বছরের শেষেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন । করোনা মহামারী কবে ইতি টানবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা কিন্তু তাহলে কি সমস্ত কাজ বন্ধ থাকবে বিশেষ করে নির্বাচন না হলে নতুন সরকার গঠিত হবেনা সে ক্ষেত্রে বন্ধ থাকবে উন্নয়ন । বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বেশকিছু বিধি নিয়ে এসেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, প্রচার ,ভোটগ্রহণ ,গণনা প্রতিটি স্তরেই বিধি ও নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছে ।
ভোটগ্রহণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তির ফেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক । নির্বাচন সংক্রান্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্যানিং করতে হবে, স্যানিটাইজার ,সাবান ,জল সরবরাহ রাখতে হবে ,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে , নির্বাচন সংক্রান্ত গাড়িগুলিতে কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে । রাজ্য ,জেলা এবং প্রতিটি বিধানসভার ক্ষেত্রে নোডাল স্বাস্থ্য আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। ইভিএম ও ভিভিপ্যাটগুলি সানিটাইজড করতে হবে। যে সমস্ত আধিকারিক ভিভিপ্যাট এবং ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবেন তাদের হ্যান্ডগ্লাভস দিতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণগুলি হলঘরে আয়োজন করতে হবে ।প্রশিক্ষণের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে হবে যাতে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ভিডিও ক্লিপিংস এবং যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থাকবে অর্থাৎ প্রশিক্ষণের একটা অংশ অনলাইনে করা হতে পারে ।
নমিনেশান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে নমিনেশান ফর্ম পূরণ করা যাবে। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এর ওয়েবসাইটে গিয়ে করা যাবে তবে প্রিন্ট কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। প্রার্থীরা তাদের জামানতের অর্থ অনলাইনে জমা দিতে পারবে তবে কোনো প্রার্থী চাইলে ট্রেজারিতে গিয়েও জমা করতে পারবে । রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীর সঙ্গে দুজন সঙ্গে যেতে পারবে । নমিনেশানের ক্ষেত্রে দুটির বেশি গাড়ি ব্যবহার করা যাবেনা ।
ভোট কর্মীরা যে জায়গা থেকে মেটেরিয়ালস সংগ্রহ করবে সেটা বড় হলঘর হতে হবে । ডিসি আরসিতে অতিরিক্ত সংখ্যক ভোটকর্মী রাখতে হবে যাতে বুথে কোনো কর্মীর সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে তার পরিবর্তে অন্য কর্মীকে নিয়োগ করা যায় ।
পোলিং স্টেশনগুলিতে অবশ্যই স্যানিটাইজেশন করতে হবে । দুজন ভোটারের মধ্যে ছয় ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। প্রত্যেক ভোটারের থার্মাল স্ক্যানিং করতে হবে যদি কোনো ভোটারের তাপমাত্রা বেশি থাকে সেই ব্যক্তিকে শেষ বেলায় এসে ভোট দান করতে হবে । বুথের প্রবেশ ও প্রস্থান ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার দিতে হবে, প্রত্যেক ভোটারকে মাস্ক পরে আসতে হবে যদি কোনো ভোটার কোয়ারেন্টাইনে থাকে তাকে শেষ বেলায় এসে ভোট দিতে হবে । প্রত্যেক ভোটারকে স্বাক্ষর করা ও ভোটদান করার জন্য হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হবে । ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক, বিএলও এদের রাখতে হবে সহযোগিতা করার জন্য। একটি বুথে হাজারের বেশি ভোটার থাকবেনা ।
যে সমস্ত ব্যক্তিদের পোস্টাল ব্যালট ইস্যু করা হবে তারা হলেন বয়স আশির উর্ধ্বে হলে, শারীরিক দিক থেকে অক্ষম হলে, কোন ভোটার অত্যাবশ্যক পরিষেবার যুক্ত থাকলে, কোন ভোটার কোভিড – ১৯ পজিটিভ হলে বা সন্দেহযুক্ত হলে এবং বাড়িতে বা কোথাও কোয়ারেন্টাইনে থাকলে ।
নির্বাচনী প্রচারে যে নিয়মগুলি মানতে হবে বাড়ি বাড়ি প্রচারে প্রার্থীসহ সর্বাধিক পাঁচ জন যেতে পারবে, রোড শো করা যাবে তবে সর্বাধিক পাঁচটি গাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে যদি নিরাপত্তার ব্যাপার থাকে তাহলে সর্বমোট দশটি গাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে ।জনসভা বা রেলি করা যাবে তবে তার জন্য কঠোর নিয়ম কানুন মানতে হবে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন ।সভায় সামাজিক দূরত্ব রাখতে হবে ,একজন নোডাল স্বাস্থ্য আধিকারিক রাখতে হবে, জনসভাগুলোতে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে থার্মাল স্ক্যানিং, ফেস মাস্ক ,স্যানিটাইজার প্রভৃতি রাখতে হবে ।
গণনা কেন্দ্রে একটি হলে সাতটির বেশি টেবিল থাকবেনা ,কন্ট্রোল ইউনিটের ফলাফল দেখার জন্য একটি ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে । প্রতিটি ইভিএম ও ভিভিপ্যাট গণনার আগে স্যানিটাইজার করতে হবে। গণনা কেন্দ্রগুলি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ইভিএমগুলি সিলিং ও ডিসিলিং করার জন্য প্রতি টেবিলে একজন করে থাকবেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন