ভারত নিউজ(জেলার খবর), পূর্ব মেদিনীপুর – পাঁশকুড়া পুরসভায় একের পর এক আসছে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট। গতকাল পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার লাগোয়া আট নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিন তারিখ তার রিপোর্ট কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, চার তারিখে পজিটিভ রিপোর্ট আসে তবে তিনি পরিযায়ী ছিলেননা। ওই ব্যক্তির বয়স ছেচল্লিশ বৎসর। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে যাদের বয়স যথাক্রমে বিয়াল্লিশ ও একুশ বছর। ওই দুজনকে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি বলে ধরা হয়েছে। তার বাড়ি লাগোয়া এটিএম, জুতোর শোরুম, ইন্সিওরেন্স অফিস,একাধিক দোকান ও অফিস

রয়েছে। ওখানকার একটি সংস্থার কর্মী বলেন আপাতত এই চত্বরটা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া ভালো যদিও সেটা প্রশাসনের বিবেচ্য। সম্পূর্ণ খতিয়ে দেখার পর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। ওই ব্যক্তির জ্বর থাকায় নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এরই উল্টোদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক কর্মীও করোনা পজিটিভ। তার বয়স সাতচল্লিশ বছর। এই ব্যাংকটি নয় নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত। এছাড়া, এক নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যক্তি পজিটিভ তিনিও পরিযায়ী নন, বয়স ছাব্বিশ বছর। সাত নম্বর ওয়ার্ডের একব্যক্তি করোনা পজিটিভ ( বয়স সাতাশ বছর) । তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকায় সর্বপ্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন ষোল নম্বর ওয়ার্ডের এক বৃদ্ধা। অর্থাৎ পাঁশকুড়া পৌরসভায় সংক্রমণের হিসেব বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সবাই পরিযায়ী নন অনেকেই স্থায়ী বাসিন্দা এলাকার। অপরদিকে পাঁশকুড়া গ্রামীণ এলাকায় প্রতাপপুর দুই নম্বর অঞ্চল, মাইশোরা ও কেশাপাট অঞ্চলে একজন করে ব্যক্তির ধরা পড়েছিল।এলাকার সকল মানুষের কাছে আবেদন আতঙ্কিত হবেননা সতর্ক হবেন। একমাত্র সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনাকে প্রতিরোধ করা যায় ।
চিত্র - গুগুল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন