লোকজনকে সমস্ত ঘটনা জানায় ওই ছাত্রী । পুলিশ ফোনের কল লিস্ট ধরে জানতে পারে তাদের ঠিকানা গুজরাটের জম্মুর এলাকায় । গুজরাট পুলিশকে পুরো বিষয়টা জানানো হয়। বসিরহাট এর পুলিশ সুপার কঙ্কর প্রসাদ বারুইয়ের উদ্যোগে গুজরাট ও বাংলা পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় অপহৃত দুই নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পাচারকারী পিন্টু মোল্লা ও দীপক দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । দুই ছাত্রী বাড়ি ফেরায় স্বস্তির হাওয়া মেরুদন্ডী গ্রামে। নাবালিকা ছাত্রী উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকায় খুশি পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই নাবালিকা পাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। মূলত, দারিদ্র্য, অসচেতনতা প্রভৃতি কারণে নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত চক্রগুলি এই এলাকায় রমরমিয়ে কারবার চালাচ্ছে। চক্রগুলি একেবারে গ্রাসরুট লেভেলে আড়কাঠি নিয়োগ করে রেখেছে, এমনকি নারী পাচারের জন্য মহিলাদেরকেও আড়কাঠির কাজে লাগিয়ে রেখেছে। কখনও প্রেমের ফাঁদে ফেলে কখনও শহরে মোটা মাইনের কাজের টোপ ফেলে মেয়ে পাচারের কাজ সম্পন্ন করে থাকে। প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে এবং এলাকার হাইস্কুলগুলোকে এই কাজ বন্ধ করার জন্য সক্রিয় হতে হবে। দারিদ্র দূরীকরণ ও সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে এবং এই চক্রের সাথে যারা যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন