বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির, কলকাতা পুলিশের কাছে এই মর্মে অভিযোগ করেন গড়িয়াহাট এলাকার এক বাসিন্দা। জানান, ২,৭০০ টাকার ওষুধের জন্য ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে যথাক্রমে কসবা থানা এবং নিউ আলিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার রায়চৌধুরী ও ইন্দ্রজিৎ হাজরা নামক দুই ব্যক্তিকে ডায়মন্ড হারবার রোডের  সামনে থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এক বিশেষ টিম। তাদের কাছে পাওয়া যায় রেমডেসিভির ১০০-র বারোটি ফাইল এবং তাদের বয়ানের ভিত্তিতেই পরে গ্রেফতার করা হয় হেস্টিংস থানা এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত সাহুকে। তার কাছে মেলে আরও ১২০ ফাইল রেমডেসিভির-১০০ যা সম্ভবত কালোবাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল এই চক্রের। 
মোট ১৩২ ফাইল রেমডেসিভির-১০০ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 
চিত্র ও তথ্য সহায়তায় - কলকাতা পুলিশ ।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

নতুন দল গড়লেন ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকী ।

নতুন দল গড়লেন ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকী ।দলের নাম রেখেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট । আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে জানিয়েছেন তবে তিনি কোন দলের সঙ্গে জোট করবেন কিনা সেটা এখনই জানা যায়নি তবে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি বাংলায় এসে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোটের কথা বলেছিলেন তবে ধর্মনিরপেক্ষ দল গড়ার ফলে কংগ্রেস বা সিপিএমের আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট করতে সমস্যা নেই । ইতিমধ্যে , কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে তবে মিম আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট করলে সেক্ষেত্রে কংগ্রেস , সিপিএম আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট করবে কিনা জানা যায়নি । আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু ফলাফলের একটা সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না সেক্ষেত্রে আব্বাস সিদ্দিকী কয়েকটি আসন পেলে কিংমেকার হয়ে উঠতে পারেন তবে তিনি নিজে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন ।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১

নরঘাট ব্রিজের কাছে চলছে জল প্রকল্পের কাজ ।

নরঘাট ব্রিজের কাছে চলছে জল প্রকল্পের কাজ । এই জল প্রকল্পের মাধ্যমে চন্ডিপুর এবং নন্দীগ্রামে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে । এর ফলে এই সমস্ত এলাকার জল সংকট অনেকটা দূর হবে । তমলুকে রূপনারায়ন নদী থেকে মিঠাজল পাইপলাইনের মাধ্যমে এনে এখানে শোধন হবে অবশিষ্ট জলটি সামনে নরঘাটে হলদি নদীতে ফেলা হবে । সামনে নরঘাটে নদী থাকলেও হলদি নদীর জল নোনা তাই রূপনারায়ণ থেকে পাইপলাইনে মিঠা জল নিয়ে আসা হবে । ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামে প্রায় সর্বত্র পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে । গ্রীষ্মকালে এই সমস্ত এলাকায় প্রবল জল সংকট দেখা দেয় টিউবওয়েলের জলস্তর গুলি নিচে নেমে যায় । এই জলপ্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে ।

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১

প্রসঙ্গ : বিদেশের কল্পিত ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং ভারতের বাস্তবায়িত ভ্যাকসিন ।


    লকডাউনের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছিল কমিউনিস্ট কিউবা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করল যদিও সেই কল্পিত ভ্যাকসিন আজ পর্যন্ত কোন ভারতবাসী পায়নি শেষ পর্যন্ত সবাইকে সেই ভারতের তৈরি ভ্যাকসিনের উপরেই নির্ভর করতে হল । সৎ মা কোনদিন নিজের মা হয়না এটা কেউ প্রথমে বোঝে কেউ দেরিতে বোঝে । এমনকি অনেকে দাবি করেছিল দশ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন চাই সামান্য জ্ঞান থাকলে জানা উচিত একটা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে কারণ ভ্যাকসিন এর কয়েকটি পর্যায় রয়েছে এবং প্রতিটি পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করতে হয় কিন্তু ভারতের বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে তার থেকে অনেক কম সময়ে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন সেইসঙ্গে সকল ভারতবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা চলছে যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে গিয়েছিল তাদের উদ্দেশ্যে মোমবাতি জ্বালানো নিয়েও অনেকে কটাক্ষ করেছিলেন । যারা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য মোমবাতি জ্বালিয়েছিলেন তারা অন্ধবিশ্বাসে জ্বালিয়েছিলেন এরকম ভাবার কোন কারণ নেই । মোমবাতি জ্বালালে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়না সেটা সবাই জানে কিন্তু চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করার কাজে লাগে । সমরাঙ্গনে সৈনিকরা যুদ্ধ করেন কিন্তু দেশবাসীকে সেই সৈনিকদের উৎসাহিত করতে হয় যাতে সৈনিকরা জয়ী হতে পারে । যুদ্ধে যোদ্ধার অনুপ্রেরণা একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে । ভারতীয় মস্তিষ্ক বিশ্বের অন্যান্য দেশের মস্তিষ্কের তুলনায় অনেক বেশি  উর্বর শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছা, সহযোগিতা এবং অর্থ বরাদ্দ । সেই জন্য ভারত সরকারকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরো বেশি করে অর্থ বরাদ্দ ও সহযোগিতা করতে হবে এবং দেশের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের দেশের মধ্যেই কাজ করার সুযোগ দিতে হবে । তাদের যাতে দেশে কাজ না পেয়ে বিদেশে না যেতে হয় সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে । ভারতীয় মেধাবী ছেলেমেয়েরা বিদেশে পাড়ি দেয় বিদেশের প্রতি অন্ধ মোহে সবক্ষেত্রে এটা সঠিক নয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতে গবেষণা করার সুযোগ পায়না সেই সুযোগটা নেয় উন্নত দেশগুলি । উন্নত দেশগুলি কম পারিশ্রমিকে দিয়ে ভারতীয় মেধা নিজেদের দেশে কাজে লাগাচ্ছে । অর্থ ও পরিকাঠামো বিদেশের , উর্বর ভারতীয় মেধা সস্তায় কিনে নিচ্ছে তারা এবং উৎপাদিত পণ্য সারাবিশ্বে বিপুল লাভে বিক্রি করে সমৃদ্ধ হচ্ছে উন্নত দেশগুলি । তাদের উন্নতির এটাই রসায়ন ।
   এ প্রসঙ্গে আরো একটি কথা বলা দরকার ভারত কিন্তু ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার আগেই করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে এসেছে অথচ উন্নত দেশগুলি পারেনি  সেটা চিকিৎসকদের প্রচেষ্টাতেই সম্ভব হয়েছে অথচ বিপুল জনসংখ্যা ও জনঘনত্বের দেশ ভারত । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তাঁর একটাই কাজ মাঝে মাঝে ' আরো নতুন ভাইরাস আসছে এই সমস্ত কথা বলে ভয় ধরানো 'যদিও তাঁর তত্ত্বের কোন সারবত্তা পাওয়া যায়নি অথচ করোনা মহামারী এটা সময়মতো ঘোষণা নাকরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তার পরে ঘোষণা করা হয়েছে নাহলে ভারত তথা বিশ্ব ক্ষয়ক্ষতি অনেক এড়াতে পারতো । এই মহামারিতে ভারত যেটা প্রমাণ করলো ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার আগে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে ভারত এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে বাস্তবায়িত করেছে ভারত । সদিচ্ছা ও সহযোগিতা থাকলেই ভারতীয় প্রশাসন অনেক কিছু বাস্তবায়িত করতে পারে প্রমাণিত সত্য । করোনার যে নিউ স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে ভারত সেখানে প্রথমেই  বৃটেনের সাথে উড়ান বন্ধ করেছে এবং যে যাত্রীরা এসেছে প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে । প্রথম করোনা মহামারীর ক্ষেত্রে ভারত একটু দেরি করে ফেলেছিল সেটাতে কিছুটা সরকারি ভবিষ্যৎ ভাবনার অভাব ছিল তবে পুরোপুরি সরকারি গাফিলতি ছিল বলা যায়না কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারী ঘোষণা করেছে অনেক দেরিতে কোন কারণ না দেখিয়ে একটা দেশ আন্তর্জাতিক উড়ান হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে অন্য প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে ।

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০

নানাবিধ শারীরিক সমস্যা থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে ভেষজ ঔষধ তুলসী ।

আমাদের প্রত্যেকের শরীরে এখন অনেক রকম শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাই আমরা প্রায় সকলেই এলোপ্যাথিক বা হোমিওপ্যাথিক মুঠো মুঠো ওষুধ খাই প্রত্যহ ।আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক ভেষজ ওষুধ রয়েছে সেগুলো যদি আমরা নিয়মিত খাই তাহলে শরীরকে অনেক রকম রোগের প্রকোপ থেকে মুক্ত রাখতে পারব । সেরকমই একটি হল তুলসী ।
মানসিক চাপ দূর করে -
বেশিরভাগ দেশে তুলসীকে মানসিক চাপ মুক্ত করার একটি অসাধারণ ঔষধি হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া এই পাতায় রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও রোগ প্রতিরোধ করার উপাদান যা সারাদিনের ক্লান্তি ও চাপ নিমেষের মধ্যে দূর করতে পারে। তুলসী শরীরের কর্টিসোল মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে ও অতিরিক্ত উত্তেজনা ও চাপ থেকে মুক্তি দেয়। স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ কমলে আপনি যেকোনো বিষয়ে নিখুঁতভাবে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে পারবেন। শরীরে নানারকমের রাসায়নিক চাপ থেকেও তুলসী পাতা উপকারিতা প্রদান করে । তুলসী পাতার দ্বারা শরীরের অন্তর্নিহিত শক্তি জেগে ওঠে ও ধীরে ধীরে চাপ কমে আসে 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা -

বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে তুলসী পাতায় রয়েছে অসাধারণ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যেমন এস্থেমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস, ইত্যাদি। ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দি কাশি হলে বুকে কফ বসে গেলে তুলসী পাতার দ্বারা তা তরল করে খুব সহজে শরীর থেকে দূর করা যায়। এমনকি, জ্বরের সময়ও তুলসী পাতা খুব উপকারী। বর্ষাকালে এই তুলসী পাতা ও এলাচ ভালো করে জলে ফুটিয়ে সেই জল পান করলে খুব সহজেই নানারকমের রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিভিন্ন সার্জারির পর বা কোনো ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে তা বেশ তাড়াতড়ি শুকিয়ে ওঠে।

ওজন কমানো -

তুলসী পাতার দ্বারা রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টরল দুটোই রোধ করা যায় যার ফলে খুব সহজেই আপনি ওজন বৃদ্ধির হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তার ওপর কর্টিসোল মাত্রা কমার ফলে যখন আপনার মানসিক চাপ দূর হয়, তখন ওজন কমানো আরো সহজ হয়ে যায়। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে তুলসী দিয়ে তৈরী ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল  প্রতিদিন খাওয়ার ফলে ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল মারাত্মক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।

দাঁতের স্বাস্থ্য -

তুলসী দিয়ে দাঁতের জন্যে নানারকমের টুথপেস্ট ও মাউথ ওয়াশ তৈরী করা যায় কারণ এতে রয়েছে এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান । এছাড়াও, এতে রয়েছে এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা দাঁতের যেকোনো সমস্যা, মাড়ির সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে ।

লিভারের স্বাস্থ্য -

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে তুলসী পাতায় রয়েছে হেপাটোপ্রটেকটিভ উপাদান যা লিভার নষ্ট হওয়াকে খুব কার্যকরী রূপে রোধ করতে পারে । লিভারের বিষক্রিয়াকরণ রোধ করতে তুলসী পাতা বেশ উপকারী কারণ এতে রয়েছে সাইটোক্রোম পি ৪৫০। তবে লিভারের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সাথে একবার কথা বলে তবেই তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যেস করুন।

যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন কারণ তুলসী পাতা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায় ।

যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা তুলসী পাতা খেলে রক্তচাপ কমিয়ে দেয় ফলে হৃদযন্ত্রের উপর চাপ কম পড়ে ।

যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে তারাও তুলসী পাতা খেতে পারেন ।

তুলসী পাতা যতই উপকারী হোক না কেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। দেখে নিন ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে তুলসী পাতা খাওয়া উচিত নয় - 

গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যপান করার সময় -

গর্ভাবস্থার সময় বা মা হওয়ার পর স্তন্যপান করানোর সময় সামান্য তুলসী পাতা খেলে কোনো ক্ষতি হয় না, কিন্তু অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে নানা রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় তুলসী পাতা না খাওয়াই ভালো। এছাড়া অতিরিক্ত তুলসী পাতা মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে । তাই নির্দিষ্ট পরিমাণে এটি ব্যবহার করা ভালো।

রক্তপাতের সমস্যা 

অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রক্তের প্রবাহ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরের স্বাভাবিক রক্ত জমাট হওয়ার প্রবণতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে । বিশেষ করে কোনোরকম সার্জারি বা কাটা ছেঁড়া হলে ওই সময় তুলসী পাতা এড়িয়ে চলুন। এছাড়া সার্জারির দু সপ্তাহ আগে থেকেও তুলসী পাতা খাওয়া বন্ধ করা উচিত ।

যাদের বাড়িতে জায়গা রয়েছে তারা বাগানে তুলসী গাছ লাগাতে পারেন অপরদিকে যারা ফ্ল্যাট বাড়িতে বা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তারা ব্যালকনিতে তুলসী গাছ লাগাতে পারেন । আয়ুর্বেদ ওষুধের কার্যকারিতা বুঝতে একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু আয়ুর্বেদ ওষুধ সাধারণত পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন হয় এবং ভারতের মতো দরিদ্র দেশে আয়ুর্বেদ ওষুধ যেহেতু অনেক সস্তায় পাওয়া যায় তাই এগুলির চর্চা করতে হবে ও উৎসাহ দিতে হবে ।


তথ্য সহায়তায় - আয়ুর্বেদ বই , ইন্টারনেট , উইকিপিডিয়া প্রভৃতি ।


বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানো হল ।

পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানো হল তিন বছর ও পাঁচ বছরের জন্য । উল্লেখ্য , জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রেক্ষিতে তাঁর নিরাপত্তায় ঢিলেমির অভিযোগ আনা হয় । এই তিন আইপিএস অফিসার ঐদিন নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন । জে পি নাড্ডা জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান । উল্লেখ্য , সংবিধান অনুযায়ী আইপিএস অফিসার যখন রাজ্যে নিযুক্ত হন তখন কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠাতে গেলে রাজ্যের সম্মতি দরকার হয় । আবার একটি ধারায় বলা হয়েছে আইপিএস অফিসারের পোস্টিং সংক্রান্ত কেন্দ্র - রাজ্য বিরোধ দেখা দিলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন । তিনি এই সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করেছেন প্রতিবাদ জানিয়ে । তাঁদের ইন্দো - টিবেটান বাহিনী , এসএসবি , পুলিশ রিসার্চ ব্যুরো প্রভৃতি জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে ।

বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০

ইস্তফা দিলেন বিধায়ক , বিধায়ক শূন্য নন্দীগ্রাম ।

ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী । এরফলে , নন্দীগ্রাম এখন বিধায়ক শূন্য । ২০১৬ সালে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন । তবে অধ্যক্ষ না থাকায় তিনি বিধানসভার সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তাই এই পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার ব্যাপারে বিতর্ক দেখা দিয়েছে । যদিও তিনি ইমেইল করে অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে তবে আইন যেটা বলছে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয় । তিনি প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন ২০০৬ সালে কাঁথি শহর থেকে । তবে, সেবারেও তিনি মেয়াদ পূর্ণ করেননি । ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি তমলুক লোকসভা আসন থেকে জয়ী হন ফলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ।

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...