌলিক পার্থক্য ছিল চিন্তায় ও কর্মে। সুভাষের লক্ষ্য ছিল ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা । অপরদিকে গান্ধীজী প্রথমদিকে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস এর কথা বলেছেন পরে পূর্ণ স্বাধীনতার কথা বলেছেন । তাছাড়া গান্ধীজী প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন ব্রিটিশ বেকায়দায় পড়েছেন তখন ব্রিটিশের সাথে সহযোগিতার কথা বলেছেন ।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই ব্রিটেনের মিত্রশক্তি জার্মানির কাছে ধরাশায়ী ছিলো ।সুভাষ অবিলম্বে আন্দোলন শুরুর কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন ভাগ্য সর্বদা একটি জাতিকে স্বাধীনতার সুযোগ করে দেয়না, অবিলম্বে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্যে আন্দোলনে নামা উচিত। অপরদিকে ,গান্ধীজী তখন বলেন ভারতবর্ষ এখন‌ও পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি ,অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...