বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০

নানাবিধ শারীরিক সমস্যা থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে ভেষজ ঔষধ তুলসী ।

আমাদের প্রত্যেকের শরীরে এখন অনেক রকম শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাই আমরা প্রায় সকলেই এলোপ্যাথিক বা হোমিওপ্যাথিক মুঠো মুঠো ওষুধ খাই প্রত্যহ ।আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক ভেষজ ওষুধ রয়েছে সেগুলো যদি আমরা নিয়মিত খাই তাহলে শরীরকে অনেক রকম রোগের প্রকোপ থেকে মুক্ত রাখতে পারব । সেরকমই একটি হল তুলসী ।
মানসিক চাপ দূর করে -
বেশিরভাগ দেশে তুলসীকে মানসিক চাপ মুক্ত করার একটি অসাধারণ ঔষধি হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া এই পাতায় রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও রোগ প্রতিরোধ করার উপাদান যা সারাদিনের ক্লান্তি ও চাপ নিমেষের মধ্যে দূর করতে পারে। তুলসী শরীরের কর্টিসোল মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে ও অতিরিক্ত উত্তেজনা ও চাপ থেকে মুক্তি দেয়। স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ কমলে আপনি যেকোনো বিষয়ে নিখুঁতভাবে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে পারবেন। শরীরে নানারকমের রাসায়নিক চাপ থেকেও তুলসী পাতা উপকারিতা প্রদান করে । তুলসী পাতার দ্বারা শরীরের অন্তর্নিহিত শক্তি জেগে ওঠে ও ধীরে ধীরে চাপ কমে আসে 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা -

বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে তুলসী পাতায় রয়েছে অসাধারণ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যেমন এস্থেমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস, ইত্যাদি। ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দি কাশি হলে বুকে কফ বসে গেলে তুলসী পাতার দ্বারা তা তরল করে খুব সহজে শরীর থেকে দূর করা যায়। এমনকি, জ্বরের সময়ও তুলসী পাতা খুব উপকারী। বর্ষাকালে এই তুলসী পাতা ও এলাচ ভালো করে জলে ফুটিয়ে সেই জল পান করলে খুব সহজেই নানারকমের রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিভিন্ন সার্জারির পর বা কোনো ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে তা বেশ তাড়াতড়ি শুকিয়ে ওঠে।

ওজন কমানো -

তুলসী পাতার দ্বারা রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টরল দুটোই রোধ করা যায় যার ফলে খুব সহজেই আপনি ওজন বৃদ্ধির হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তার ওপর কর্টিসোল মাত্রা কমার ফলে যখন আপনার মানসিক চাপ দূর হয়, তখন ওজন কমানো আরো সহজ হয়ে যায়। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে তুলসী দিয়ে তৈরী ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল  প্রতিদিন খাওয়ার ফলে ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল মারাত্মক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।

দাঁতের স্বাস্থ্য -

তুলসী দিয়ে দাঁতের জন্যে নানারকমের টুথপেস্ট ও মাউথ ওয়াশ তৈরী করা যায় কারণ এতে রয়েছে এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান । এছাড়াও, এতে রয়েছে এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা দাঁতের যেকোনো সমস্যা, মাড়ির সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে ।

লিভারের স্বাস্থ্য -

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে তুলসী পাতায় রয়েছে হেপাটোপ্রটেকটিভ উপাদান যা লিভার নষ্ট হওয়াকে খুব কার্যকরী রূপে রোধ করতে পারে । লিভারের বিষক্রিয়াকরণ রোধ করতে তুলসী পাতা বেশ উপকারী কারণ এতে রয়েছে সাইটোক্রোম পি ৪৫০। তবে লিভারের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সাথে একবার কথা বলে তবেই তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যেস করুন।

যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন কারণ তুলসী পাতা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায় ।

যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা তুলসী পাতা খেলে রক্তচাপ কমিয়ে দেয় ফলে হৃদযন্ত্রের উপর চাপ কম পড়ে ।

যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে তারাও তুলসী পাতা খেতে পারেন ।

তুলসী পাতা যতই উপকারী হোক না কেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। দেখে নিন ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে তুলসী পাতা খাওয়া উচিত নয় - 

গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যপান করার সময় -

গর্ভাবস্থার সময় বা মা হওয়ার পর স্তন্যপান করানোর সময় সামান্য তুলসী পাতা খেলে কোনো ক্ষতি হয় না, কিন্তু অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে নানা রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় তুলসী পাতা না খাওয়াই ভালো। এছাড়া অতিরিক্ত তুলসী পাতা মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে । তাই নির্দিষ্ট পরিমাণে এটি ব্যবহার করা ভালো।

রক্তপাতের সমস্যা 

অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রক্তের প্রবাহ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরের স্বাভাবিক রক্ত জমাট হওয়ার প্রবণতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে । বিশেষ করে কোনোরকম সার্জারি বা কাটা ছেঁড়া হলে ওই সময় তুলসী পাতা এড়িয়ে চলুন। এছাড়া সার্জারির দু সপ্তাহ আগে থেকেও তুলসী পাতা খাওয়া বন্ধ করা উচিত ।

যাদের বাড়িতে জায়গা রয়েছে তারা বাগানে তুলসী গাছ লাগাতে পারেন অপরদিকে যারা ফ্ল্যাট বাড়িতে বা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তারা ব্যালকনিতে তুলসী গাছ লাগাতে পারেন । আয়ুর্বেদ ওষুধের কার্যকারিতা বুঝতে একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু আয়ুর্বেদ ওষুধ সাধারণত পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন হয় এবং ভারতের মতো দরিদ্র দেশে আয়ুর্বেদ ওষুধ যেহেতু অনেক সস্তায় পাওয়া যায় তাই এগুলির চর্চা করতে হবে ও উৎসাহ দিতে হবে ।


তথ্য সহায়তায় - আয়ুর্বেদ বই , ইন্টারনেট , উইকিপিডিয়া প্রভৃতি ।


বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানো হল ।

পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানো হল তিন বছর ও পাঁচ বছরের জন্য । উল্লেখ্য , জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রেক্ষিতে তাঁর নিরাপত্তায় ঢিলেমির অভিযোগ আনা হয় । এই তিন আইপিএস অফিসার ঐদিন নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন । জে পি নাড্ডা জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান । উল্লেখ্য , সংবিধান অনুযায়ী আইপিএস অফিসার যখন রাজ্যে নিযুক্ত হন তখন কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠাতে গেলে রাজ্যের সম্মতি দরকার হয় । আবার একটি ধারায় বলা হয়েছে আইপিএস অফিসারের পোস্টিং সংক্রান্ত কেন্দ্র - রাজ্য বিরোধ দেখা দিলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন । তিনি এই সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করেছেন প্রতিবাদ জানিয়ে । তাঁদের ইন্দো - টিবেটান বাহিনী , এসএসবি , পুলিশ রিসার্চ ব্যুরো প্রভৃতি জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে ।

বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০

ইস্তফা দিলেন বিধায়ক , বিধায়ক শূন্য নন্দীগ্রাম ।

ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী । এরফলে , নন্দীগ্রাম এখন বিধায়ক শূন্য । ২০১৬ সালে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন । তবে অধ্যক্ষ না থাকায় তিনি বিধানসভার সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তাই এই পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার ব্যাপারে বিতর্ক দেখা দিয়েছে । যদিও তিনি ইমেইল করে অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে তবে আইন যেটা বলছে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয় । তিনি প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন ২০০৬ সালে কাঁথি শহর থেকে । তবে, সেবারেও তিনি মেয়াদ পূর্ণ করেননি । ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি তমলুক লোকসভা আসন থেকে জয়ী হন ফলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ।

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

নন্দীগ্রাম - ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কৃষি আইন বিরোধী সভা হল ।

পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রাম । একসময় জমি আন্দোলনের জন্য দেশ তথা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে নন্দীগ্রামের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল । বর্তমান রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পুনরায় উঠে আসছে নন্দীগ্রামের নাম । নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে আজ নন্দীগ্রাম - ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কৃষি আইন বিরোধী সভা হল । মাত্র ষোল ঘণ্টার ব্যবধানে এই সভা ডাকা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম -১ ব্লক তৃণমূলের নতুন সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন দাস , নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুক্তিরানী মাইতি  , শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পীযূষ কান্তি ভূঁইয়া , ভূমি কর্মাধ্যক্ষ খুশনবী সাহেব , পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান , নন্দীগ্রাম - ৪ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান বনশ্রী খাঁড়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...