শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

নারীর নিরাপত্তা ,কর্মসংস্থান ,আইন শৃঙ্খলা প্রতিমুহূর্তে অভাব বোধ করছি নেতাজির ।

স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিমুহূর্তে আমরা যার অভাব বোধ করেছি তিনি হলেন নেতাজি । নেতা না থাকলে নারীর সুরক্ষা ,খাদ্যের যোগান, কর্মসংস্থান ,আইন শৃঙ্খলা, প্রতিরক্ষা ,স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠবে কি করে ? আজাদ হিন্দ বাহিনী যখন লড়াই করছিল তখন কঠোর নির্দেশ ছিল আজাদ  হিন্দ বাহিনী বা জাপানি সেনা কোন নারীর উপর অত্যাচার করলে শাস্তি গুলি করে হত্যা। নেতাজিকে গায়েব করে দেওয়ার সাথে সাথে গায়েব হয়ে গিয়েছিল এদেশের, এদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ । নেতাজির নেতৃত্বে অবিভক্ত ভারত গড়ে উঠলে তাহলে ভারত এক সুপার পাওয়ার রাষ্ট্র হয়ে উঠতো । তাই ভারত এবং নেতাজি উভয়েই যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ ছিল সেই সময় মিত্র শক্তির কাছে । প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতকে সামিল করা হয় এবং ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধে লাগানো হয়েছিল তখনই ব্রিটিশ সরকার দেখেছিল ভারতীয় সেনার ক্ষিপ্রতা । তাহলে ,এই তিনটি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায় বিশ্বজুড়ে মিত্রশক্তির দাদাগিরি বন্ধ হয়ে যাবে । উপনিবেশ , সাম্রাজ্যবাদ ধুলোয় মিশে যাবে । নেতাজি শুধু ভারতেরই নেতা ছিলেননা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষেরাও তাঁকে নেতা মনে করত । আসলে নেতাজি ছিলেন দেশপ্রেমিক , মানবতাবাদি , রাজনীতিক ন‌য় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির অবস্থা যখন খুবই খারাপ জাপান চেয়েছিল কলকাতায় বোমাবর্ষণ করতে তাহলে ব্রিটিশ বেকায়দায় পড়বে কারণ কলকাতা বরাবরই ব্রিটিশের হার্ট বা নার্ভ ছিল । বাধা দিলেন নেতাজি কারণ কলকাতায় বোমাবর্ষণ হলে বহু বেসামরিক ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এতটাই মানবিকতাবোধ ছিল তাঁর । যে সাধারণ মানুষ তাঁকে নেতাজি বানিয়েছে যুদ্ধে কোন ভাবে সেই সাধারণ মানুষের ক্ষতি করা যাবেনা । নেতাজি যদি আজ আমাদের দেশের নেতা হতেন কোন মেয়েকে ধর্ষিতা হতে হতনা , গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হতনা , পুড়ে মরতে হতনা , রাস্তাঘাটে লাঞ্ছিত হতে হতনা । নেতাজি নিজে ছিলেন ব্রহ্মচারী তিনি নারীদেহ স্পর্শ করতেননা । আইএনএর সর্বাধিনায়ক থাকার সময় তিনি একবার অসুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে , তিনি বলেছিলেন যেদিন তিনি আইএনএর প্রতিটি সদস্যকে একটি করে ডিম তুলে দিতে পারবেন সেদিন তিনি ডিম খাবেন । সারাবিশ্বের মধ্যে নেতাজি এক  বিরল দেশপ্রেমিক । নেতাজি থাকলে চীন এশিয়া বা বিশ্বে এরকম সুপার পাওয়ার হয়ে উঠতে পারতনা । ভারতবর্ষকে লাইফটাইম সীমান্ত সন্ত্রাস বা সমস্যার মুখোমুখি হতে হতনা । নেতাজি থাকলে হতনা স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বেসরকারিকরণ । দেশের সমস্ত মানুষ পেত রাষ্ট্রীয় খরচে অবৈতনিক শিক্ষা ও সরকারি চিকিৎসা । দেশে প্রতিষ্ঠিত হত আইনের শাসন , আইনের চোখে সকলেই সমান হত এবং গড়ে উঠত নিরপেক্ষ প্রশাসন । গড়ে উঠত শোষনহীন ও বৈষম্যহীন সমাজ । আজ একটি মেয়ে বাড়ির বাইরে বেরোনোর পর থেকে তার বাড়ির লোকের টেনশান যতক্ষণ না মেয়েটির বাড়ি ফিরছে । টেনশান এই কারণে সমাজ বা প্রশাসন মেয়েটির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেনি । সন্তান লেখাপড়া শিখছে কিন্তু বাবা-মার দুশ্চিন্তা সন্তান প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেতো ? কেন দুশ্চিন্তা কারন রাষ্ট্র যুব সমাজের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করেনি । শরীরে কোন রোগ দেখা দিলে আতঙ্ক চিকিৎসা করাতে পারবোতো সর্বস্বান্ত হয়ে যাবোনাতো কেন আতঙ্ক কারণ রাষ্ট্র নাগরিকের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়নি উল্টে চিকিৎসার অবাধ বেসরকারিকরণ করে রোগী ও রোগীর পরিবারকে লুঠ করার সুযোগ করে দিয়েছে । আসলে অভাব একজনের নেতাজির । আজও বহু মানুষ পথ চেয়ে বসে আছে নেতাজি আসবে নেতার বেশে দূর হবে সমস্ত অন্যায় অবিচার ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেমডেসিভির কালোবাজারি , গ্রেফতার কয়েকজন , উদ্ধার রেমডেসিভির ।

দেশে ভয়াবহ মহামারীর সাথে সাথেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর মদতে সৃষ্টি হয়েছে রেমডেসিভির কালোবাজারি । কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টি-ভাইরা...